Year-19 # Issue-20 # 1 July 2012

প্রকৌশল, টেক্সটাইল ও কেমিক্যাল খাতে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ছে
সোহেল রহমান
দেশের প্রকৌশল, টেক্সটাইল ও কেমিক্যাল খাতে বিদেশি ও যৌথ বিনিয়োগ বাড়ছে। এর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে প্রকৌশল শিল্প খাত। অন্যদিকে বিনিয়োগ কমছে সেবা ও কৃষিভিত্তিক শিল্প খাতে। অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো বিনিয়োগ বোর্ডের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বিনিয়োগ বোর্ডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিদায়ী অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই ’১১-মার্চ ’১২) যে পরিমাণ বিদেশি ও যৌথ প্রস্তাব বিনিয়োগ বোর্ডে নিবন্ধিত হয়েছে এর প্রায় ৮৫ শতাংশই প্রকৌশল খাতের। আলোচ্য সময়ে এ খাতে বিনিয়োগ প্রস্তাবের পরিমাণ ৩৪৭ কোটি ৫৯ লাখ ডলার। অন্যদিকে গত ২০১০-১১ অর্থবছরে এ খাতে বিনিয়োগ প্রস্তাবের পরিমাণ ছিল ১২৮ কোটি ৫৯ লাখ ডলার। অর্থাৎ নয় মাসে আগের বছরের তুলনায় এ খাতে বিনিয়োগ প্রস্তাব বেড়েছে প্রায় তিনগুণ। উল্লেখ্য, বিদায়ী অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে বিনিয়োগ বোর্ডে মোট ১৭১টি  বিদেশি ও যৌথ বিনিয়োগ প্রকল্প নিবন্ধিত হয়েছে। এর বিপরীতে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ হচ্ছে প্রায় ৪১০ কোটি ডলার। এর মধ্যে প্রকৌশল, টেক্সটাইল ও কেমিক্যাল খাতে বিনিয়োগ এর আগের অর্থবছরের (২০১০-১১) তুলনায় বেড়েছে। টেক্সটাইল খাতে গত অর্থবছরে বিনিয়োগ প্রস্তাবের পরিমাণ ছিল ১৬ কোটি ডলার, বিদায়ী অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে এ খাতে ১৯ কোটি ৮২ লাখ ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে। আর কেমিক্যাল খাতে গত বছর বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছিল ৬ কোটি ৯৬ লাখ ডলারের। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৮৪ লাখ ডলার। অর্থাৎ নয় মাসে বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। অন্যান্যের মধ্যে কৃষি শিল্পভিত্তিক খাতে ৯ কোটি ৪৩ লাখ ডলার, খাদ্য ও খাদ্যজাত খাতে ৯ কোটি ২৯ লাখ ডলার, সেবা খাতে ৭ কোটি ৬২ লাখ ডলার এবং ট্যানারি ও চামড়া শিল্প খাতে ১ লাখ ৪২ লাখ ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সেবা খাতে বিনিয়োগ প্রস্তাব ব্যাপক কমেছে। ২০১০-১১ অর্থবছরে সেবা খাতে বিনিয়োগ প্রস্তাবের পরিমাণ যেখানে ছিল ৩৪৩ কোটি ডলারেরও বেশি, এবার তা মাত্র ৭ কোটি ৬২ লাখ ডলারে নেমে এসেছে। এছাড়া কৃষিভিত্তিক শিল্প খাতে বিনিয়োগ প্রস্তাব কমেছে প্রায় ৩ কোটি ডলার। দেশ ওয়ারি হিসাবে বিদায়ী অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে সবচেয়ে বেশি বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে। এ দেশ থেকে বিনিয়োগ এসেছে ২২৯ কোটি ২২ লাখ ডলার। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে থাইল্যান্ড। এখান থেকে বিনিয়োগ এসেছে ১১৪ কোটি ৬৫ লাখ ডলার। এছাড়া ভারত থেকে ১৮ কোটি ৬৮ লাখ ডলার, শ্রীলঙ্কা থেকে ৯ কোটি ৫৬ লাখ ডলার, নেদারল্যান্ডস থেকে ৬ কোটি ৬৩ লাখ ডলার (গত বছর ছিল ১১ কোটি ৩৪ লাখ ডলার) , চীন থেকে ৪ কোটি ৬২ লাখ ডলার (গত বছর ছিল ৭ কোটি ৩১ লাখ ডলার), জাপান থেকে ৪ কোটি ৬১ লাখ ডলার (গত বছর ছিল ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার), যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১ কোটি ৫১ লাখ ডলার (গত বছর ছিল ৮৪ কোটি ৬৭ লাখ ডলার) এবং মালয়েশিয়া থেকে ১ কোটি ডলারের (গত বছর ছিল ১৩ কোটি ৭১ লাখ ডলার) বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে। প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, আগের বছরের তুলনায় বিদায়ী অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা বিনিয়োগের পরিমাণ কমে গেছে অনেক। এছাড়া মালয়েশিয়া, নেদারল্যান্ডস ও চীন থেকে আসা বিনিয়োগের পরিমাণও কমেছে। তবে জাপানি বিনিয়োগ কিছুটা বেড়েছে।
রমজানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরবরাহের চেষ্টা পিডিবি’র
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
রমজানে জনসাধারণকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরবরাহের জন্য চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) চেয়ারম্যান এ এস এম আলমগীর কবির। শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরীর খুলশীতে পিডিবি’র একটি স্থাপনা উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পিডিবি চেয়ারম্যান। সময় চেয়ারম্যান বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে লোডশেডিং অনেক কমে এসেছে। আমরা রমজানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরবরাহের জন্য চেষ্টা করব।”
এর আগে সকালে বৃহত্তর চট্টগ্রামে বিদ্যুত সমবন্টনের জন্য কুয়েত সরকারের অর্থায়নে প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে সুপারভাইজরি কন্ট্রোল অ্যান্ড ডাটা একুইজিশন (স্ক্যাডা) সেন্টার চালু করে পিডিবি। নিউজিল্যান্ডের মেসার্স এবি সিস্টেম লিমিটেডের বাংলাদেশ প্রতিনিধি মেসার্স টোটালটেল প্রাইভেট লিমিটেড প্রকল্পটির বাস্তবায়ন করেছে।
খুলশী স্ক্যাডা সেন্টারের উদ্বোধনকালে পিডিবি চেয়ারম্যান বলেন, “স্ক্যাডা সিস্টেম সঠিকভাবে পরিচালিত হলে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা অনেক উন্নত হবে। যেকোনো ফিডারকে মনিটরিং করা সম্ভব হবে এবং বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হবে।” তিনি বলেন, “আগে যেমন কোনো বিদ্যুৎ ডিভিশন বরাদ্দের অতিরিক্ত বিদ্যুৎ টানতো, এ সিস্টেমে সেটা হবে না। বরং লোড ম্যানেজমেন্ট অনেক সুষ্ঠু হবে।” পিডিবি কর্মকর্তারা জানান, স্ক্যাডা সিস্টেম হলো অতি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ও আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর কম্পিউটারাইজড বিদ্যুত বিতরণ ব্যবস্থাপনা। খুলশী স্ক্যাডা সিস্টেম বাস্তবায়নের ফলে বৃহত্তর চট্টগ্রামের সকল ৩৩ কেভি ও ১১ কেভি পর্যায়ের বিদ্যুত বিতরণ ব্যবস্থায় বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ, সংরক্ষণ, নিয়ন্ত্রণ ও মনিটরিং করা সম্ভব হবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে সুষ্ঠু লোড ম্যানেজমেন্ট করা সম্ভব হবে এবং আবাসিক, শিল্প বা বাণিজ্যিকসহ সকল গ্রাহককে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে গতিশীলতা আসবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, পিডিবি চট্টগ্রাম দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলি রইস উদ্দিন সরকার, প্রকৌশলি পি কে রায়, স্কাডা সেন্টার নির্মাণকারী বিদেশী প্রতিষ্ঠান এবি সিস্টেমস লিমিটেডের প্রতিনিধি লিস্টার এবি।
চূড়ান্ত চুক্তির প্রস্তাব
পদ্মা সেতু ৩৭ বছর রাখতে চায় মালয়েশিয়া
আদিত্য আরাফাত
পদ্মাসেতু নির্মাণে চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরের লক্ষ্যে খসড়া প্রস্তাব দিয়েছে মালয়েশিয়া। বৃহস্পতিবার বিকেলে সেতু ভবনে মালয়েশিয় সরকারের দক্ষিণ এশিয়ার অবকাঠামো  বিষয়ক বিশেষ দূত দাতো সেরি সামি ভেলু যোগাযোগ ও রেলপথমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাবের কপি তুলে দেন। সংশ্লিষ্ট এক সূত্র বৃহস্পতিবার রাতে বাংলানিউজকে জানায়, পদ্মা সেতু নির্মাণে মালেয়শিয়ার প্রস্তাবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে- প্রথমত, পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজে মালয়েশিয়ার সরকার প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগ করবে। দ্বিতীয়ত, তিন বছরের মধ্যে সেতু নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করবে। তবে এর কম বেশি হতে পারে। যা চুক্তির মধ্যে উল্লেখ রয়েছে। তৃতীয়ত, পদ্মা সেতু ৩৭ বছর মালেয়শিয়ার তত্ত্বাবধানে থাকার পর বাংলাদেশের তত্ত্বাবধানে যাবে। এই ৩৭ বছর টোলের টাকা মালেয়শিয়া পাবে। এরপর তা বাংলাদেশ সরকারের তত্ত্বাবধানে থাকবে। পরে মন্ত্রী উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‘খসড়া প্রস্তাবটি যাচাই করা হবে। প্রথমে আমরা নিজেদের মধ্যে প্রস্তাবের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। তারপর মালয়েশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করবো।’’ এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘‘মালয়েশিয়ার প্রস্তাবটি গ্রহণের ক্ষেত্রে এবং আলোচনায় আমাদের জাতীয় স্বার্থ, অর্থনৈতিক স্বার্থ এবং জনগণের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।’’ বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “অর্থ মন্ত্রণালয় বিষয়টির সম্মানজনক সমাধানের চেষ্টা করছে।” মন্ত্রী বলেন, “মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে সমঝোতার পর চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরের আগ পর্যন্ত বিকল্প পথ খোলা রয়েছে। এখনো সমঝোতার দরজা বন্ধ হয়নি।” ওবায়দুল কাদের বলেন, “মালয়েশিয়ার প্রস্তাবে জাতীয় স্বার্থ অক্ষুন্ন রেখে সমঝোতায় পৌঁছানো গেলে অনতিবিলম্বে একটি চুক্তিতে উপনীত হওয়া সম্ভব হবে।” এরপর কয়েক মাসের মধ্যে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষ করে গ্রাউন্ড-ব্রেকিং অনুষ্ঠান করার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। তিনি বলেন, “পদ্মাসেতু এদেশের জনগণের স্বপ্নের সেতু। এ সেতু নির্মিত হলে একদিকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে, অপরদিকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রসারিত হবে।” উল্লেখ্য, এর আগে গত ১০ এপ্রিল কুয়ালালামপুরে মালয়েশিয়ার সঙ্গে পদ্মাসেতুতে অর্থায়নের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। এর ধারাবাহিকতায় গত ২৮ মে দাতো সেরি সামি ভেলুর নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল যোগাযোগমন্ত্রীর কাছে পদ্মাসেতুতে অর্থায়নের বিষয়ে ধারণা-প্রস্তাব পেশ করে।  বৃহস্পতিবার যোগাযোগমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মালয়েশিয় সরকারের বিশেষ দূত দাতো সেরি সামি ভেলু ১৩ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। এ সময় সেতু বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী সফিকুল ইসলামসহ সেতু বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থ বছর শেষ
সরকারের দায় ২০ হাজার কোটি টাকা
সাইদ আরমান
রোববার থেকে শুরু হচ্ছে নতুন অর্থ বছর। এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১২-১৩ অর্থ বছরের বাজেট পাস হয়েছে। তবে বিদায়ী অর্থ বছরের ২০ হাজার কোটি টাকার দায় নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতকে শুরু করতে হচ্ছে নতুন অর্থ বছর। অন্যদিকে, ব্যাংক থেকে সরকারের নিট ঋণ বেড়ে যাবে। বিদায়ী অর্থ বছরের বাজেট ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ১৮ হাজার ৯৫৭ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে সরকার। তবে, অর্থ বছরের শেষ প্রান্তিকে এসে গত মার্চে সরকারের ঋণ ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক বৈঠকে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকার ২৭ হাজার ৯শ’ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়। বাংলাদেশ ব্যাংক বিশ্বস্ত সূত্রের তথ্য মতে, সর্বশেষ হিসাবে সরকারের কাছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সহ তফসিলি ব্যাংকগুলো পাবে ২০ হাজার ২৯ কোটি টাকা। এর ৪ হাজার ৩৮১ কোটি টাকা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে সরকারের ঋণ। আর ১৫ হাজার ৬৪৮ কোটি টাকা তফসিলি ব্যাংকগুলোর কাছে। অপরিশোধিত এই দেনা শেষ সময়ে এসেও পরিশ্ধো করল না সরকার। তাই বাধ্য হয়ে এটি পরের অর্থ বছরের সাথে সম্বনয় করতে হবে। ফলে ব্যাংকিং খাত থেকে সরকারের নিট ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাবে। সূত্র বলছে, ২০১১-১২ অর্থ বছরের শেষে এসে সরকারের ব্যাংক ঋণ মোট পরিমাণ গিয়ে দাড়ালো ৯২ হাজার ৫৩ কোটি টাকা। যা এর আগের অর্থ বছরের চেয়ে চেয়ে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা। ২০১০-১১ অর্থ বছর শেষে সরকারের নিট ব্যাংক ঋণ ছিলো ৬৬ হাজার ৭০৮ কোটি টাকা। এদিকে শেষ মুহুর্তে এসে সরকার প্রতিদিন প্রায় ২০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০ জুনে সরকারের ঋণের পরিমাণ ছিলো ১৮ হাজার ৯০৮ কোটি টাকা। এর পর ৬ কার্য দিবস পায় সরকার। ৬ দিনে প্রায় ১১শ কোটি টাকা নিয়েছে সরকার। সে হিসেবে গড়ে প্রতিদিন ২০০ কোটি টাকা ঋণ করেছে সরকার। অর্থমন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, শেষ মুহুর্তে এসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে তোড়জোড় শুরু হয়। অর্থ ছাড়ের অনেকটা হিরিক লাগে। অবশ্য এটি অর্থমন্ত্রী তার বক্তব্যে স্বীকার করেন। তিনি গত ২৩ জুন অর্থনৈতিক রিপোর্টারদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টাস ফোরাম আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বলেন, তিনি বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির অর্থ বেশি ছাড় দিচ্ছেন। বিশেষ করে ঠিকাদারদের অর্থ। তিনি এও বলেন, এতে হয়তো কিছু অর্থ অপচয় হচ্ছে। তা হোক। এডিপির ঐ অর্থ যোগান দিতে সরকার শেষ সময়ে এই অস্বাভাবিক হারে ঋণ নেয়।  সূত্র বলছে, সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে উপায় উপকরণ আগাম, ওভার ড্রাফট, ট্রেজারি বিল, ট্রেজারি বন্ড, অভার ড্রাফট, মুদ্রায় দায়ের মাধ্যমে সরাসরি ঋণ সুবিধা নেয়। চলতি অর্থ বছরের শেষে এসে এই স্থিতি দাঁড়ালো ৪ হাজার ৩৮১ কোটিতে। অন্যদিকে, প্রাইমারি ডিলার ১৬টি ব্যাংক থেকে সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ সংগ্রহ করে। ঋণপত্র, ট্রেজারি বিল ও বন্ড, সিকিউরিটিজ ও অন্যান্য বন্ডের মাধ্যমে এই ঋণের যোগান হয়। যার পরিমাণ অর্থ বছরের শেষে রয়ে গেলো ১৫ হাজার ৬৪৮ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক আল্লাহ মালিক কাজমী বাংলানিউজকে জানান, অর্থ বছর শেষ। সরকারের ঋণ যে পরিমাণ অপরিশোধ্য থাকল তা পরের বছরের সঙ্গে সম্বনয় করা হবে। এবং এটা মোট ঋণ হিসেবে ধরা হবে। তাছাড়া সবগুলো ঋণ এক সঙ্গে পরিশোধ যোগ্য হয়না। তবে সরকারকে নিয়মিত হারে সুদ পরিশোধ করে যেতে হয়। তথ্যমতে, গত ৪ ডিসেম্বরে তা ২৫ হাজার ৩২১ কোটি টাকায় দাঁড়ায়। ডিসেম্বরের পর থেকে ধীরে ধীরে সরকারের ব্যাংক ঋণের পরিমাণ কমতে শুরু করে। সবশেষ এপ্রিলে এসে তা ১৫ হাজার কোটিতে নামে। সেখান থেকে মে মাসে আবার তা বাড়তে শুরু করে।
ইতিহাস গড়লো স্পেন
স্পোর্টস ডেস্ক
অনিন্দ্য সুন্দর ফুটবল। ছবির মতো পাস। গোলগুলো হৃদয় স্পর্শী। খেলার বর্ণনা ভাষায় প্রকাশের নয়। অন্তর দিয়ে উপলব্ধির। ভয়ঙ্কর সুন্দর ফুটবল খেলেছে স্পেন। ইউরো, বিশ্বকাপ, ইউরো! চোকার, জোকার থেকে বিজয়ী। টানা তিনটি বড় আসরের চ্যাম্পিয়ন স্পেন। অনেক আগে থেকে ছোট ছোট পাসে ছন্দময় ফুটবল খেলে দলটি। দেল বস্কের টিকি-টাকায় তাতে শোভা বেড়েছে। গতি এসেছে খেলায়। ছোট ছোট পাসে, ছন্দের তালে তালে এগিয়েছে প্রথম থেকে। বলের দখল রেখেছে খেলার সিংহভাগ সময়। ইতালির মতো ফুটবল পরাশক্তিকে পাড়ার দল বানিয়ে ফাইনাল জিতেছে ৪-০ গোলে। ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে স্পেনের সাফল্যের দিনলিপি। ১৯৬৪ সালে প্রথমবার ইউরোপের সেরা হয় স্পেন। অনেক অনেক বছর পরে দ্বিতীয় শিরোপা জেতে ২০০৮ সালে। দুঃসময়ের দিনগুলোতে তাদের নিয়ে কত গল্প ফেদেছে মানুষ। এখন সেই দলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ দর্শক, সমর্থক ও ফুটবল অনুরাগীরা। আর্জেন্টিনা, ব্রাজিলের মতো স্পেনেরও বিশ্বজুড়ে সমর্থন বাড়ছে। ওহ ইতিহাসের হতাশা তাদের গ্রাস করতে পারেনি। জার্মানদের মতো ভেঙ্গে পড়েনি স্প্যানিশরা। অতীতকে পেছনে ফেলে ইতালিকে হারিয়েছে। বড় আসরে আগের সাতবারের দেখায় ইতালিকে হারাতে পারেনি স্পেন। কিন্তু এবার সুদে-আসলে সব বুঝিয়ে দিয়েছেন সিলভা, আলবা, তোরেস ও জুয়ান। ফাইনালের আগে কত জল্পনা কল্পনা। স্পেন সব উড়িয়ে দিয়েছে এক তুড়িতে। যাদের সঙ্গে গ্রুপ পর্বের খেলায় পয়েন্ট হারিয়ে ছিলো স্পেন, সেই ইতালিকে ফাইনালে পাত্তাই দেয়নি। রক্ষণাত্মক খেলার জন্য বিখ্যাত ইতালির ডিফেন্স ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন সেস ফ্যাব্রিগাসরা। সেমিফাইনাল পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচে ইতালি গোল খেয়েছে দুটি। তাদের শক্তিশালী রক্ষণভাগের সে সুনামকে চুরমার করে দিয়ে স্পেন ফাইনালে এক হালি গোল দিয়েছে। বুফনের কোনো জারিজুরি টেকেনি লাল বাহিনীর আক্রমণ পরিকল্পনার সামনে। প্রথমার্ধে এতটা ভালো ফুটবল খেলেছে স্পেন বুফন তাদের কৌশল ধরতে পরেননি। ইতালি তার রক্ষণভাগ সুরক্ষিত রাখার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। বিচ্ছুর মতো ফাঁকফোকর দিয়ে বল নিয়ে বিপদ সীমায় ঢুকেছেন ফ্যাব্রিগাসরা। তারপরেও গোল বের করতে ১৪ মিনিট লেগেছে স্পেনের। ডেভিড সিলভা হেডে দর্শনীয় গোল করেন। আন্দ্রে ইনিয়েস্তার কাছ থেকে বল পেয়ে সেস ফ্যাব্রিগাস ডিফেন্ডার জর্জিও সিলিনিকে কাটিয়ে ব্যাক-লাইন থেকে ক্রস করেন। ডেভিড শক্তি দিয়ে হেড নেন। গায়ে গায়ে লেগে থেকেও শেষরক্ষা করতে পারেননি ইতালির ডিফেন্ডাররা। ওপর থেকে নিচে অসাধারণ ফুটবল খেলে ইতালির খেলোয়াড়দের কোমর সোজা করে দাঁড়াতে দেয়নি স্পেন। প্রতিআক্রমণ থেকে ৪১ মিনিটে দ্বিতীয় গোল আদায় করে নেয়। আলবা বল পেয়ে পাস দেন জাভিকে। ফিরতি পাসে বল নিয়ে গোলরক্ষক বুফনকে একা পেয়ে প্লেসিং শটে নিশানা ভেদ করেন তিনি। পরের অর্ধের শুরুতে খুব চাপিয়ে খেলে ইতালি। স্পেন তাদের বেশিক্ষণ বল চাপাতে দেয়নি। পাল্টা আক্রমণ থেকে গোলের সুযোগ তৈরি করেছে। দেল বস্ক বসে বসে খেলা দেখছিলেন। ইতালির কোচ সিজার প্রাণদেল্লি তখন গলা ফাটাচ্ছিলেন ডাগআউটের সামনে দাঁড়িয়ে। পানি খেয়ে গলা ভিজিয়ে ডাগআউটের সামনে ফিরে আসতে আসতে আরেক গোলে পিছিয়ে পড়ে প্রাণদেল্লির দল। ৮৪ মিনিটে ফার্নান্দো তোরেস গোল করে ইতালিকে খেলা থেকে আরও দূরে সরিয়ে দেন। জাভি ফাঁকা পেয়ে বল সোজা ঠেলে দেন সামনে। তোরেস বলের নিয়ন্ত্রণ রেখে বুফনকে বোকা বানান। হতাশায় মুখ চাপা দিয়ে নিজের আসনে ফিরে যান প্রাণদেল্লি। দলের পরাজয় নিশ্চিত জেনে আসন ছেড়ে আর উঠলেন না। ৮৮ মিনিটে জুয়ান মাতা ব্যবধান ৪-০ করে দেন। গোলের উৎস ছিলেন তোরেস। বালোতেল্লি মার্কিংয়ে পড়ে খেলতেই পারেননি। খ্যাপাটে ফরোয়ার্ড ফাইনালে চার গোল করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৯০ মিনিটের লড়াই শেষে হতাশা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। সেমিফাইনালে ইতালির জয়ের নায়ক সারাক্ষণ বিড়বিড় করে কি যেন বলছিলেন। তা শোনা না গেলেও বুঝতে অসুবিধা হয় না, ঈশ্বরের কাছে গোল প্রার্থনা করেছেন। কিন্তু ঈশ্বর প্রতিদিন দয়া দেখান না। শেষ বাঁশি বাজার কয়েক মিনিটের মধ্যে ইতালির খেলোয়াড়দের দিকে তাকানোর উপায় ছিলো না। কেউ চোখ লাল করে ফেলেছেন, নীল চোখগুলো ধুসর দেখাচ্ছিলো। করুণ দৃষ্টি দিয়ে তার বিজয় উৎসব দেখেছেন।
ক্যাসিয়াসের ‘১০০’
স্পোর্টস ডেস্ক 
ইতালিকে হারিয়ে বড় আসরের টানা তিনটি শিরোপা জেতার রেকর্ড গড়েছে স্পেন। একই সঙ্গে স্প্যানিশ দলের অধিনায়ক ইকার ক্যাসিয়াসও গড়েছেন ব্যক্তিগত একটি রেকর্ড। জাতীয় দলের হয়ে একশটি ম্যাচে জিতেছেন ৩১ বছর বয়সী গোলরক্ষক।
২০০০ সালে স্পেনের জাতীয় দলে অভিষেক হয় ক্যাসিয়াসের। এরপর থেকে দলের অপরিহার্য খেলোয়াড়ে পরিণত হয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের ফুটবলার। জাতীয় দলেও আলো ছড়িয়েছেন। এপর্যন্ত ১৩৭টি ম্যাচ খেলে প্রথম ফুটবলার হিসেবে ১০০ ম্যাচে জয় পেয়েছেন তিনি। এর মধ্যে ২০১০ সালের বিশ্বকাপও জিতেছেন লাল শিবিরের শট স্টপার। ইউরো চ্যাম্পিয়ন্সশিপেও দারুণ পারফরমেন্স করেছেন ক্যাসিয়াস। গ্রুপ পর্বে ইতালির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র হয় স্পেনের। ওই ম্যাচে গোলটি করেন ইতালির দি নাতাল। এরপর কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনালে তার বিশ্বস্ত দুটি হাত ফাঁকি দিয়ে স্পেনের জালে বল পাঠাতে পারেনি কোনো দল।

তোরেস পেলেন সোনার বুট
স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট
সোনার বুট পেলেন স্পেনের ফার্নান্দো তোরেস। ফাইনালসহ টুর্নামেন্টে মোট তিনটি গোল করেন তিনি। জার্মানির মারিও গোমেজ, ইতালির মারিও বালোতেল্লি, পর্তুগালের ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, রাশিয়ার এলান দাগোয়েভ ও ক্রোয়েশিয়ার মারিও মানজুকি সমান তিনটি করে গোল করলেও তোরেসকে অন্যান্য দিক থেকে এগিয়ে থাকায় সোনার জুতো উপহার পেয়েছেন। ইতালির বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধে বদলি খেলতে নেমে ৮৪ মিনিটে গোল করেন তোরেস। পরে তার ক্লাব সতীর্থ জুয়ান মাতাকে দিয়ে একটি গোল করান। ছয় জনের গোল সমান হওয়ায় সবচেয়ে বেশি গোলের যোগান দেওয়া এবং সবচেয়ে কম সময় খেলার রেকর্ডগুলো আমলে নিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা নির্বাচন করা হয়। তোরেসের সমান গোলের যোগান দিয়েছেন জার্মানির গোমেজ। কিন্তু তিনি বেশি সময় খেলে তিন গোল করায় দ্বিতীয় হন। ২৮২ মিনিট খেলে তিন গোল করেছেন গোমেজ। কিন্তু তোরেস মোট ১৮৯ মিনিট খেলে সমান গোল করেন। পর পর দুটি ইউরোর ফাইনালে গোল করার কৃতিত্ব দেখালেন এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। ২০০৮ সালের ইউরো ফাইনালেও একটি গোল করেছিলেন তিনি।

পদ্মাসেতুর অর্থায়ন করবে না বিশ্বব্যাংক
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
পদ্মাসেতুর পরামর্শক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় এই প্রকল্পে অর্থায়ন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়। পদ্মানদীর ওপর ৬ কিলোমিটার সড়ক ও রেলসেতুতে বিশ্বব্যাংকের ৭৬৪ মিলিয়ন পাউন্ড অর্থ যোগান দেওয়ার কথা ছিল। অর্থায়ন না করার বিষয়ে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার এ সেতু প্রকল্পের দুর্নীতিতে অভিযুক্ত উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিষয়ে তদন্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে। বিশ্বব্যাংক তাদের  বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছিল। আর বিষয়টিতে সরকারের কার্যক্রম সন্তোষজনক নয়। দেশের সর্ববৃহৎ নির্মাণ প্রকল্প পদ্মা সেতুর অর্থ যোগানদাতা বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গত ১১ অক্টোবর তাদের অর্থায়ন স্থগিত করে। সরকারের পক্ষ থেকে দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করা হলেও বিষয়টি খতিয়ে দেখতে দুদককে দায়িত্ব দেওয়া হয়। বিশ্বব্যাংকও দুদককে চিঠি পাঠায়। বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ, সেতু নির্মাণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগে প্রাক-যোগ্যতা যাচাই প্রক্রিয়ায় এবং পদ্মাসেতুর পরামর্শক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় অনিয়ম হতে পারে। এরপর গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন নিয়ে দুদক তদন্ত কাজ শুরু করে। এ ক্ষেত্রে অনুসন্ধান কাজ দু’ভাগে বিভক্ত করা হয়। একটি হলো পদ্মাসেতুর কাজে ঠিকাদার নিয়োগ ও অপরটি পরামর্শক নিয়োগ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগে দুর্নীতির ঘটনা অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয় দুদকের উপ-পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীকে। এ ছাড়া সেতু প্রকল্পের জন্য পরামর্শক নিয়োগ প্রক্রিয়া বিষয়ে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয় সহকারী পরিচালক মির্জা জাহিদুল ইসলামকে। দায়িত্ব পাওয়ার পর উপপরিচালক শিবলী বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের পাশাপাশি সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন। মূলত তদন্তে যোগাযোগমন্ত্রী থাকাকালে সৈয়দ আবুল হোসেন কীভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সাকো ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে দুর্নীতির চেষ্টা করেছেন সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করা হয়। এরই মধ্যে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরও জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। সার্বিক সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহ শেষে গত সপ্তাহে দুদকের সংশ্লিষ্ট শাখায় প্রতিবেদনটি পেশ করা হয়েছে। অপরদিকে, পদ্মা সেতু প্রকল্পের জন্য পরামর্শক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি হয়েছে কিনা সে বিষয়ে অভিযোগের অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। সে অনুযায়ী পরামর্শক নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক। পদ্মাসেতুর দুর্নীতির বিষয়ে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ছাড়াও বেশ কয়েকজনকে দুদক জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরামর্শক নিয়োগ বিষয়ে দুদক আরও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলে জানা গেছে।
বিপদগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে সরকার ব্যর্থ: খালেদা
রমেন দাশগুপ্ত ও মো. মহিউদ্দিন
সরকার বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, “বিপদের দিনে জনগণের পাশে সরকারের যেভাবে দাঁড়ানোর কথা ছিল, সরকার তা পারেনি। বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে।” খালেদা বলেন, “সরকার দুর্গত মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে লুটপাটে ব্যস্ত। তারা গরীব মানুষের জন্য কোনো কাজ করছে না। তারা ব্যস্ত শুধু দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করার জন্য।” তিনি বলেন, “সাথী এবং বন্ধু হিসেবে বিএনপি আজীবন বাংলাদেশের মানুষের পাশে থাকবে।” চট্টগ্রামে সাম্প্রতিক পাহাড়ধসসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারে ত্রাণ দিতে এসে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। নগরীর পাহাড়তলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালযের মাঠে ত্রাণ বিতরণের মঞ্চে এ সময় বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ ও এম কে আনোয়ার, সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ আল নোমান, বেগম সেলিমা রহমান ও এম মোর্শেদ খান, যুগ্ম মহাসচিব বরকতউল্লাহ বুলু, চট্টগ্রামের মেয়র এম মনজুর আলম, বিএনপি নেতা গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী, আসলাম চৌধুরী, সাংসদ জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, মোস্তফা কামাল পাশা, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাৎ হোসেন, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার, এম এ সবুর ও জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরীসহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা। তবে বিএনপি নেতাদের মধ্যে কেউই বক্তব্য রাখেননি। বিদ্যালয় মাঠে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়া আরও বলেন, “দেশের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। মানুষ অনেক কষ্টে আছে। জিনিসপত্রের দাম অনেক বেড়ে গেছে।” তিনি বলেন, “এ সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে, ততদনি দেশের উন্নতি হবে না। এ সরকার ক্ষমতায় থাকলে শুধু মানুষের কষ্টই বাড়বে। তাই এ সরকারকে বিদায় দিয়ে জনগণের সরকারকে ক্ষমতায় বসাতে হবে।”
তিনি বলেন, “এ সরকার শিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত যুবকদের জন্য কোনো চাকরি কিংবা ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যবস্থা করতে পারেনি। আমরা ক্ষমতায় গেলে যুবকদের কাজের ব্যবস্থা করব, যাতে তারা সম্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারে।” খালেদা জিয়া জনসাধারণকে ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “ধৈর্য্য ধরে বিপদ মোকাবেলা করতে হবে। এ বিপদ বেশিদিন থাকবে না।” তিনি বলেন, “আমি এখানে সভা বা বক্তব্য দিতে আসিনি। আমি বন্যা আর পাহাড়ি ঢলে যে ২৬ জন মারা গেছেন, তাদের পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে এসেছি।” তিনি বলেন, “এরইমধ্যে চট্টগ্রামের বিএনপি নেতারা দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমি তারেক রহমানের তৈরি করা জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে লোকজনকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করতে এসেছি। মানুষের কষ্ট কিছুটা হলেও যেন লাঘব হয় সেজন্য এসেছি।” এর আগে দুপুর ২টা ৫৭ মিনিটে ত্রাণ বিতরণের মঞ্চে এসে পৌঁছান খালেদা জিয়া। এ সময় মঞ্চ থেকে মুহুর্মুহু স্লোগান দেওয়া হয়। মঞ্চের সামনে উপস্থিত নেতাকর্মীরাও স্লোগানে স্লোগানে পুরো এলাকা মুখরিত করে তোলে। এছাড়া নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে দলে দলে লোকজন এসে দুপুরের আগেই স্কুল মাঠে অবস্থান নেন। মঞ্চে আসার পর প্রথমেই খালেদা জিয়া দুর্গত মানুষের হাতে ত্রাণসামগ্রী তুলে দেন। পরে তিনি বক্তব্য রেখে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ ত্যাগ করে সার্কিট হাউসে চলে যান।
তরুণদের প্রতি ইউনূস: মানুষ টাকা বানানোর মেশিন নয়
সিনিয়র ইকোনমিক করেসপন্ডেন্ট
গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মানুষ টাকা বানানোর মেশিন নয়। টাকা বানানো জীবনের মূল লক্ষ্য নয়। মানুষ সৃজনশীল সত্ত্বার অধিকারী। তার মধ্যে অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে। সেই ক্ষমতা ব্যবহার করে সৃজনশীল উদ্যোগ নিতে হবে। নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্য থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। মানুষকে আকাশের মতো বিশাল হতে হবে। রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শুক্রবার সামাজিক ব্যবসা চর্চা নিয়ে একক বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সামজিক ব্যবসা ফোরাম-২০১২ শীর্ষক দিনব্যাপী এ আয়োজন করেছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউনূস সেন্টার। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হাফিজ জি এ সিদ্দিকির সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রী জি এম কাদের, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপার্সন এম এ হাশেম, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন ড. আব্দুল হান্নান চৌধুরী ও জামার্নির গ্রামীন ক্রিয়েটিভ ল্যাবের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হানস রেইজ। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতনরা অংশ নেন।  এসময় এই ড. ইউনূস আরও বলেন, আজকের তরুণদের আগামী দিনের নতুন বিশ্ব গড়ে তোলার নেতৃত্ব দিতে হবে। তাদের বিশ্ব নিয়ে ভাবতে হবে। বিদ্যমান সমস্যাগুলো সনাক্ত করে উদ্যোগ নিতে হবে সমাধানে। তরুণদের উদ্দেশ্য করে ইউনূস বলেন, “তোমরা টাকা বানানোর মেশিন হবে না। সামাজিক সমস্যা বুঝে তা সমাধানে এগিয়ে যাবে।” ইউনূস বলেন, টাকা বানানো জীবনের মূল্য উদ্দেশ্য হতে পারে না। তবে অংশ হতে পারে। তবে অর্জিত অর্থ সামাজিক সমস্যা সমাধানে ব্যবহার করতে হবে। অন্যকে সুখী করার মধ্যে নিজের সুখ খুঁজতে হবে। মানুষের জীবন টাকা নিয়ে আবদ্ধ বা নিয়ন্ত্রিত থাকতে পারে না। তিনি বলেন, আমাদের ব্যবসায়িক পদ্ধতিতে সমস্যা রয়েছে। সবাই ব্যবসা করে মুনাফার জন্য। কিন্তু মুনাফা ব্যবসার একমাত্র উদ্দেশ্য নয়। সমাজে বিভিন্ন সমস্যা তাই আজও রয়ে গেছে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পুষ্টি, পরিবেশ, জ্বালানি, যোগাযোগসহ কত সামাজিক সমস্যা। তাই আমাদের নতুন ব্যবসায়িক ধারণা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। সামাজিক ব্যবসা এর সমাধানের উপায় হতে পারে। এর মুনাফা বিনিয়োগকারিরা নিতে পারবে না। শুধু বিনিয়োগ ফেরত পাবেন। মুনাফা আবার বিনিয়োগ করা হবে। তিনি তার ব্যবসায়িক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, আমি যখন দেখলাম আমার অঞ্চলের শিশুরা রাতকানা রোগে ভুগছে। তখন আমি এর সমাধান খুঁজলাম। কিন্ত তা একটু ভিন্নভাবে। ভিটামিন এ এর অভাবে এটি হয়। তাই আমি শাক সবজি চাষে অর্থ দেওয়া শুরু করি। বাড়ির চারপাশে সবজি চাষের জন্য এক টাকা দরে বীজ দিতাম। যাতে করে নিজের বাড়িতে তারা সবজি চাষ করে ভিটামিন এ এর অভাব পূরণ করতে পারে। আমি এরকম সব সময় সমস্যা দেখে ব্যবসার চিন্তা করেছি। কখনো টাকা বানানোর জন্য নয়। মুনাফার উদ্দেশ্যে ব্যবসা আমাকে হতাশ করে। সামাজিক ব্যবসার এই প্রবর্তক বলেন, আজ প্রযুক্তি আমাদের হাতে। আজ থেকে ২০ বছর আগে আমরা কি ভেবেছিলাম আমাদের হাতে হাতে মোবাইল ফোন থাকবে। কিন্তু আজ তা সত্য। গতকাল যা অসম্ভব ছিলো, আজ তা সম্ভব হচ্ছে। অসম্ভব ও সম্ভব হাতে হাত রেখে চলছে। তাই তরুণদের সামাজিক ফিকশন রচনা করতে হবে। আজ থেকে ২০ বছর পরে ৩০ বছর পরে কোথায় থাকবে সমাজ। তাই এখনই ভেবে করনীয় ঠিক করতে হবে। এসময় তিনি তরুণদের উদ্দেশ্যে সামাজিক ফিকশন করার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, আমাদের সায়েন্স ফিকশন আছে। এক সময় সায়েন্স ফিকশনে ভাবা হতো আমরা অন্য গ্রহে যাব। কিন্তু আজ তা সত্য। তাই সামাজিক ফিকশন করে তরুণদের, নতুন বিশ্ব গড়তে হবে। যেখানে বেকার থাকবে না। সামাজিক সমস্যা থাকবে না। দারিদ্র্য থাকবে না। পরের প্রজন্ম প্রশ্ন তুলবে, দারিদ্র্য কি? অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী জিএম কাদের বলেন, সামাজিক ব্যবসা আজ বিশ্নে পরিচিতি পাচ্ছে। এর মাধ্যমে সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব। এর জন্য আমরা গর্বিত। কারণ এর প্রবর্তক আমাদের ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে সামাজিক ব্যবসার প্রয়োগ দরকার। এম এ হাশেম বলেন, সামাজিক ব্যবসা দারিদ্র্য দূর করতে পারে। সমাজ কে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এদিকে, কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, ব্যবসায়ী, করপোরেট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষ অংশ নিচ্ছেন। দিনব্যাপী এই আয়োজনের সমাপনী অনুষ্ঠানেও বক্তব্য রাখবেন ড. ইউনূস।
দুই বছরে ওটিসি মার্কেটে লেনদেন মাত্র ১৭ কোটি টাকা
এসএমএকালাম
পুঁজিবাজারে ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটে লেনদেনের জটিলতা রয়েই গেছে। ওটিসি মার্কেট গঠনের দুই বছর পেরিয়ে গেলেও লেনদেনে ইতিবাচক ধারা ফিরেনি। গত দুই বছরে ওটিসি মার্কেটে লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ৭৪ লাখ ৬৭ হাজার ৩২৬ টাকার শেয়ার। বৃহস্পতিবার ওটিসি সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এদিকে ওটিসি মার্কেটে থাকা ৬৮টি কোম্পানির মধ্যে ৪৪টি কোম্পানিতে গত দুই বছরে (৯ মে ২০১০-২৭ জুন ২০১২ পর্যন্ত) ৫৫ লাখ ৬৫ হাজার ২৬৫টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে মাত্র ১৭ কোটি ৭৪ লাখ ৬৭ হাজার ২৬৫ টাকার। বাকি ২২টি কোম্পানি কোনও শেয়ার লেনদেন হয়নি। ডিএসই সূত্রে জানা যায়, লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে অ্যাপেক্স ওয়েভিং অ্যান্ড ফিনিশিং মিলস লিমিটেড ৭১ হাজার ৪৭০টি শেয়ার ৪৬ লাখ ৭৩ হাজার ৮৬০ টাকা, বাংলাদেশ ডায়িং অ্যান্ড ফিনিশিং লিমিটেড ৮০টি শেয়ার ৪ হাজার ৬২০ টাকা, বিডি লাগেজের ৩০০টি শেয়ার আট হাজার ১৮৮ টাকায়, বিডি জিপার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ৪৫০টি শেয়ার আঠার হাজার ৫০ টাকা, বেঙ্গল ফাইন কেমিক্যালসের ২০৪টি শেয়ার ১১ হাজার ৩০২ টাকায়, বেঙ্গল বিস্কুট লিমিটেড ১১ হাজার ৫২০টি শেয়ার ৯ লাখ ৫১ হাজার ৬১৪ টাকা, বিডি মনোস্পুল পেপারের ৬২ হাজার ৫৬১টি শেয়ার ৫৮ লাখ ৬৭ হাজার ৩৬০ টাকায়, এক্সসেলসিয়র সুজ ১৬ হাজার ২৭৩টি শেয়ার ৬ লাখ ৬৪ হাজার ১১৮ টাকায়, গচি হাটা একুয়াক্যালচার ফার্মস লিমিটেড ৩০০টি শেয়ার ১৮ হাজার ৮৫০ টাকা, গলফ ফুডস লিমিটেড ৪২ হাজার ১০০টি শেয়ার ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৫০০ টাকা, লেক্সকো লিমিটেড ১ লাখ ৩০ হাজার ৬৫০টি শেয়ার ১৫ লাখ ৯৭ হাজার ৫০ টাকা, মেঘনা শ্রিম্প কালচার লিমিটেড ৩০ হাজার ১২০ টি শেয়ার ১৭ লাখ ৯১ হাজার ৭০ টাকা, মিতা ট্রেক্সটাইল লিমিটেড ২ হাজার ৭৬০টি শেয়ার ১ লাখ ৫২ হাজার ৩১০ টাকা, মডার্ন সিমেন্টের ২ লাখ ১৯ হাজার শেয়ার ১৫ লাখ ৩৭ হাজার ৪৩০ টাকায়, মুন্নু ফেব্রিকসের ২৫ লাখ ৬৫ হাজার ৪৫০টি শেয়ার ১ কোটি ৩৩ লাখ ৪৪ হাজার ৮৭৫ টাকায়, পদ্মা সিমেন্টের ১ লাখ ৯১ হাজার শেয়ার ১৭ লাখ ৪ হাজার টাকায়, পদ্মা প্রিন্টের ২ হাজার ২০০টি শেয়ার ১৯ হাজার ৭৫০ টাকায়, পেপার প্রসেসিংয়ের আট হাজার শেয়ার ছয় লাখ ৪০ হাজার টাকায়, কাসেম সিল্কের ১০ হাজার ৫০০টি শেয়ার ৭১ হাজার ৫০ টাকায়, শ্রীপুর টেক্সটাইল মিল্স লিমিটেডের ১ হাজার ৫০টি শেয়ার ৪৪ হাজার ৫২৫ টাকায়, দি ইঞ্জিনির্য়াস লিমিটেডের ৬০০টি শেয়ার ৬৬ হাজার টাকা, ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়েজ লিমিটেডের ৪ হাজার ৪৩২টি শেয়ার ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৮৫ টাকায়, আল আমিন কেমিক্যাল ১ হাজার শেয়ার ৪ হাজার টাকা, আলফা টোব্যাকো ৫৫০টি শেয়ার ১০ হাজার ৮৩৫ টাকা, আরবি টেক্সটাইল ১৫ লাখ ৪৬ হাজার ৩৮০টি শেয়ার ১ কোটি ১৫ লাখ ৯৭ হাজার ৮৫০ টাকা, আশরাফ টেক্সটাইল ৩ লাখ ৯২ হাজার ৩৫০ টাকা, বাংলাদেশ ক্যামিক্যাল ৪৭৪টি শেয়ার ২৪ হাজার ৮৮ টাকা, বায়োনিক সিফুড ১ হাজার শেয়ার ২ হাজার টাকা, ডেন্ডি ডায়িং ৩৫০টি শেয়ার ২৪ হাজার ১৫০ টাকা, ঢাকা ফিশারিজ ৭৫০টি শেয়ার ২ লাখ ৫৮ হাজার ৭০০ টাকা, হিমাদ্রী লিমিটেড ১২ হাজার ৬৬৬টি শেয়ার ১ লাখ ১ হাজার ৩২৮ টাকা, মোনা ফুড ৫০টি শেয়ার ২ হাজার ২০০ টাকা, কাশেম টেক্সটাইল ৩ হাজার শেয়ার ২৬ হাজার ৫৫০ টাকা, রহমান কেমিক্যাল ৩৫০টি শেয়ার ৫৫ হাজার টাকা, রোজ হ্যাভেন বলপেন ৫০০টি শেয়ার ৯ হাজার টাকা, সোনালী পেপার ২ লাখ ১ হাজার ৫০ লাখ ২৯ হাজার ৮২০ টাকা, ইউসূফ ফাওয়ার ১ হাজার ৫০০টি ৩৫ হাজার ৭০০ টাকা,  রেইনউইক লিমিটেড ২০টি ১৭ হাজার ৩০০ টাকা, সিয়ামপুর সুগার ১ হাজার শেয়ার ২৩ হাজার টাকা, ইউসিবি ২২ হাজার ৬৯০টি ১২ কোটি ৩০ লাখ ৩৬ হাজার টাকা, তমিজউদ্দীন টেক্সটাইল ১০০টি শেয়ার ৭ হাজার ৭০০ টাকা এবং ওয়াটার কেমিক্যালের ৪০টি শেয়ার ৮ হাজার ৯৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর দুর্বল ভিত্তি আর লেনদেন প্রক্রিয়ার জটিলতার বাজারে চলছে এ অচলাবস্থা। যার কারণে ওটিসি মার্কেটে ক্রেতা পেতে কষ্ট হয় বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। এ মার্কেটে লেনদেনে ব্যাপক জটিলতা রয়েছে। ক্রয় বিক্রয় করতে গেলে তৃতীয় পক্ষ হয়ে আসতে হয়। এর পরও শেয়ার ক্রয় বা বিক্রয় করতে সময় নিচ্ছে কমপক্ষে দুই সপ্তাহ। যার কারণে ওটিসি মাকের্ট ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়ছে বলে মনে করছেন তারা। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ৫ অক্টোবর দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ওটিসি মার্কেট চালু করা হয়। শেয়ারবাজারে সবচেয়ে দুর্বল মৌলভিত্তির কোম্পানিগুলোকে এই বাজারে তালিকাভুক্ত করা হয়।  যেসব কোম্পানিগুলোর বেশিরভাগই বার্ষিক সাধারণসভা (এজিএম) না করা, শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ না দেওয়া এবং স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্তি নবায়ন ফি বকেয়া পড়ায় বিভিন্ন সময়ে প্রধান বাজার থেকে কোম্পানিগুলোকে তালিকাচুত্য করা হয়। এ ছাড়া কাগজের শেয়ারকে ইলেকট্রনিক শেয়ারে রূপান্তর বা ডিম্যাট না করার কারণেও কয়েকটি কোম্পানিকে ওটিসিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে ওটিসি মাকেটে কোম্পানির সংখ্যা ৬৮টি।
তালিকাচ্যুত ৩৭ কোম্পানির কাছে আটকে আছে বিনিয়োগকারীদের ১৩১ কোটি টাকা
এসএমএ কালাম
অনিয়মের অভিযোগে পুঁজিবাজার থেকে তালিকাচ্যুত করায় বাজার থেকে হারিয়ে গেছে ৩৭টি কোম্পানি। হারিয়ে যাওয়া এসব কোম্পানির কাছে আটকে আছে বিনিয়োগকারীদের ১৩১ কোটি ৩৬ লাখ ৫৮ হাজার ৫০০ টাকা। বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। শেয়ারবাজার থেকে তালিকাচ্যুত হওয়ার কারণে হারিয়ে যাওয়া এসব কোম্পানি থেকে টাকা ফেরত নিতে পারছে না সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এবং ফেরত পাওয়াটাও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এতে করে হাজার হাজার ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। এদিকে এসব কোম্পানির স্থাবর-অস্থাবর কোটি কোটি টাকার সম্পদ ভোগ করছেন এককভাবে কোম্পানির পরিচালকরা। বিনিয়োগকারীদের টাকা লুট করে আরাম আয়েশে পরিচালকরা দেশ বিদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন হাওলাদার পিভিসি পাইপে বিনিয়োগ করা রফিকুল ইসলাম নামে একজন বিনিয়োগকারী। তিনি বলেন, “আমি বেশ কিছু টাকা হাওলাদার পিভিসিতে বিনিয়োগ করেছিলাম। সেখান থেকে অর্থ উপার্জন করে কিছু করবো ভেবেছিলাম। কিন্তু এ কোম্পানি তালিকাচ্যুত করায় কোম্পানির সঙ্গে সঙ্গে আমার টাকাও হারিয়ে গেছে। এ টাকা পাওয়ার আর কোনো আশা নেই।” এ ব্যাপারে ডিএসইর প্রেসিডেন্ট রকিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, “যে সব কোম্পানি তালিকাচ্যুত হয়েছে, সে সব কোম্পানির পরিচালকদের উচিত মানবতার স্বার্থে বিনিয়োগকারীদের অর্থ ফিরিয়ে দেওয়া। বিনিয়োগকারীরা বাজারের প্রাণ। তাই তাদের স্বার্থ দেখা উচিত।” রকিবুর রহমান বলেন, “এখন থেকে যে সব কোম্পানি তালিকাভুক্ত হবে, অবশ্যই তা খুব যাচাই বাছাই করে আসতে হবে। যাতে করে কোনো কোম্পানি তালিকাভুক্ত হওয়ার পর তালিকাচ্যুত না হতে হয়। এ ক্ষেত্রে এসইসির নেওয়া ২ সিসি আইনটি ভ‍ূমিকা রাখবে।”  তিনি বলেন, “যখন কোনো কোম্পানি ৩০ শতাংশ শেয়ার এবং ব্যক্তিগত ২ শতাংশ শেয়ার ধারণ করবেন, তখন তার কোম্পানির প্রতি দরদ থাকবে।
এর ফলে ডিলিস্টেড হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।” এদিকে বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, এসইসির পরিচালকদের ২ শতাংশ শেয়ার রাখার বাধ্যবাধকতা রাখায় ভবিষ্যতে কোনো কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের নিয়ে খেলা করতে পারবে না। তবে তালিকাচ্যুত কোম্পানির থেকে বিনিয়োগকারীদের টাকা ফেরতের ব্যাপারে এসইসিসহ সবাইকে উদ্যোগ নেওয়া উচিত। অন্যদিকে, যে ৩৭টি কোম্পানি তালিকাচ্যুত হয়েছে, সেগুলো হলো- চাঁদ টেক্সটাইল, চাঁদ স্পিনিং, ডেল্টা জুট, গসিয়া জুট, প্যানথার স্টিল, আনোয়ারা জুট, স্পেশালাইজড জুট, সমশের জুট, পেপার কনভারটিং, হাওলাদার পিভিসি, এ্যারোমা টি, ফ্রগলেস, সোয়ান টেক্সটাইল, পি.পি.আই, মিলিয়ন টেনারি, নিউ ঢাকা মিলস, আহাদ জুট মিল, ইসলামি জুট মিলস, হাইস্পিড সিপ, মিউচ্যুয়াল জুট, বেঙ্গল স্টিল, করিম পাইপ, এবি বিস্কুট, ঢাকা ভ্যাজিটেবল, প্যারাগন লেদার, রূপন অয়েল, ন্যাশনাল অক্সিজেন, এসটিএম, জেম নিটওয়ার, জেএইচ কেমিক্যাল, মার্ক বাংলাদেশ, টেক্সপি ইন্ডাস্ট্রিজ, মেঘনা ভ্যাজিটেবল, ঈগল বক্স, রাবেয়া ফাওয়ার, ই এল কেমিক্যাল এবং জিএমজি ইন্ডাস্ট্রিয়াল। উল্লেখ্য, কোম্পানিগুলো নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়লে ১৯৯৪ সালের জুলাই থেকে ২০১০ সালের ২০ অক্টোবর পর্যন্ত ১৬ বছরে কয়েক দফায় পুঁজিবাজার থেকে এসইসি তালিকাচ্যুত করে ১১৬টি কোম্পানি। এর মধ্যে ১৯৯৪ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ৩৬ এবং ২০০৯ থেকে ২০১০ সাল পর্যস্ত আরো ৮০টি কোম্পানিকে তালিকাচ্যুত করা হয়। সর্বশেষ ৮০টি তালিকাচ্যুত কোম্পানির মধ্যে ৬৯টি কোম্পানি বর্তমানে ওটিসি মার্কেটে এবং বাকি ১১টি কোম্পানি মূল মার্কেটে ফিরে আসে। কিন্তু ১৯৯৪ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত তালিকাচ্যুত ৩৬টি কোম্পানির বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি স্টক এক্সচেঞ্জ কিংবা এসইসি। অনিয়মের কারণে সর্বশেষ ২০১১ সালের ২০ জুন তালিকাচ্যুত করা হয় আরো ১টি কোম্পানি।
লন্ডনে এমিরেটসের ক্যাবল কার উদ্বোধন
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
টেমস নদীর ওপর দিয়ে যুক্তরাজ্যের প্রথম ‘আরবান এমিরেটস এয়ারলাইন ক্যাবল কার’ চলাচল শুরু করেছে। ক্যাবল কারটির স্পনসর দুবাইভিত্তিক বিমান সংস্থা এমিরেটস। লন্ডনের মেয়র বরিস জনসন, এমিরেটস এয়ারলাইনের প্রেসিডেন্ট টিম ক্লার্ক, লন্ডনের ট্রান্সপোর্ট কমিশনার পিটার হেনডি সিবিই এমিরেটস এয়ারলাইন ক্যাবল কারের সাহায্যে টেমস নদী পাড়ি দিয়ে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন গত ২৮ জুন। টেমস নদীর ৯০ মিটার ওপর দিয়ে ১ দশমিক ১ কিলোমিটার দীর্ঘ ক্যাবল কার লাইনটি নির্মিত হয়েছে। থেমস নদীর উভয় পাশে নির্মিত দুটি টার্মিনাল-এমিরেটস গ্রিনউইচ পেনিনসুলা ও এমিরেটস রয়াল ডকের মধ্যে ৩৪টি কেবিন বিরতিহীনভাবে চলাচল করবে। প্রতি ৩০ সেকেন্ড পরপর একটি করে কেবিন টার্মিনাল থেকে ছাড়বে এবং টেমস নদী পাড়ি দিয়ে অপর প্রান্তের টার্মিনালে পৌঁছতে ১০ মিনিট সময় লাগবে। পথচারি, হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী ও সাইকেল আরোহীরাও নতুন এ ক্যাবল লাইনটি ব্যবহার করতে পারবেন। টেমস নদী পাড়ি দেওয়ার সময় যাত্রীরা ৯০ মিটার ওপর থেকে লন্ডন শহর, ক্যানারি হোয়ার্ফ, ঐতিহাসিক গ্রিনউইচ, টেমস ব্যারিয়ার ও অলিম্পিক পার্কের মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য্য উপভোগের সুযোগ পাবেন। এমিরেটস এয়ারলাইন গত বছর অক্টোবর মাসে লন্ডনের মেয়র অফিস ও ট্রান্সপোর্ট অব লন্ডনের সঙ্গে ক্যাবল কার লাইন নির্মাণ সংক্রান্ত ৩৬ মিলিয়ন পাউন্ড স্টার্লিং এর একটি স্পনসরশিপ চুক্তি স্বাক্ষর করে। এমিরেটস লন্ডনে দৈনিক আটটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এছাড়াও বার্মিংহাম, ম্যানচেস্টার, নিউক্যাসেল ও গ্লাসগোতেও এয়ারলাইনটির নিয়মিত ফ্লাইট রয়েছে।
শপথ নিলেন মিসরের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
 সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে মিসরের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নিলেন মোহাম্মদ মুরসি । মিসরের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট এবং রাষ্ট্রের পঞ্চম প্রধান হিসেবে শনিবার রাজধানীর কায়রোতে সাংবিধানিক আদালতের সামনে শপথ নেন তিনি। উল্লেখ্য, রাজতান্ত্রিক শাসন উৎখাতের দীর্ঘ ৬০ বছর পর মিসরে এই প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত কোনো প্রেসিডেন্ট শপথ নিলেন । সংবাদমাধ্যম জানায়, শনিবার রাজধানী কায়রোতে নীলনদের তীরে অবস্থিত মিসরের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কনস্টিটিউশনাল কোর্টের সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নেন মুরসি। শপথ অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ আদালতের এক বিচারক বলেন, ‘আজ দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্রের জন্মদিন।’ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। প্রথা অনুযায়ী পার্লামেন্টের সামনে শপথ নিতে চেয়েছিলেন মুরসি। কিন্তু মোবারক পরবর্তী মিসরের ক্ষমতাসীন সামরিক পরিষদ নির্বাচিত পার্লামেন্টকে বিলুপ্ত করলে সে পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। তবে শুক্রবার তাহরির স্কয়ারের সমাবেশে তিনি জনগণের সামনে প্রতীকী শপথ নেন এবং গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা যে কোনো মূল্যে অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেন। মাত্র একদিন আগে তাহরির স্কয়ারের সমাবেশে দেওয়া ঐতিহাসিক ওই বক্তৃতায় তিনি মিসরের সামরিক বাহিনীর জেনারেলদের সর্তক করে বলেন, প্রেসিডেন্টের ক্ষমতায় হস্তক্ষেপের কোনো চেষ্টা বরদাস্ত করবেন না তিনি। তাহরির স্কয়ারের ভাষণে মিসরে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠারও অঙ্গীকার করেন তিনি। পাশাপাশি সংবিধানের গণতান্ত্রিক চরিত্র বজায় রাখারও অঙ্গীকার করেন। এসময় মুরসি বলেন, ‘কোনো প্রতিষ্ঠানই জনগণের জবাবদিহিতার ‍উর্দ্ধে নয়।’ ধারণা করা হচ্ছে বেসামরিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগির লড়াইয়ে লিপ্ত দেশটির সেনাবাহিনীর উদ্দেশ্যেই মুরসির এ মন্তব্য। তাহরির স্কয়ারে শনিবারের ভাষণের এক পর্যায়ে ভাষণ মঞ্চ থেকে বেরিয়ে জনতার কাছাকাছি চলে আসেন প্রেসিডেন্ট মুরসি । তিনি তার পরিহিত জ্যাকেট খুলে ফেলে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, তার শরীরে কোনো বুলেট প্রুফ জ্যাকেট নেই। তিনি বলেন, ‘আমি আমার জনগণকে ভয় করি না। সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আমি আর কাউকেই ভয় করি না।’ এ সময় মুরসি অঙ্গীকার করেন, তিনি বিপ্লবের সময় আটক বেসামরিক নাগরিকদের মুক্তির জন্য কাজ করে যাবেন। মিসরের মানবাধিকার সংগঠনগুলোর ধারণা, আন্দোলনের সময় আটক প্রায় ১২ হাজার বেসামরিক নাগরিককে বর্তমানে সামরিক আদালতে বিচারের সম্মুখীন করার প্রক্রিয়া চলছে। শনিবারের ভাষণে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ব্যাপারেও কথা বলেন মুরসি। প্রতিবেশী আফ্রিকান এবং মধ্যপ্রাচ্যের রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের অঙ্গীকার করে এ অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখার চেষ্টা করবেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। এখন থেকে মিসরের পররাষ্ট্রনীতিতে জনগণের ইচ্ছাই প্রতিফলিত হবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
দুই দশক পর মিয়ানমারে মার্কিন রাষ্ট্রদূত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
এশিয়া বিশেষজ্ঞ ডেরেক মিশেলকেই মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত করেছে মার্কিন সিনেট। গত শুক্রবার সিনেট যুক্তরাষ্ট্রের এশিয়া বিষয়ক ঝানু এ নীতি নির্ধারককে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেয়। সাম্প্রতিক মিয়ানমারে রাজনৈতিক সংস্কারের প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ ২২ বছর পর দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক পুনস্থাপনের অংশ হিসেবে রাষ্ট্রদূত নিয়োজিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সুপরিশকৃত ব্যক্তিই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এ দেশে কূটনীতি হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন। গণতান্ত্রিক সংস্কারের পথে চলা মিয়ানমারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার নেতৃত্ব দিতে ডেরেকের নাম বিনা বিতর্কে সিনেটে অনুমোদন পায়। এশিয়ার রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করছেন ডেরেক। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারের রাজনৈতিক ইতিহাস এবং ক্রমবিবর্তন তিনি খুব ভালভাবে বোঝেন। আর এ কারণে এদেশে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন বলে আশা করছে ওবামা সরকার। মিয়ানমারে সামরিক শাসন কায়েম হলে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ভারতসহ অনেক দেশ সেনা সরকারের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে। ১৯৮৮ সালে মিয়ানমারে গণতন্ত্রের দাবিতে আন্দোলন এবং ১৯৯০ সালে অং সান সু চির দল নির্বাচনে জয় পেলেও সামরকি জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানালে দূতাবাস বন্ধ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তবে সম্প্রতি সাবেক জেনারেল প্রেসিডেন্ট থেইন সিনের নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক সংস্কার, রাজনৈতিক বন্দি মুক্তি এবং সু চির দলকে মূলধারার রাজনীতিতে ফেরার অনুমতি দেওয়ায় মিয়ানমারের ব্যাপারে অনেক নমনীয় হয়েছে পশ্চিমা বিশ্ব। আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন মিয়ানমারের প্রতি এখন সবাই আগ্রহ দেখাচ্ছে। এদিকে মিয়ানমারের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে সেখানে বিনিয়োগ এবং আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যারের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। গত বুধবার ডেরেকের নাম চূড়ান্ত করার ব্যাপারে সিনেটে অনুষ্ঠিত শুনানিতে সিনেটররা মিয়ানমারে মার্কিন কোম্পানিকে বিনিয়োগের অনুমতি দেওয়ার জন্য ওবামা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। তারা বলেন, মিয়ানমারে অবরোধ শিথিল করার অংশ হিসেবে মার্কিন জ্বালানি কোম্পানিগুলোকে বিনিয়োগের অনুমতি দেওয়া উচিৎ। তা না হলে মিয়ানমারে মার্কিন কোম্পানি অন্য বিদেশি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা। শুনানিতে ডেরেক বলেন, মিয়ানমারের তেল এবং গ্যাস ক্ষেত্রে বিনিয়োগের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে এ শিল্পে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি নিয়ে সিনেটরদের মতো একই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। অবশ্য মিয়ানমারের সংস্কার প্রক্রিয়া আর পেছন ফেরার মতো নয় বলে মন্তব্য করেছেন ডেরেক। কিন্তু কারাগারে আটক কয়েকশ’ রাজনৈতিক বন্দিকে নিয়ে উদ্বেগ রয়েই গেছে বলে উল্লেখ করেন ডেরেক মিশেল।
জঙ্গি সমস্যা নয় ভারতকেই বড় হুমকি মনে করে পাকিস্তানিরা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
তালেবান, আল কায়েদা বা স্থানীয় জঙ্গি সংগঠনগুলো নয় বরং ভারতকেই সবচে বড় হুমকি বলে মনে করে পাকিস্তানের সাধারণ জনগণ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পিউ রিসার্চ সেন্টারের গ্লোবাল অ্যাটিচুড প্রজেক্টের আওতায় পাকিস্তানে পরিচালিত এক সাম্প্রতিক জরিপে এমন পর্যবেক্ষণ পাওয়া গেছে। জরিপে দেখা গেছে, প্রতি পাঁচ জনে একজন পাকিস্তানি ভারতের ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে। কিন্তু একই সঙ্গে ১০ জনে ৬ জন পাকিস্তানিই মনে করে প্রতিবেশী ভারতই তাদের সবচে বড় হুমকি। তবে বর্তমানে মোট জনসংখ্যার ২২ শতাংশ মানুষ ভারতের ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে- এ অনুপাতকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি বলেই বিবেচনা করা হচ্ছে। কারণ গত বছরই এ হার ছিল মাত্র ১৪ শতাংশ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালে জরিপ শুরুর পর থেকেই দেখা গেছে, পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ তাদের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও উন্নয়নের পথে সবচে বড় হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে ভারতকে।
আর এ অনুপাত দিনে দিনে বাড়ছে বলে মনে হচ্ছে। জরিপে দেখা যাচ্ছে, যেখানে ২০০৯ সালের তুলনায় এ হার ১১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯ শতাংশে। তবে একই সময় তালেবানের ব্যাপারে তাদের নিরাপত্তা ভীতি ৯ শতাংশ কমে গেছে। তবে এসব নেতিবাচক পরিসংখ্যান সত্ত্বেও এখন ৬২ শতাংশ পাকিস্তানি মনে করে, প্রতিবেশী এ দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন জরুরি। আর দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য শুরু এবং দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনে আরো আলোচনা প্রয়োজন বলে মনে করে দুই তৃতীয়াংশ মানুষ।  অন্যদিকে ভারতীয়দের মধ্যেও বেশিরভাগ মানুষ পাকিস্তানের সঙ্গে আলো ভাল সম্পর্ক, বাণিজ্য এবং সম্পর্কোন্নয়নে আরো সংলাপ চায়। কিন্তু তারপরও পাকিস্তানের ব্যাপারে এখনো বিপুল সংখ্যক ভারতীয় নেতিবাচক ধারণা পোষণ করেন। প্রায় ১০ জনে ৬ জন বা ৫৯ শতাংশ ভারতীয় পাকিস্তানের ব্যাপারে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। তবে ২০১১ সালের ৬৫ শতাংশের তুলনায় তা সামান্য কমেছে। অপরদিকে ৭৪ শতাংশ পাকিস্তানি যুক্তরাষ্ট্রকে শত্রু ভাবে। আর প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে তারা সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের চেয়ে ভাল বলে মনে করে না। এ হার গত চার বছরে বেড়েই চলেছে বলে জানিয়েছে পিউ। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো- পাকিস্তানের ব্যাপারে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করে এমন দেশের মধ্যে ভারত ছাড়াও আরো কয়েকটি দেশ রয়েছে। এমনকি এর মধ্যে মুসলিম প্রধান রাষ্ট্রও রয়েছে। জরিপে দেখা গেছে, জরিপের আওতায় সাতটি দেশের মধ্যে ছয়টি দেশের মানুষই পাকিস্তানকে ভাল রাষ্ট্র হিসেবে পাস নম্বর দিতে চায়নি। এর মধ্যে রয়েছে- চীন, জাপান, মিশর, জর্দান এবং তিউনিসিয়া। এদিকে পাকিস্তানি এবং ভারতীয় জনাসাধারণের সবাই একমত যে, সম্পর্ক উন্নয়নে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানকেই অগ্রাধিকার দিতে হবে। ১০ জনে ৮ জন পাকিস্তানি এবং ১০ জনে ৬ জন ভারতীয় মনে করেন, কাশ্মীর বিরোধ মেটানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।ওয়াশিংটন ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চ সেন্টার এ মতামত জরিপে পাকিস্তানের এক হাজার ২শ’ ৬ জন মানুষের প্রত্যক্ষ সাক্ষাৎকার নিয়েছে। গত ২৮ মার্চ থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত তারা এ জরিপ চালায়।
পৃথিবীতে ফিরলেন চীনের তিন নভোচারী 
আন্তর্জাতিক ডেস্ক 
মহাকাশে তেরো দিনের ঐতিহাসিক অভিযান শেষে পৃথিবীতে অবতরণ করলেন চীনের তিন নভোচারী। স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল ১০টা ৫ মিনিটে মঙ্গোলিয়ার অভ্যন্তরে তিন নভোচারীকে বহনকারী ক্যাপসুলটি প্যারাসুটের সহায়তায় নিরাপদে অবতরণ করে।
এ সপ্তাহের প্রথমে তিয়াংগং-১’র সঙ্গে তাদের বহনকারী ক্যাপসুলটির সফল ম্যানুয়েল ডকিং শেষে তারা পৃথিবীতে ফিরে এলেন। চীনের প্রথম নারী নভোচারী লিউ ওয়াংসহ তিন জনের এ দলের ভূপৃষ্ঠ স্পর্শ করার দৃশ্যটি চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। ২০২০ সালের মধ্যে চীনের নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন স্থাপনের লক্ষ্য অর্জনে এটি একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। মহাকাশ গবেষণা ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পাশপাশি চীন নিজের স্বতন্ত্র অবস্থান জানিয়ে দিচ্ছে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন। চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাও এ মহাকাশ যাত্রাকে একশ’ ভাগ সফল বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘মহাকাশ সম্পর্কিত জ্ঞান লাভে এবং অভিযানের ব্যাপারে চীনের চেষ্টায় এ এক অনন্য সংযোজন।’ অভিযান শেষে পৃথিবীতে ফিরে আসার অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে লিউ ওয়াং বলেন, ‘পৃথিবীর মাটিতে দাঁড়িয়ে আমার খুবই ভাল লাগছে। আর নিজের বাড়িতে ফেরার অনুভূতি তার চেয়েও আনন্দদায়ক।’ চীনের প্রথম নারী নভোচারী লিউ ইয়াং মহাকাশ স্টেশনের ব্যাপারে বলেন, ‘তিয়াংগং-১ আরামদায়ক এবং আনন্দদায়ক ছিল। এটা নিয়ে আমরা গর্বিত।’ প্রসঙ্গত, ১৯৬০’র দশকে রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানুয়েল ডকিং কার্যক্রমের পর চীনই প্রথম নিজস্ব তত্ত্বাবধানে মহাকাশে সফলভাবে ম্যানুয়েল ডকিং সম্পন্ন করল। এ যাত্রায় স্বয়ংক্রিয় ডকিংও সম্পন্ন করেছে চীন। নভোচারীদের প্রত্যেকেই সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম।
টম-হোমস বিচ্ছেদ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক 
হলিউডের হার্টথ্রব হিরো টম ক্রুজ আর কেটি হোমসের দাম্পত্য জীবনের ইতি ঘটেছে। দীর্ঘ পাঁচ বছরের সংসার ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তরুণ প্রজন্মের এ জনপ্রিয় জুটি। বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তটি হোমসের পক্ষ থেকেই এসেছে। সেলিব্রেটিদের বিয়ে বিচ্ছেদ সম্পর্কিত আইনজীবী জোনাধস উলফ এ খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘এটা তাদের একেবারে ব্যক্তিগত এবং গোপনীয় বিষয়।’ হলিউডের সুখী দম্পতিদের একটি বলে বিবেচনা করা হতো এই টম-হোমস দম্পতিকে। ছয় বছর আগে তাদের ঘর আলো করে জন্ম নেয় সুরি ক্রুজ। অবশ্য ৪৯ বছর বয়সী এ অভিনেতার আরো দু’টি সন্তান রয়েছে। নিকোল কিডম্যানের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর টম ক্রুজের জীবন যখন কেটি হোমসের সঙ্গে বাঁধা পড়ে তখন মনে করা হয়েছিল এ জুটি শেষ পর্যন্ত টিকে যাবে। কিন্তু সেলিব্রেটিদের দাম্পত্য জীবন তাসের ঘর তা টম-হোমস দম্পতি আবারো প্রমাণ করলেন। উল্লেখ্য, কেটি হোমসের (৩৩) সঙ্গে টমের বিয়ে হয় ২০০৬ সালের নভেম্বরে। ইতালির একটি প্রাচীন দূর্গে বেশ জাঁকজমকের সঙ্গে বিয়ে অনুষ্ঠান হলেও এটা ছিল টমের তৃতীয় বিয়ে। টম ক্রুজের একজন মুখপাত্র বিবিসিকে জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে ডিভোর্স পেপার দাখিল করেছেন কেটি হোমস। তবে স্ত্রীর এ সিদ্ধান্তে খবই দুঃখভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছেন টম। এখন তিন সন্তানের দিকে একাগ্রে মনোযোগ দিতে চান তিনি।
বলিউডের ছবিতে শোয়ার্জেনেগার
ইশানা ইশরাত
‘টার্মিনেটর’ খ্যাত হলিউড অ্যাকশন সুপার স্টার আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগার এবার অভিনয় করছেন বলিউডের ছবিতে। পরিচালক ভারিন্দর সিংয়ের নতুন ছবি ‘ফতেহ-দ্য ভিক্টরি’-তে অভিনয়ের ব্যাপারে শোয়ার্জেনেগার সম্মতি দিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো চুক্তি সম্পাদন হয়নি বলে জানা গেছে। পাঞ্জাবের সাবেক খ্যাতিমান কুস্তিগির ও শরীরবিদ ভারিন্দর সিং সম্প্রতি মিডিয়াকে জানিয়েছেন, এশিয়ায় স্বাস্থ্য বিষয়ক কিছু কর্মকান্ড পরিচালনার সময় হলিউডের অ্যাকশন হিরো আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগারের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠে।  এসময় তিনি তার নতুন ছবি ‘ফতেহ-দ্য ভিক্টরি’ তে অভিনয়ের জন্য  শোয়ার্জনেগারকে অনুরোধ জানান। এ অনুরোধে তিনি ইতিবাচক সাড়া দেন। এ প্রসঙ্গে ভারিন্দর সিং বলেন, আর্নল্ড শোয়ার্জেনাগার আমার শরীর চর্চার রুল মডেল। তাকে সামনে রেখেই আমি শরীর চর্চায় অনুপ্রাণিত হই। শরীর চর্চা সম্পর্কিত কার্যক্রমে অংশ নিতে গিয়েই তার সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠে।
ভারিন্দর সিং বলেন, ‘ফতেহ-দ্য ভিক্টরি’ ছবির গল্প শুনে শোয়ার্জেনাগার আগ্রহী হয়ে উঠেন এবং আমার ছবিতে অভিনয় করবেন বলে কথা দেন। যদিও এখন পর্যন্ত তার সঙ্গে আমার কোনো চুক্তি সম্পাদন হয় নি। তবু আমি মনে করি, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আমার ছবির মধ্য দিয়েই বলিউডে অভিনয় করতে যাচ্ছেন তিনি। শরীর চর্চায় গোল্ড মেডেল বিজয়ী সাবেক কুস্তিগির ভারিন্দর সিং আরো জানিয়েছেন, সর্বশেষ স্পেনে স্বাস্থ্য ও শরীর চর্চা সম্পর্কিত একটি ফোরামে শোয়ার্জেনাগারের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়। সেখানেও শিগগিরই তিনি আমার ‘ফতেহ-দ্য ভিক্টরি’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য সময় দেবেন বলে আমাকে আশ্বাস দেন। ক্যালিফোর্নিয়ার সাবেক গভর্ণর আর্নল্ড শোয়ার্জেনাগার রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে সম্প্রতি আবার অভিনয়ে ফিরে এসেছেন। পাশাপাশি তিনি বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী স্বাস্থ্য সংস্থার শুভেচ্ছা দূত হিসেবে ইউরোপ ও আমেরিকায় কাজ করছেন।
খলনায়ক হয়ে চলচ্চিত্রে আসছেন অপূর্ব
বিপুল হাসান
ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা অপূর্ব আসছেন বড়পর্দায়। সাফি উদ্দিন সাফি পরিচালিত ‘পূর্ণ দৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী’ ছবিতে অপূর্ব কাজ করবেন। ছবিতে তাকে দেখা যাবে খলনায়ক হিসেবে। অপূর্ব এর আগে মোরশেদুল ইসলাম পরিচালিত ‘বৃষ্টির দিন’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। তবে ছবিটির সিংহভাগ শুটিং হয়ে যাবার পর গত প্রায় চার বছর ধরে নির্মাণ কাজ বন্ধ আছে। এতে অপূর্বর বিপরীতে অভিনয় করছিলেন শশী। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ‘বৃষ্টির দিন’ ছবির ভবিষ্যত অনেকটাই অনিশ্চিত।
চলচ্চিত্রে নিজেকে মেলে ধরার আরেকটি সুযোগ এসেছে অপূর্বর কাছে। সম্প্রতি পরিচালক সাফি উদ্দিন সাফির সঙ্গে তার ‘পূর্ণ দৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী’ ছবিতে অভিনয়ের ব্যাপারে অপূর্ব চুড়ান্ত কথা হয়। সবকিছু ঠিক থাকলে এ ছবিতে অপূর্ব দেখা যাবে খলনায়কের ভূমিকায়। এতে প্রথমবারের মতো জুটি হয়ে কাজ করতে যাচ্ছেন শীর্ষনায়ক শাকিব খান ও সময়ের সেরা অভিনেত্রী জয়া আহসান। ‘পূর্ণ দৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী’ ছবিতে কাজ করা প্রসঙ্গে অপূর্ব বাংলানিউজকে বলেন, গত ৩০ জুন রাতে পরিচালকের সাথে আমার ছবিটির গল্প নিয়ে কথা হয়েছে। গল্পটি আমার বেশ পছন্দ হয়েছে। পারফর্মিং মিডিয়ার সবচেয়ে বড় প্লাটফর্ম চলচ্চিত্র। একজন অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্রে কাজ করার ইচ্ছে আমার অনেকদিনের।এর আগে চলচ্চিত্রে কাজ করলেও শেষ পর্যন্ত সেটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দর্শকরা আমাকে চলচ্চিত্রে দেখতে পান নি।  ‘পূর্ণ দৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী’ ছবিটির গল্প এবং চরিত্র আমার ভালো লাগায় আমি কাজ করার সম্মতি জানাই। তবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো চুক্তি সম্পাদন হয় নি। সবকিছু যদি ঠিকঠাক থাকে তবেই আমাকে এ ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যাবে। বির পরিচালক সাফি উদ্দিন সাফি বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের দিন বদলের স্বপ্ন নিয়েই ‘পূর্ণ দৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী’ ছবিটির কাজে হাত দিয়েছি। এ ছবিতে থাকে অনেক চমক। প্রথম চমক হলো শাকিব খান আর জয়া আহসান এতে জুটি বেঁধে অভিনয় করছেন। দ্বিতীয় চমক হিসেবে অপূর্ব এ ছবিতে এন্টি হিরো হিসেবে অভিনয় করবেন। অপূর্বর সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন না হলেও অভিনয়ের ব্যাপারে চুড়ান্ত কথা হয়েছে। এরকম বেশ কিছু চমক থাকছে আমার এ ছবিটিতে। আশা করছি, এ ছবিটির মাধ্যমে হল বিমুখ দর্শককে আমার সিনেমা হলে ফিরিয়ে আনতে পারবো। ফ্রেন্ডস মুভিজ ইন্টারন্যশনাল প্রযোজিত ‘পূর্ণ দৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী’ ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন রুম্মান রশীদ খান। ছবিটিতে শাকিব খান, জয়া আহসান ও অপূর্ব ছাড়াও অভিনয় করবেন সাজু খাদেম, নায়ক রাজ রাজ্জাকসহ আরও অনেকে। ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী’ ছবির পরিচালক সাফি উদ্দিন সাফি বাংলানিউজকে জানান, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই ছবিটির শুটিং শুরু হবে। সেপ্টেম্বর মাসে শুটিং করবেন মালয়েশিয়ায়। এরই মধ্যে ছবিটি গান রেকর্ডিংয়ের প্রস্তুতি চলছে। ছবির সবগুলি গান লিখছেন কবির বকুল। অন্য সবকিছর মতো এ ছবির গানেও থাকছে চমক।
ঢাকায় ফিরেই অভিনয়ে ব্যস্ত মোনালিসা
বিনোদন প্রতিবেদক
নন্দিত মডেল ও অভিনেত্রী মোনালিসা ঢাকায় ফিরেছেন। সম্প্রতি ঢালিউড অ্যাওয়ার্ডে পারফর্ম করতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই গত ১৭ জুন সবাইকে হতবাক করে ফাইয়াজ শরীফ নামে প্রবাসী এক তরুণের সঙ্গে মোনালিসার বাগদান সম্পন্ন হয়। গত শনিবার সকালে তিনি ঢাকায় ফিরেছেন, তার হবু বর রয়ে গেছেন নিউইয়র্কেই। দেশে ফেরার পর বাংলানিউজ মোনালিসার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ভ্রমণজনিত কারণে ভীষণ কান্ত তিনি। আগামী দুদিন টানা বিশ্রাম নেবেন। তৃতীয় দিন থেকে যোগ দেবেন নাটকের শুটিংয়ে। দু সপ্তাহ দেশের বাইরে থাকায় ঈদের বেশ কিছু নাটকের কাজ তার জন্য আটকে আছে।
বর ফাইয়াজ শরীফ সম্পর্কে জানতে চাইলে মোনালিসা বলেন, পড়াশোনার চাপের জন্য এ মুহূর্তে তার পে দেশে আসা সম্ভব হয় নি। তবে দু’তিন মাসের মধ্যেই তিনি দেশে ফিরবেন। দুই পরিবারের আলোচনার মধ্য বিয়ে ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতার দিন তারিখ ঠিক হবে। কান্ত থাকায় মোনালিসা এর বেশি কিছু বলতে অপারগতা জানান। তিনি বলেন, এরই মধ্যে ফাইয়াজ সম্পর্কে যা কিছু জানা দরকার তা আপনারা দর্শক আর পাঠকদের জানিয়ে দিয়েছেন। আপাতত এইটুকুই থাক। ফাইয়াজ দেশে ফিরলে তার কাছ থেকেই বাকি সব শোনবেন। মোনালিসার বর ফাইয়াজ শরীফ ছোটবেলা থেকেই পরিবারের সঙ্গে নিউইয়ার্কে বাস করছেন। তিনি বাবা-মার একমাত্র সন্তান। কিছুদিন আগে ফাইয়াজ নিউইয়র্কের আয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োলোজিতে মাস্টার্স করেছেন। সম্প্রতি তিনি ক্যলিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে একই বিষয়ের ওপর পিএইচডি করার জন্য ভর্তি হয়েছেন। পিএইচডির কাগজপত্র তৈরির কাজে ব্যস্ত থাকায় তার পে দেশে ফেরা সম্ভব হয় নি বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, গত ১৭ জুন সম্পূর্ণ পারিবারিকভাবে মোনালিসার সঙ্গে ফাইয়াজ শরীফের বাগদান সম্পন্ন হয়। তাদের মাঝে কোনো পূর্ব পরিচয় ছিল না।এই বাগদানের প্রধান মধ্যস্থতাকারী ছিলেন মোনালিসার বড় বোন মুনিরা এবং তার স্বামী।
আবারও ঢাকা ঘুরে গেলেন পাওলি দাম
বিনোদন প্রতিবেদক
ভারতের কলকাতা ও হালে বলিউডের আলোচিত-সমালোচিত নায়িকা পাওলি দাম ঢাকা ঘুরে গেলেন। ২৯  জুন শুক্রবার রাজধানীর গুলশানের আল-হাসান ডায়মন্ড গ্যালারি উদ্বোধনের জন্য তার এই একদিনের ঝটিকা সফর। শুক্রবার বেলা ১টায় পাওলি দাম মুম্বাই থেকে একটি ফ্লাইটে ঢাকা আসেন। উঠেন হোটেল সোনারগাঁওয়ে। সন্ধ্যায় তিনি গুলশানের আল-হাসান ডায়মন্ড গ্যালারি উদ্বোধন করেন। এরপর তিনি গ্যালারি ঘুরে দেখেন, আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে কথা বলেন, ছবি তোলেন। প্রায় ঘন্টাখানেক তিনি আল-হাসান ডায়মন্ড গ্যালারির শোরুমে অবস্থান করেন। এ সময় বাংলানিউজ কথা বলে পাওলি দামের সঙ্গে। পাওলি দাম বলেন, এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশে এলাম। প্রথম এসেছিলাম গৌতম ঘোষের ‘মনের মানুষ’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য। এবছরই ফেব্রুয়ারিতে অ্যাপেক্স লাইফ ইজ বিউটিফুল ফ্যাশন শোতে অংশ নিতে আসি। সেখানে আমি অগ্নিমিত্রা পালের নকশা করা শাড়ি পরেছিলাম। বাংলাদেশ সম্পর্কে নিজের অনুভূতির কথা জানিয়ে পাওলি দাম বলেন, আমি বাংলাদেশেরই মেয়ে। আমার ঠাকুরদার জন্ম ফরিদপুরে। সেখানেই তারা তিনপুরুষ থাকতেন। দেশ বিভাগের সময় আমাদের পরিবার কলকাতা চলে আসে। আমার বাবার জন্ম কলকাতায়। আমি আমার পূর্বপুরুষের মাতৃভূমি বাংলাদেশকে খুব ভালোবাসি। সবসময় মনে করি, বাংলাদেশ আমার আরেকটি দেশ। বাংলাদেশের ছবিতে অভিনয়ের ইচ্ছে আছে কিনা জানতে চাইলে পাওলি দাম বলেন,  ‘মনের মানুষ’ তো বাংলাদেশেরই ছবি। আমি তাতে অভিনয় করেছি। এরপর কেউ তো ডাকেনি। বাংলাদেশের ছবিতে অভিনয়ের জন্য যদি ডাক পাই, অবশ্যই ভেবে দেখবো। চলতি বছরের এপিলে মুক্তি পাওয়া বলিউডের ছবি ‘হেট স্টোরি’-তে খোলামেলা অভিনয় করে পাওলি দাম বিতর্কিত হয়েছেন। খোলামেলা অভিনয়ের ব্যাপারে অভিমত জানতে চাইলে পাওলি দাম প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ‘হেট স্টোরি’ একটি ইউনিক ছবি। আমার ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট এটি। এ ধরনের ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পাওয়া একজন অভিনেত্রীর জন্য ভাগ্যের বিষয়। পাওলি দাম তার স্বল্প সময়ের ঢাকা সফর শেষ করে ৩০ জুন শনিবার খুব ভোরে মুম্বাই ফিরে গেছেন।
উড়ছেন মেহজাবীন
বিনোদন প্রতিবেদক
দীর্ঘদিনের স্বপ্নপূরণ হলে কার না ভালো লাগে? লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার ইভেন্টের শিরোপা জয়ের পর পরই মেহজাবিনের বড়পর্দায় অভিনয়ের কথা ছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত প্রজেক্টটি বাতিল হয়ে যাওয়ায় সেই স্বপ্ন থমকে যায়। দুবছর পর অবশেষে ‘পরবাসিনী’ ছবির মাধ্যমে বড়পর্দায় অভিনয়ের স্বপ্নটা পূরণ হলো। এ মুহূর্তে মেহজাবিন ফুরফুরে মেজাজে উড়ছেন আকাশে। বাংলানিউজের কাছে তিনি বলেছেন, প্রথম ছবির শুটিংয়ে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা। ‘লালটিপ’ খ্যাত পরিচালক স্বপন আহমেদের নতুন ছবি ‘পরবাসিনী’। এ ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করছেন মেহজাবিন। সায়েন্স ফিকশন ভিত্তিক এ ছবিতে তাকে দেখা যাবে ভিনগ্রহের প্রাণীর এক মজার চরিত্রে। ছবিতে তার বিপরীতে রয়েছেন নিরব। এ মুহূর্তে মেহজাবিন ছবিটির শুটিংয়ের কাজে অবস্থান করছেন সিলেটে। গতসপ্তাহে সিলেটের মাধবপুর, লালখান ও জৈন্তাপুর এলাকায় ছবিটির শুটিংয়ে অংশ নেন তিনি।
বড়পর্দার ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতা জানিয়ে মেহজাবিন বলেন, এক্সাইটেড ছিলাম খুব। কারণ দুবছর আগেই তো আমার চলচ্চিত্রে অভিনয়ের কথা ছিল। মানসিক প্রস্তুতিও ছিল। তাই ‘পরবাসিনী’ ছবির ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর সময় খুব একটা নার্ভাস লাগে নি। ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর আগে পরিচালক স্বপন আহমেদ আমাকে বেশ কিছু টিপস্ দিয়েছিলেন। মাথায় ছিল তার দেওয়া টিপসগুলো। তিনি বলেছিলেন, প্রথম দৃশ্য একবারে টেক করতে পারলে বুঝবো তোমাকে দিয়ে হবে। আমি সেই চ্যালেঞ্জ রাখতে পেরেছি। প্রথম শট একবারেই টেক হয়ে যায়।mehjabin মেহজাবিন আরো বললেন, সিলেটের পাহাড়, বন, জঙ্গল, খাল আর নদীতে শুটিং করছি। আমাকে খুব ছুটতে হচ্ছে। আগে কখনো এতটা ছুটেছি, মনে পড়ছে না। মনে মনে ভাবছি, আমি আসলে ছুটছি না উড়ছি। খুব ভালো লাগছে। ‘পরবাসিনী’ ছবিতে মেহজাবীন অভিনয় করছেন এরিস-৩২ গ্রহ থেকে পৃথিবীতে আসা এলিয়েনের চরিত্রে। ছবিতে তার নাম মেহেজ। একটি মিশন নিয়ে সঙ্গী-সাথীসহ মানুষের রূপ ধারণ করে সে পৃথিবীতে অবতরণ করে। তাদের উদ্দেশ্য মানুষের তৈরি অত্যাধুনিক স্যাটেলাইট প্রযুক্তি ধ্বংস করা। কারণ মানুষ পারমানবিক অস্ত্র নিয়ে নিজেরা নিজেরা যুদ্ধ করতে গিয়ে পৃথিবীতে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে দিয়েছে। পৃথিবীর পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মানুষ এবার এরিস-৩২ গ্রহে গিয়ে বসবাসের পরিকল্পনা করছে। এজন্য এরিস-৩২ গ্রহের প্রাণীরা মানুষের সমস্ত মহাকাশ প্রযুক্তি গুড়িয়ে দিতেই মেহেজের নের্তৃত্বে একটি দল পৃথিবীতে প্রেরণ করেছে। মেহেজ তার মিশন অনেকদূর এগিয়ে নিলেও একপর্যায়ে মানুষের প্রেমে পড়ে যায়। ভিনগ্রহের প্রাণী মেহেজের মধ্যে তৈরি হয় প্রেম আর অস্তিত্বের টানাপোড়েন। ভিনগ্রহের প্রাণীর চরিত্রে অভিনয় প্রসঙ্গে মেহজাবিন বললেন, প্রথমদিন শুটিংয়ে অংশ নেওয়ার পরপরই আমি নিজেকে অ্যালিয়েন ভাবতে শুরু করেছি। মনের মধ্যে সব সময় এই ব্যাপারটা কাজ করছে। ছবিতে আমার নাম মেহেজ। ইউনিটের সবাই কিন্তু আমাকে এই নামেই ডাকে। সুবিধাই হচ্ছে, সব সময় চরিত্রের মধ্যে থাকতে পারছি। লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর মেহজাবিন প্রথম ইফতেখার আহমেদ ফাহমির নির্দেশনায় ‘তুমি থাকো সিন্ধুপারে’ নাটকে অভিনয় করেন। এ নাটকে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন মাহফুজ আহমেদ।  এরপর তিনি একে একে কাজ করেন ‘মাঝে মাঝে তব দেখা পাই’, ‘কল সেন্টার’, ‘মেয়ে শুধু তোমার জন্য’, ‘আজও ভালোবাসি মনে মনে’, ‘হাসো আন লিমিটেড’ ও আরো বেশ কিছু নাটকে। এসব নাটকে প্রশংসিত হয়েছে তার অভিনয়। গত মাসে শেষ হয়েছে মেহজাবিনের এ লেভেল পরীক্ষা। পড়াশোনা থেকে আপাতত তার ছুটি। এই ছুটির সময়টাতে সুযোগ এলো দীর্ঘদিনের স্বপ্নপূরণের। সুযোগটি পুরোপুরি কাজে লাগাতে চান তিনি। তাই শতভাগ মনোযোগ দিয়েই ‘পরবাসিনী’ ছবিতে তিনি অভিনয় করছেন বলে জানান। তার বিশ্বাস, সায়েন্স ফিকশনধর্মী এ ছবিটি ভালো লাগবে সব বয়সী দর্শকেরই।
এক টেলিফিল্মে পাঁচ জুটি
বিনোদন প্রতিবেদক
আসছে ঈদে প্রচারের লক্ষ্যে নির্মিত হচ্ছে একটি তারকাবহুল টেলিফিল্ম। এতে একসঙ্গে পাঁচ জুটিকে দেখা যাবে। তারা হলেন নায়করাজ রাজ্জাক-মিতা চৌধুরী, রাইসুল ইসলাম আসাদ-শম্পা রেজা, মাহফুজ আহমেদ-তারিন, আনিসুর রহমান মিলন-বাঁধন এবং অপূর্ব-সারিকা। এছাড়া আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করবেন মীর সাব্বির। জাকারিয়া সৌখিনের রচনায় ‘ধ্র“বতারা’ শিরোনামের টেলিফিল্মটি নির্মাণ করবেন চয়নিকা চৌধুরী। আগামী ২ জুলাই শুটিং শুরু হবে। এ টেলিফিল্মটির মধ্য দিয়ে প্রথমবার জুটি হয়ে অভিনয় করবেন রাজ্জাক-মিতা চৌধুরী। আর দীর্ঘদিন পর একসঙ্গে অভিনয় করছেন রাইসুল ইসলাম আসাদ-শম্পা রেজা। এদিকে মিলন-বাঁধনও জুটি হয়ে দুই বছর পর অভিনয় করছেন। অন্যদিকে মাহফুজ-তারিন ও অপূর্ব-সারিকার তালিকায় জুটি হিসেবে আরও একটি টেলিফিল্ম যুক্ত হচ্ছে। ‘ধ্র“বতারা’র গল্পে দেখা যাবে, জাফর চৌধুরীর [রাজ্জাক] একটি রিসোর্ট আছে কক্সবাজারে। তিনি নিজ উদ্যোগে প্রতি বছর ‘লাভ লাইক দ্য ওশান’ শিরোনামের একটি প্যাকেজ পরিচালনা করেন। কারণ, জাফর চৌধুরী বিশ্বাস করেনÑ নিয়মিত চর্চায় সম্পর্ক থাকে সতেজ, সুন্দর এবং গাঢ়। তিনি নিজেও সম্পর্ক চর্চা করছেন। স্ত্রীকে [মিতা চৌধুরী] ভীষন ভালোবাসেন। একইভাবে দম্পতিদের তিনি সম্পর্ক চর্চার বিভিন্ন টিপস দেন। প্রতিবারের মতো এবারও আয়োজন করা হয়েছে প্যাকেজটি। বিভিন্ন বয়সের দম্পতি এসেছে। যেমন মধ্যবয়সী অসুখী দম্পতি জুবায়ের-ফাইজা [আসাদ-শম্পা], মানসিক দ্বন্দ্বে ভোগা ব্যবসায়ী দম্পতি ফয়সাল-লুবনা [মাহফুজ-তারিন], সদ্য বিবাহিত দম্পতি অর্ণব-রায়ান [মিলন-বাঁধন] এবং দম্পতি পরিচয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে আসা প্রেমিক যুগল স্বপ্ন-জেনি [অপূর্ব-সারিকা]। সবার মধ্যেই লুকিয়ে আছে একটা অসুখÑ মনে কষ্ট। ‘ধ্র“বতারা’ টেলিফিল্ম প্রসঙ্গে রাজ্জাক বলেন, ‘গল্পটি আমি শুনেছি। আমার ক্যারেক্টারটি মানুষের সম্পর্ক চর্চা নিয়ে কাউন্সিলিং করে। আসলে সম্পর্ক চর্চা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সবমিলিয়ে আমার ভালো লেগেছে। তাই কাজটি করছি। আর চয়নিকা খুব ভালো নির্মাতা। ওর কাজ আমি দেখেছি। আশা করি একটি ভালো টেলিফিল্ম হবে এটি।’ রাইসুল ইসলাম আসাদ বলেন, ‘পাণ্ডুলিপি পড়েছি। গল্পটি একটু অন্যরকম। সম্পর্ক নিয়ে অনেক কাজ হয়েছে। কিন্তু এ গল্পে সম্পর্কের ধরন এবং ব্যাখ্যায় নতুনত্ব আছে। আমি আশাবাদী , ভালো একটি কাজ হবে।’ চয়নিকা চৌধুরী গত বছরের রোজার ঈদেও একটি তারকাবহুল টেলিফিল্ম নির্মাণ করেছিলেন। ‘আকাশ জোড়া মেঘ’ শিরোনামের টেলিফিল্মটি এনটিভিতে প্রচার হয়েছিল। এবার তিনি ১১ তারকা নিয়ে ‘ধ্র“বতারা’ নির্মাণ করছেন। তিনি বলেন, ‘আসলে মানুষ তো খুব বেশিদিন বাঁচে না। তাই কিছু ভালো কাজ করে যেতে চাই। আকাশজোড়া মেঘ করেছি, হাসপাতাল করেছি, সাত পাকে বাঁধা করেছি। আর এখন ধ্র“বতারা করছি। এখন আর কিছু বলবো না। দর্শক টেলিফিল্মটি দেখবে আমি এটা প্রত্যাশা করছি।’
বিয়ের জন্য কারিনাকে ধর্মান্তরিত করতে রাজি নন সাইফ আলী খান
ইশতিয়াক হোসেন লাবিব
কিছুদিন পরেই বলিউডের বহুল প্রতিক্ষীত সাইফ আলী খান আর কারিনা কাপুরের সেই বিয়ে। এরই মধ্যেই তারা ঘোষণা করেছেন বিয়ের তারিখ আগামী ১৬ অক্টোবর। বিয়ের জমকালো প্রস্তুতিও চলছে পুরোদমে। পাতৌদির নবাব পরিবারের সব ঐতিহ্যই অনুসরণ করা হচ্ছে সাইফ আলী খান আর কারিনা কাপুরের বিয়েতে। তবে একটি বিশেষ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে স্পষ্ট ব্যতিক্রম। বিষয়টি হলো ধর্ম। পাতৌদির নবাব পরিবারের বউ হয়ে সাইফ আলী খানের মা শর্মিলা ঠাকুর এসেছিলেন ধর্মান্তরিত হয়ে। মনসুর আলী খান পাতৌদির সঙ্গে বিয়ের আগে তাকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে হয়েছিল।
কিছুদিন পরেই বলিউডের বহুল প্রতিক্ষীত সাইফ আলী খান আর কারিনা কাপুরের সেই বিয়ে। এরই মধ্যেই তারা ঘোষণা করেছেন বিয়ের তারিখ আগামী ১৬ অক্টোবর। বিয়ের জমকালো প্রস্তুতিও চলছে পুরোদমে। পাতৌদির নবাব পরিবারের সব ঐতিহ্যই অনুসরণ করা হচ্ছে সাইফ আলী খান আর কারিনা কাপুরের বিয়েতে। তবে একটি বিশেষ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে স্পষ্ট ব্যতিক্রম। বিষয়টি হলো ধর্ম। পাতৌদির নবাব পরিবারের বউ হয়ে সাইফ আলী খানের মা শর্মিলা ঠাকুর এসেছিলেন ধর্মান্তরিত হয়ে। মনসুর আলী খান পাতৌদির সঙ্গে বিয়ের আগে তাকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে হয়েছিল। মুসলমান হওয়ার পর তার নাম রাখা হয় আয়েশা বেগম। যদিও পরবর্তীতে আগের সেই শর্মিলা ঠাকুর নামটিই বহাল রয়ে যায়। সাইফ আলী খান আর কারিনা কাপুরের বিয়ের আগে পাতৌদি পরিবারে রক্ষণশীল কজন জৈষ্ঠ্য সদস্য এবার কথা তুলেছেন ধর্ম নিয়ে। তাদের কেউ কেউ শর্মিলা ঠাকুরের কাছে বিয়ের আগে কারিনাকে ধর্মান্তরিত করার বিষয়টি তুলে ধরেছেন। তবে শর্মিলা ঠাকুর এ বিষয়ে আধুনিক মনস্কতার পরিচয় দিয়েছেন। পুরো বিষয়টিই তিনি সাইফ আলী খান আর কারিনার উপর ছেড়ে দিয়েছেন। বলিউড বেবো কারিনা কাপুর বিয়ের আগে ধর্মান্তরিত হবেন কিনা এ বিষয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন সাইফ আলী খান। তিনি সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট নাকচ করে দিয়েছেন কারিনার মুসলমান হওয়া বিষয়টি। এ প্রসঙ্গে সাইফ আলী খান বলেন, ``আমি কখনই চাইবো না বিয়ের জন্য কারিনা ধর্মান্তরিত হোক। যার ধর্ম তার কাছে। ধর্ম বিয়েতে কোনো সমস্যা তৈরি করে তা আমি কখনই বিশ্বাস করি না।``

saif_krinaমুসলমান হওয়ার পর তার নাম রাখা হয় আয়েশা বেগম। যদিও পরবর্তীতে আগের সেই শর্মিলা ঠাকুর নামটিই বহাল রয়ে যায়। সাইফ আলী খান আর কারিনা কাপুরের বিয়ের আগে পাতৌদি পরিবারে রক্ষণশীল কজন জৈষ্ঠ্য সদস্য এবার কথা তুলেছেন ধর্ম নিয়ে। তাদের কেউ কেউ শর্মিলা ঠাকুরের কাছে বিয়ের আগে কারিনাকে ধর্মান্তরিত করার বিষয়টি তুলে ধরেছেন। তবে শর্মিলা ঠাকুর এ বিষয়ে আধুনিক মনস্কতার পরিচয় দিয়েছেন। পুরো বিষয়টিই তিনি সাইফ আলী খান আর কারিনার উপর ছেড়ে দিয়েছেন। বলিউড বেবো কারিনা কাপুর বিয়ের আগে ধর্মান্তরিত হবেন কিনা এ বিষয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন সাইফ আলী খান। তিনি সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট নাকচ করে দিয়েছেন কারিনার মুসলমান হওয়া বিষয়টি। এ প্রসঙ্গে সাইফ আলী খান বলেন, ``আমি কখনই চাইবো না বিয়ের জন্য কারিনা ধর্মান্তরিত হোক। যার ধর্ম তার কাছে। ধর্ম বিয়েতে কোনো সমস্যা তৈরি করে তা আমি কখনই বিশ্বাস করি না।``পাতৌদির বর্তমান নবাব সাইফ আলী খান আরো বলেন, ``আমি জানি সরকারও এই ব্যাপারে সচেতন আছেন। আমরা সামনের দিকে যেতে চাই, পেছন পথে চলতে চাই না।  আমি মনে করি সরকারের উচিত এ বিষয়ে দ্রুত বিশেষ বিবাহ আইন পাশ করা। যাতে বিয়ের জন্য আর কারো ধর্মান্তরিত হতে না হয়।``সাইফ আলী খানের এই বক্তব্যের পর এটি নিশ্চিত যে, কারিনা কাপুরকে বিয়ের পিঁড়িতে বসার জন্য শ্বাশুড়ি শর্মিলা ঠাকুরকে অনুসরণ করতে হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, এর আগে পাতৌদি নবাব পরিবারের সদস্যদের বউ হয়ে যারা এসেছেন তাদের প্রত্যেককেই ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়েছে। পাতৌদি নবাব পরিবারের বউ হয়ে এবার কারিনা কাপুরই প্রথম ব্যতিক্রম করছেন এই রীতির। যদিও রক্ষণশীল কেউ কেউ এ বিষয়ে মনোকষ্টে ভুগছেন, তবে বিষয়টি আমলে আনছেন না শর্মিলা ঠাকুর ও সাইফ আলী খান। অনেকেই বিষয়টিকে মনে করছেন, নবাব পরিবারে নতুন দিনের সূচনা।
ক্যাটরিনার স্বপ্ন পূরণ
বিনোদন ডেস্ক 
বলিউডের আবেদনময়ী অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফের অনেকদিনের স্বপ্ন সফল হতে যাচ্ছে। ইন্ডাস্ট্রিতে  শীর্ষ স্থানের নায়িকাদের তালিকায় জায়গা করে নিলেও একটা অপূর্ণতা ছিল তার মনে। বহুদিনের ইচ্ছে, কোন একটি ছবিতে মূখ্য চরিত্রে অভিনয় করবেন। যার পুরোটাই হবে তাকে ঘিরে। ভাগ্যবতী ক্যাটরিনা  সে সুযোগও পেয়ে গেলেন অবশেষে।
২০১০ সালের ব্লকব্লাস্টার ছবি ‘রাজনীতি’র সিক্যুয়েল ‘রাজনীতি টু’ নির্মাণ পরিচালক প্রকাশ জা। এটি পুরোটাই নারী কেন্দীক ছবি হবে। আর সে কেন্দ্রীয় নারীর ভূমিকায় থাকবেন ক্যাটরিনা কাইফ। ছবির তার চরিত্রের নাম থাকবে ‘ইন্দু’।
ছবিতে নিজের চরিত্র সম্পর্কে ক্যাটরিনা বলেন, ‘রাজনীতি’ ছবিতে নিজেকে ভিন্নভাবে উপস্থাপনের সুযোগ পেয়েছিলাম। যেসব চরিত্রে আমি আগে কাজ করেছি তা থেকে ‘রাজনীতি’ ছবির চরিত্রটি ছিল আমার জন্য চ্যালেঞ্জিং। এ ছবির সিক্যুয়েল ‘রাজনীতি টু’তে আমার নতুন যে চরিত্রটি রাখা হয়েছে তা আমার স্বপ্নের চরিত্র। প্রতিটা অভিনেত্রীর ইচ্ছে থাকে ছবির কাহিনীর কেন্দ্র বিন্দু তাকে ঘিরে হবে। আমারও তাই ছিল। এমন চরিত্র যেমন চ্যালেঞ্জিং হয় তেমনি নিজেকে প্রমান করার সুযোগ পাওয়া যায়। আমি আমার শতভাগ দিয়ে চরিত্রটি করতে চাই। ছবির বিষয়ে পরিচালক প্রকাশ জা বলেন, ‘রাজনীতি’ ছবিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সত্যিই চ্যালেঞ্জিং। মূল চরিত্রগুলো প্রথম ছবিতেই মারা গেছে। তাই নতুন চরিত্রগুলো সম্পূর্ণ নতুন করে সাজাতে হয়েছে। মূখ্য চরিত্রে থাকছেন ক্যাটরিনা কাইফ। যদিও রণবীরের চরিত্রটি প্রথম ছবিতে শেষ দিকে মারা যায়নি তবুও সিক্যুয়েলে রণবীরকে দেখা যাবেনা। এবারও আমি মহাভারতের উপর ছবি বানাচ্ছি। তবে এবারের গল্পটা হবে পুরোপুরি ভিন্ন।
’রাজনীতি টু’ ছবিতে ‘ইন্দু’ নামে চরিত্রে ক্যাটরিনাকে দেখা যাবে একজন উচ্চভিলাশী ক্ষমতাপিপাসু নারীর চরিত্রে।
বিয়ে করে চলচ্চিত্রকে বিদায় জানালেন রেসি
বিনোদন প্রতিবেদক
 ঢালিউডের নায়িকা রেসি বিয়ে করেছেন। চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী তৌফিকুল ইসলাম পান্থেও সঙ্গে গত ২২ জুন সম্পন্ন হয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকা। দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠজনদের উপস্থিতিতে রেসির বিয়ে উত্তরার বাসায় সম্পন্ন হয় । বিয়ের পর রেসি নতুন কোনো ছবিতে অভিনয় না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রেসির বর তৌফিকুল ইসলাম সপরিবারে চট্টগ্রামে বাস করলেও তার আদিবাড়ি ঝিনাইদহ। মাঝখানের বেশ কয়েক বছর তিনি অস্ট্রেলিয়ায় ছিলেন বলে জানা গেছে। রেসি ও পান্থ পূর্ব পরিচিত হলেও তাদের বিয়েটা হয়েছে পারিবারিক মধ্যস্থতায়। আগামী ডিসেম্বরে বড় করে আত্মীয়-পরিচিতজনদের নিয়ে ঢাকায় তাদের রিসিপশন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে বলে তাদের পারিবারিক সূত্রে জানিয়েছে। বিয়ের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার পর রেসি ও পান্থের অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ী পরিকল্পনা আছে। বিয়ের পর রেসি রেসি নতুর করে আর কোনো ছবিতে অভিনয় করবেন না। । স্বামী-সংসার নিয়েই তিনি বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিতে চান। রেসির এটি দ্বিতীয় বিয়ে। রেসি অভিনীত  মুক্তির অপোয় থাকা ছবির মধ্যে রয়েছে এফআই মানিকের পরিচালনায় ‘স্বামী ভাগ্য’ এবং সাজেদুর রহমান সাজুর পরিচালনায় ‘অন্তরে প্রেমের আগুন’। ছবি দুটিতে রেসির সঙ্গে অভিনয়ে আছেন যথাক্রমে ডিপজল ও আমিন খান।
আত্মবিশ্বাসী রুমানা
বিনোদন প্রতিবেদক
ছোটপর্দার শিল্পীরা বড়পর্দায় গিয়ে খুব একটা সুবিধা করতে পারেন না। অভিনেত্রী রুমানা সেই ধারণা পাল্টে দিয়েছেন। দৃঢ় আত্মবিশ্বাস নিয়ে তিনি মিডিয়ায় এসেছিলেন। আত্মবিশ্বাস নিয়েই বড়পর্দায় পা রাখেন। চলচ্চিত্রে নিজেকে প্রমাণের পাশাপাশি রুমানা এবার জয় করে নেন স্বীকৃতিও। ‘ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি পান ২০১০ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। মাঝে ছোটপর্দায় তাকে কম দেখা গেলেও বর্তমানে চলচ্চিত্রের পাশাপাশি টিভিনাটকেও বেড়ে গেছে তার ব্যস্ততা। চলচ্চিত্রে ভিত গড়ে তোলার পর আত্মবিশ্বাসী রুমানা আবারও নিয়মিত টিভিনাটকে অভিনয় করছেন। তিনি মনে করেন, চলচ্চিত্রে একটা অবস্থানে পৌঁছে যাবার পর এখন ছোটপর্দায় অভিনয় করলেও এর নেতিবাচক কোনো প্রভাব তার ক্যারিয়ারে পড়বে না।romanaঈদের টিভিনাটকের শুটিং নিয়ে এ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে রুমানা। ব্যক্তিজীবনের মতোই সম্প্রতি তিন ঈদের একটি নাটকেএকজন আত্মবিশ্বাসী প্রেমিকার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। নাটকের নাম ‘শনি থেকে বৃহস্পতি’। নাটকের গল্পে দেখা যাবে, প্রতিটি দিন রুমানার কাটছে আতঙ্কের মধ্যে কাটছে। আগামী বৃহস্পতিবার এলেই তাকে অপরিচিত এক ছেলের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হবে। রুমানা সেকেন্ড-মিনিট-ঘণ্টাসহ প্রতিটি দিন গুনে চলেন। বৃহস্পতিবারও এগিয়ে আসে। তবুও রুমানা দৃঢ় আত্মবিশ্বাসী। রুমানার বিশ্বাস, তার প্রেমিক ছয় দিনের মধ্যেই বেকারত্বের কলঙ্ক ঘুচিয়ে তার পরিবারের সামনে এসে দাঁড়াবে। তখন নিশ্চয়ই তারা রুমানার দীর্ঘদিনের পছন্দের পাত্রের সঙ্গে বিয়েতে বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে না।
 কামরুল আহসানের রচনায় ‘শনি থেকে বৃহস্পতি’ নাটকটি পরিচালনা করেছেন রিদম খান শাহিন। গত সপ্তাহে উত্তরা, ধানমন্ডি ও গাজিপুরে নাটকটির শুটিং সম্পন্ন হয়েছে। এতে রুমানার বিপরীতে অভিনয় করেছেন অপূর্ব। নাটকটিতে অভিনয় প্রসঙ্গে রুমানা বলেন, ‘ এই সময়ের তরুণ-তরুণীদের জীবনে বেকারত্ব হলো এক বড় অভিশাপ। বেকারত্বের কারণে অনেকে বিয়ে করে ঘর বাঁধার স্বপ্ন পূরণ করতে পারছেন না। বেকারত্বের অভিশাপ আর আত্মবিশ্বাসের টানাপোড়েন নিয়ে নির্মিত হয়েছে নাটক ‘শনি থেকে বৃহস্পতি’। নাটকটির গল্প পছন্দ হওয়ায় এতে অভিনয় করলাম। রুমানা আরো বলেন, এ নাটকে আমার প্রেমিক বেকার হলেও তাকে ছেড়ে কখনোই চলে যাইনি। এমনকি পরিবারের চাপের মুখেও অন্য ছেলেকে বিয়ে করতে সম্মতি দেইনি। নাটকটিতে একজন নারীর কাছে প্রেমের প্রকৃত মূল্যবোধের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।
এবারের ঈদে রুমানাকে বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করতে দেখা যাবে। যার মধ্যে রয়েছে ‘আত্মজ’, ‘মনের আকাশে নীল মেঘ’, ‘অনুভূতির ছোঁয়া তুমি’,‘রিটার্ন ব্যাক’ প্রভৃতি। বর্তমানে রুমানাকে জাহিদ হাসান পরিচালিত ‘সুইট মানে মিষ্টি’ ধারাবাহিকে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে। রুমানা অভিনীত নির্মাণাধীন চলচ্চিত্রের মধ্যে আছে - মনতাজুর রহমান আকবরের ‘সবুজ কেন অপরাধী’, বদিউল আলমের ‘বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না’, পিএ কাজলের ‘বদলে যাও বদলে দাও’, শাহাদাৎ হোসেন লিটনের ‘ভুলব না তোমাকে’ ও এফ আই মানিকের ‘সৌভাগ্য’।
শায়নার অপেক্ষা
রাবেয়া বসরি সুমি
শায়না আমিনের চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়েছিল রুবাইয়াৎ হোসেন পরিচালিত ‘মেহেরজান’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। কিন্তু দূর্ভাগ্য তার, ছবিটি মাত্র চারদিন চলার পরপরই এর প্রদর্শনী বন্ধ হয়ে যায়। তবে এ চারদিনেই যেসব দর্শক ছবিটি দেখেছেন তারা শায়না আমিনের অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছেন। মেহেরজানের তরুণী বয়সের চরিত্রে অভিনয় করে শায়না আমিন তার অভিনয়শৈলী দিয়ে মুগ্ধ করেন দর্শকদের।
ছবিটি মুক্তির পর বেশ কিছু নাটকে শায়না আমিন অভিনয় করলেও তিনি অপেক্ষা করছিলেন ভাল গল্পের ছবিতে অভিনয়ের জন্য। এরই মধ্যে নতুন দুটি ছবিতে কাজও শুরু করেছেন প্রতিশ্রুতিশীল এই অভিনেত্রী । একটি নারগিস আক্তারের ‘পুত্র এখন পয়সাওয়ালা’,  অন্যটি মাসুদ আখন্দের ‘পিতা’।
প্রথম ছবিটিতে তিনি ইমনের বিপরীতে এবং দ্বিতীয় ছবিটিতে মডেল, নাট্যাভিনেতা কল্যাণের বিপরীতে অভিনয় করছেন। ‘পুত্র এখন পয়সাওয়ালা’ ছবিতে ইমন অভিনয় করছেন আশীষ চরিত্রে এবং তারই বিপরীতে চাঁদনী চরিত্রে অভিনয় করছেন শায়না। এ ছবির কাজ শুরু হয়েছে গত বছর। তবে শায়না উপভোগ করছেন ‘পিতা’ ছবিতে তার অভিনীত চরিত্রটিকে। এ ছবিতে তিনি পল্লবী চরিত্রে অভিনয় করছেন। তার বিপরীতে শরৎ চরিত্রে অভিনয় করছেন কল্যাণ। এ বিষয়ে বাংলানিউজকে শায়না বলেন, ‘ছবিগুলোতে কাজ করার ব্যাপারে ছবির পরিচালকসহ সব কলাকুশলী আমাকে খুব সহযোগিতা করছেন। এ ছবির গল্প খুব চমৎকার। আমার অভিনীত চরিত্র দুটিও সত্যিই খুব উপভোগ করছি। কারণ, প্রতিটি মুহূর্তে চরিত্রগুলো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। কাহিনী ধারাবাহিকভাবে পরিবর্তন হচ্ছে আর আমিও নিজেকে প্রতিটি মুহূর্তে চরিত্রের প্রয়োজনে বদলে নিতে পারছি। এটা সত্যিই অনেক কঠিন কাজ। কিন্তু তারপরও আমার ভাল লাগছে। আশা করি ছবি দু’টি দর্শকের ভাল লাগবে।’ আর তাই প্রতিদিনের অসংখ্য নাটকের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে এ দুটি ছবির মুক্তির অপেক্ষায় দিন গুনছেন শায়না।
‘চোরাবালি’ ছবির মন মাতানো গান এখন বাজারে
বিনোদন প্রতিবেদক
‘...চোরাবালি ঘিরে ধরে আমায়, চোরাবালি গিলে ফেলে আমায় ’ অনুপম রায় ও ন্যান্সির গাওয়া এই গানটি ব্যবহার করা হয়েছে ‘চোরাবালি’ ছবির টাইটেলে। এমনই হৃদয় ছোঁয়া ৬টি গান নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে রেদওয়ান রনি পরিচালিত ‘চোরাবালি’ ছবির অডিও অ্যালবাম। লেজার ভিশন ও স্ক্রিন হাউজ এন্টারটেইনমেন্টের যৌথ আয়োজনে গত ২৫ জুন সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকার সেভেন হিল রেস্টুরেন্টে আনুষ্ঠানিকভাবে অ্যালবামটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে এসেছিলেন সঙ্গীত ও চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব গাজী মাজহারুল আনোয়ার, সুরকার আজাদ রহমান, চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ, নির্মাতা মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী, মোস্তফা কামাল রাজ, লেজার ভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাজহারুল ইসলাম এবং প্রযোজক স্ক্রিন হাউজ এন্টারটেইনমেন্টের সালেহীন স্বপন, মাছরাঙা টেলিভিশনের ব্যবস্থাপক  পঙ্কজ কুমার বণিক ও ছবির পরিচালক রেদওয়ান রনি। এছাড়াও ছবির অভিনেত্রী জয়া আহসান, গীতিকার ও কন্ঠশিল্পী মিলন মাহমুদ, কবির বকুল সহ আরও অনেকেই উপস্থিত হয় এ অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী আজাদ রহমান বলেন, আমরা ছবি চাই। ভালো একটি ছবি, যাতে গল্প থাকে, নির্মানে নতুনত্ব থাকে। গল্পের প্রয়োজনে চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলতে হবে। সুস্থ আর অসুস্থধারার ভেদাভেদ করে চলচ্চিত্রকে ছোট করা উচিত নয়। বর্তমানে আমাদের চলচ্চিত্র একটি টার্নিং পয়েন্টে পৌছে গেছে। এই টার্নিং পয়েন্টের অন্যতম ছবি ‘চোরাবালি‘। পরিচালক রেদওয়ান রনির এ ছবিটি আমাদের গর্ব হয়ে উঠুক, সে আশাই করছি। ছবির অভিনেত্রী জয়া আহসান বলেন, রেদওয়ান রনির সঙ্গে নাটকে কাজ করার অভিজ্ঞতা হয়নি আগে। তবে তার কাজের ধরণ সম্পর্কে কিছুটা জানা ছিল। এ ছবির স্ক্রিপ্টটা পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। সত্যিই ভিন্নধারাকে তুলে ধরেছে। এ চরিত্রটিও আমার জন্যে চ্যালেঞ্জিং ছিল। রাজী হয়ে গেলাম। শুটিংয়েও কাজকে উপভোগ করেছি। অ্যালবামের গানগুলোও অসাধারণ। সবমিলিয়ে দর্শকদের ভালো লাগবে আশা করছি। পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, অনেকেই বলে চলচ্চিত্র ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে। তাদের  উদ্দেশ্যে বলতে চাই চলচ্চিত্রে ধ্বংস না বিপ্লব ঘটছে। সরকারের পলিসি, তরুণ পরিচালক ও তরুণ দর্শকরা এ বিপ্লব ঘটাবে। পরিবর্তন আসছে আরও আসবে। আগামী ৩-৪ বছরে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে বিরাট পরিবর্তন হবে। রেদওয়ান রনির ‘চোরাবালি’ ছবিটি সে পথেই পদযাত্রা করবে। পরিচালক রেদওয়ান রনি তার ছবিটির অ্যালবাম সম্পর্কে বলেন, আমার প্রথম ছবি। আমার প্রথম সন্তান। ছবিতে নতুন কিছু উপহার দিতে চেয়েছি। চেষ্টা করেছি। সফলতা বিচারের দায়িত্ব সবার। ছবির মত ছবির গানগুলোতেও ভিন্নতা আনার চেষ্টা করেছি। ছবির গীতিকার, সুরকার ও কন্ঠশিল্পীদের সহযোগিতা ছাড়া এটা সম্ভব ছিলনা। সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। শ্রোতারা ছবির গানগুলো উপভোগ করবে এবং দর্শকরা ছবিটি দেখতে হলে যাবে সে আশাই করছি। এ ছবিতে ছয়টি গান রয়েছে। গানগুলো হলো আইয়ুব বাচ্চুর কন্ঠে ‘কেয়ারফুলি কেয়ারলেস’, হৃদয় খান ও কনার কন্ঠে ‘প্রেম’, আরফিন রুমীর কন্ঠে ‘অপারগতা’, অনুপম রায় ও ন্যান্সির কন্ঠে ‘চোরাবালি ঘিরে ধরে আমায়’, মিলন মাহমুদের কন্ঠে ‘মা’ ও কনার কন্ঠে ‘দে ভিজিয়ে দে’। ছবিতে জয়া আহসান একজন তরুণী সাংবাদিকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। অ্যাকশন ও রোমান্টিক দুই  চরিত্রেই অভিনয় করেছেন জয়া। আর আন্ডারওয়ার্ল্ডের দুধর্ষ তরুণের ভূমিকায় আছেন কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেতা ইন্দ্রনীল। ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন সালেহীন স্বপন, পিয়া, ইরেশ যাকের, হিল্লোল, সাধু, সজিব, কিন্ডি রোলিং, সোহেল রানা, এ.টি.এম শামসুজ্জামান এবং নেগেটিভ চরিত্রে শহীদুজ্জামান সেলিম। স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল মাছরাঙা টেলিভিশন নিবেদিত রেদওয়ান রনির পরিচালনায় প্রথম ছবি ‘চোরাবালি’ মুক্তি পাবে আগামী রোজার ঈদে একযোগে দেশে ও দেশের বাইরে।
সম্পর্কের সমাপ্তি
তোফাজ্জল লিটন
আপনার যে কোনো সম্পর্কের সমাপ্তিটা হতে পারে একটি খুব খারাপ আচরণের মাধ্যমে। যদিও তা খুব কাজের কাজ নয়। এটাও মনে রাখা দরকার সব সম্পর্ক জীবনের শেষ পর্যন্ত টিকে থাকে না। সবচেয়ে ভালো হয় সম্পর্ক খুব জঘন্য অবস্থানে যাওয়ার আগেই তার সুরাহা করা। ধরুন আপনি আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকার সাথে সম্পর্ক ভাঙ্গার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু ভাববেন না কাজটা খুব সহজ। সম্পর্ক শেষ হলেও আপনার প্রিয়জনের ভালোবাসা আপনার প্রতি আগের মতোই থাকতে পারে। তাই চেষ্টা করতে হবে এবং নিশ্চিত হতে হবে যেন আপনাদের সুন্দর সম্পর্কটি একটি বিশ্রী সংঘাতের মধ্য দিয়ে শেষ না হয়। আমরা এখানে বলব কীভাবে আপনি বিচ্ছেদের সময়  খারাপ দৃশ্য তৈরি হওয়া এড়িয়ে চলতে পারেন। 
ভাঙনটি হতে পারে চিঠি, এসএমএস বা ই-মেইলের মাধ্যমে
এটি করো জন্য ভালো কাজ হতে পারে, আবার কারো জন্য কালবৈশাখি ঝড়ের মতো হতে পারে। তবে সম্পর্ক ভাঙার অবস্থায় যিনি নিজের মনের কথা বলতে পারেন না বা ভালোভাবে প্রকাশ করতে পারেন না তার জন্য চিঠি লেখা, এসএমএস বা ই-মেইল করার চেয়ে ভালো কিছু হতে পারে না। কারণ এর মাধ্যমে তিনি তার অনুভূতির বিশদ বর্ণনা দিতে পারবেন। আবার যিনি বাগ-বিতণ্ডা বা সংঘাত এড়িয়ে চলতে চান, তার জন্যও এটি সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি। কিছু লিখিত  শব্দ যদিও সম্পর্ক  ভেঙে ফেলার জন্য যথেষ্ঠ নয়, তবু অনেকের জন্য এটি খুব ভালো কাজ করেছে। 
সামাজিক যোগাযোগের সাইটে সম্পর্কচ্ছেদ এড়িয়ে চলতে হবে
ফেইসবুক, টুইটার বা এমন সামাজিক যোগাযোগর বিভিন্ন সাইটে আপনি যখন আপনার স্টেটাস, ছবি বা কোনো ধরনের কমেন্ট পোস্ট করেন; তখন ভাববেন না এসব শুধু আপনারা দুজনে দেখছেন। আগে যেমন সবাই দেখত, এখনো সবাই দেখছে। আপনি নিশ্চয়ই চাইবেন না আপনাদের সম্পর্কচ্ছেদ নিয়ে পরিচিত, কম-পরিচিত, ছোট-বড় সবাই হাসাহাসি করুক। সেজন্য এসব বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে এসব সাইট এড়িয়ে চলুন। 
ধীরে কিন্তু দৃঢ়ভাবে এগোতে হবে
সম্পর্ক ভাঙার সবচেয়ে ভালো পথ হলো ধীরে এবং দৃঢ়ভাবে এগোনো। এর অর্থ হলো সঙ্গীকে বোঝানো যে, আমাদের সম্পর্কটি আর আগের মতো কাজ করছে না। তবে এ ধারণার প্রতি অভ্যস্ত হওয়ার জন্য আপনার সঙ্গীকেও কিছু সময় দিতে হবে। তাহলে সম্পর্কচ্ছেদটি কারো জন্যই বড় ধরনের বেদনার কারণ হয়ে দাঁড়াবে না। 
সব অপরাধের দায় সঙ্গীর কাঁধে চাপাবেন না
যখন আপনি পুরোপুরিভাবে সম্পর্কচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তখন একতরফাভাবে সঙ্গীর ওপর দোষ চাপাবেন না। কথা বলা এবং চিন্তায় বাস্তববাদী হোন। তাকে বলুন এ সম্পর্কচ্ছেদটি আমাদের দুজনের জন্যই ভালো হবে এবং এর জন্য আপনারা দুজনই কমবেশি দায়ী। 
বিচ্ছেদের কাজটি জনসম্মুখে করবেন না
আপনি যখন ধারণা করেছেন সম্পর্ক ভাঙবেন, তাহলে এ চিন্তাও করেছেন কীভাবে তা করবেন! তবে যাই ভাবুন না কেনো এটা নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন যে, কাজটি যেন আপনাদের ব্যাক্তিগত গোপনীয়তা নষ্ট না করে বা তা যেন জনসম্মুখে না হয়। কারণ আপনি নিশ্চই চাইবেন না আপনাদের বাগ-বিত-া, বিশ্রী ঝগড়া অন্যরা উপভোগ করুক বা তারা এতে যুক্ত হোক। যে জায়গাটিতে আপনি নিয়মিত যাতায়াত করেন সেরকম জায়গায় এ কাজটি করা যাবে না। কারণ এ ঘটনাটি পড়ে আপনার জন্য লজ্জার কারণ হবে। 
আকস্মিক বা খামখেয়ালিভাবে কাজটি করবেন না
সম্পর্ক ভাঙ্গার কাজটি অফিসে যাওয়া বা বাজার করার মতো গতানুগতিক কাজের মতো করবেন না। আপনার সঙ্গী এবং আপনাদের সম্পর্ককে সম্মান করুন। পরিকল্পনা করুন কীভাবে আরো সামনে আগানো যায়। 
মিথ্যা প্রতিজ্ঞা করবেন না
যদি আপনার সঙ্গী খুব আবেগপ্রবণও হয়ে থাকেন, তবু আপনি তার সঙ্গে কোনো মিথ্যা প্রতিজ্ঞা করবেন না। ‘আমি এ বিষয়ে আবার চিন্তা করব’; ‘আমরা হয়তো আবার কোনো একদিন আগের সম্পর্কে ফিরে যাব’- এ ধরনের কথা আপনি নিজে বিশ্বাস না করলে তাকে বলবেন না। বুঝতে চেষ্টা করুন বন্ধুত্ব এবং ভালোবাসার সম্পর্কের মধ্যে পার্থক্য কী। অধিকাংশ সম্পর্কই মানুষ কিছু গড়ার জন্য করেন, ভাঙার জন্য নয়। তারপরও কখনো কখনো আমাদের জীবনে ভাঙন আসে। এটি অনেক সময়ই অনাকাক্সিক্ষত। কিন্তু অনেক সময়ই বিচ্ছেদ মানেই সব শেষ হয়ে যাওয়া নয়। তাই এটি যত ভালোভাবে করা যায়, ততই কল্যাণকর।
ব্যাচেলর হালচাল
ওবায়দুল্লাহ সনি
ছোট্ট দোকান, সরু গলি।
আঁকা-বাঁকা রাস্তা।
চা, কলা, পাউরুটিতে
সকালের নাস্তা।
ছোট জানালা, কাঠের চকি,
টিনের চালা, অন্ধকার ঘর।
এই ঘরেই বসত করে
তিনজন ব্যাচেলর।
উপরের কবিতা পড়েই নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন ব্যাচেলরের লাইফস্টাইল। প্রায় দুই কোটি জনসংখ্যা নিয়ে আমাদের স্বপ্নের ঢাকা। আর এতগুলো মানুষের মধ্যে ব্যাচেলরের সংখ্যা নেহাত কম নয়। তাই ঢাকা শহরকে অনেকে ব্যাচেলরের শহর বলেও চেনে। ব্যাচেলররা সাধারণত কিছুটা অগোছালো হয়। কিন্তু আপনার অগোছালো ব্যাচেলর জীবনটাও সুন্দর আর সতেজ করে তুলতে পারেন খুব সহজেই। শুধু প্রয়োজন আপনার নিয়মিত কয়েকটি কাজের পরিবর্তন। তাহলেই দেখবেন সব ঠিকটাক। আপনার ঘরে এসে কেউ বুঝুতেই পারবে না এটা ব্যাচেলর না ফ্যামিলি বাসা। তবে পরিপাটি থাকতে সবসময় নিজের কাজকে গুছিয়ে রাখার চেষ্টা করা ভালো। মনে রাখবেন ব্যাচেলরদের কিছু বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে৷
বিশ্বাসযোগ্যতা
ব্যাচেলর থাকলে নানা রকম প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় তাই এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে হবে নিজেকে। সমাজের সব স্তরের মানুষই যেন আপনাকে বিশ্বাস করতে পারে সেভাবে নিজেকে প্রস্তুত করুন। কারণ আপনার কাজ নিয়ে সংশয় কিংবা সন্দেহ জাগে এমন পরিবেশ-পরিস্থিতি তৈরি করলে অনেক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
প্রস্তুতি
যারা পড়াশোনার কারণে কিংবা চাকরির জন্য ব্যাচেলর জীবনযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন কিন্তু বুঝে উঠতে পারছেন না কত টাকা লাগতে পারে জীবনযাপনে। আবার পরিবেশেই বা কেমন হয়, কেমন করেই বা খুঁজে নেবেন প্রয়োজনীয় মেস কিংবা কর্মজীবী হোস্টেল৷ এতকিছু না ভেবে ভবিষ্যত কর্মপন্থায় এগিয়ে যেতে প্রস্তুতি নেন।
ব্যাচেলর বাসা
ব্যাচেলরের বাসা খোঁজাটাই সবচেয়ে কঠিন কাজ। সাধারণত বাড়িওয়ালারা ব্যাচেলরদের বাসা ভাড়া দিতে চান না। তবে ঢাকা শহরের বেশকিছু এলাকায় ব্যাচেলর বাসা পাওয়া যায়। যেমন- শান্তিনগর, মগবাজার, মালিবাগ, আজিমপুর, লক্ষ্মীবাজার, ওয়ারী, মোহাম্মদপুর, পান্থপথ, তেজগাঁও, কাঁঠালবাগান, আজিজ মার্কেট, কল্যাণপুর, মিরপুর, যাত্রাবাড়ি, বাসাবো, খিলগাঁও। এসব এলাকায় ঢুকার পথেই বিভিন্ন দেয়ালে অথবা মসজিদগুলোর পাশে দেখবেন সাঁটানো আছে টু-লেট। তা দেখে যোগাযোগ করলে পেয়ে যেতে পারেন আপনার কাক্সিক্ষত সিট, রুম অথবা বাসা৷ তবে একটা ব্যাপার খেয়াল রাখবেন- বাসা দেখার সময় অবশ্যই মার্জিত হয়ে যাবেন। 
আসবাবপত্র
বাসাতো পেয়ে গেলেন। এবার তো তা গুছাতে হবে। আপনার রুমকে সুন্দরভাবে সাজাতে হলে প্রয়োজন হবে একটি খাট, ড্রেসিং টেবিল, আলনা আলমারি অথবা ওয়ারড্রব, চেয়ার-টেবিল। যার মধ্যে খাটের দাম ২ হাজার থেকে শুরু। ড্রেসিং টেবিল সাড়ে ৩ হাজার থেকে ১৫ হাজার, আলনা ৫শ থেকে সাড়ে ৪ হাজার, আলমারি ৩ হাজার থেকে শুরু, ওয়ারড্রব সাড়ে ৪ হাজার থেকে শুরু, ভালো চেয়ার-টেবিল সেট এক হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকায় কিনতে পাবেন। আর এগুলো কিনতে পাবেন পান্থপথ, কারওয়ান বাজার, মিরপুর, শেওড়াপাড়া, সেগুনবাগিচা, সায়েদাবাদ, নিউমার্কেট, গুলশান, নতুনবাজার, নয়াবাজারসহ বিভিন্ন আসবাবপত্রের শোরুমে।
ঘর গোছানো
বাসা সাজাতে শুধু আসবাবপত্র হলেই তো আর হবে না। এগুলোর জন্য প্রয়োজন আরো বেশ কিছু উপকরণ। যেমন বিছানায় ঘুমানোর জন্য চাই তোষক, জাজিম, লেপ, বালিশ, কাঁথা, বেড কভার, মশারি ইত্যাদি৷ বিছানার চাদর দেড়শ টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দামে আপনি কিনতে পারবেন। বালিশ জোড়াপ্রতি ২শ থেকে ৮শ, তোষক সাড়ে ৩শ থেকে ২ হাজার, লেপ ৪শ থেকে ১২শ, জাজিম ২ হাজার থেকে ৫ হাজার, মশারি দেড়শ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। আর এগুলো কিনতে আপনাকে যেতে হবে নিউমার্কেট, ফকিরাপুল, শান্তিনগর, ইসলামপুর, সদরঘাট, গুলিস্তানসহ ঢাকা শহরের বেশকিছু মার্কেটে।
মানিয়ে নেওয়া
ব্যাচেলর মানেই এক অন্যরকম জীবন। অপরিচিতদের সঙ্গে একই ঘরে এমনকি একই বিছানায় ঘুমাতে হবে আপনাকে। বিভিন্ন জেলার নানা রকম মানসিকতার মানুষ ব্যাচেলর বাসাগুলোতে একসঙ্গে বসবাস করে। এই ব্যাচেলর লাইফে সবার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা না থাকলে মহাবিপদে পড়তে হয়। তাই নিজেকে সেভাবেই প্রস্তুত করতে হবে। 
বাজার
বাড়িতে কখনো বাজার করেননি, তাতে কি? ব্যাচেলর থাকতে হলে আপনাকে নিয়মিত বাজার করতেই হবে। সাধারণত ব্যাচেলর বাসাগুলোতে একেকজনের উপর পর্যায়ক্রমে বাজারের দায়িত্ব থাকে। দেখে নিন আপনার বাজারের সময়টা কখন। বাজার করার সময় অবশ্যই সবাইকে জিজ্ঞেস করুন কার কী পছন্দ। তাদের পছন্দ অনুসারে বাজার করলে দেখবেন সব ঠিক। আর বাজারে গিয়ে যাই কিনুন না কেন, একটু দামাদামি করে কিনবেন। কারণ দোকানিরা নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দাম চেয়ে থাকে।    
ম্যানেজারি
প্রত্যেক মাসে বর্ডারদের মধ্য থেকে একজন ম্যানেজার হওয়ার জন্য মনোনীত হয়। এই প্রক্রিয়াটা অনেকটা সাইক্লিং আকারে হয়ে থাকে। পালাক্রমে সবাইকেই এ দায়িত্ব পালন করতে হয়। কে কত টাকার বাজার করলো, কার কত মিল হলো এই হলো ম্যানেজারের প্রধান কাজ। এছাড়া কে কোনদিন বাজার করবে, কি বাজার করবে, প্রতিদিনের হিসাব রাখাও ম্যানেজারের কাজ। আর মাস শেষে একখানা ফিনানসিয়াল স্টেটমেন্ট তৈরি করা ম্যানেজারের সবশেষ কাজ। 
কাপড় ধোয়া
সাধারণত ব্যাচেলররা নিজেদের কাপড় নিজেরাই ধুয়ে থাকেন। কাপড় ময়লা হলে দেরি না করে তাড়াতাড়ি ধোয়ার চেষ্টা করুন। ময়লা বা দাগ বেশি সময় থাকলে সেগুলো দূর করতে আরও বেশি কষ্ট ও সময় লাগবে। 
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ মনকে সতেজ রাখে। তাই ব্যাচেলরদের ঘরও পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন। সাধারণত ব্যাচেলরদের ঘরগুলো অপরিষ্কার থাকে। আর এর মূল কারণ অলসতা। ঘর নোংরা থাকলে, ঘরের পরিবেশ যেমন নষ্ট হয়, তেমনি অপরের জন্যও অস্বস্তিকর। অথচ যে সময়ে আপনি লুঙ্গি ও শার্টটি খুলে টেবিলে ও চেয়ারে রেখেছেন, সেই সময়ের মধ্যেই তা আলনায় ভাজ করে রাখতে পারেন অবলিলায়। দেখবেন রুমের পরিবেশটা একটু সচেতনতায় অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। আসলে জিনিসপত্র যত্রতত্র না রেখে যথাস্থানে রাখলেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবে আপনার ঘর। 
রান্না
ব্যাচেলরদের আরেকটি গুন থাকা খুবই জরুরি। আর তা হচ্ছে রান্নার ঠেকা কাজ চালিয়ে নেওয়া। রান্নার লোক দুই এক বেলা না এলেও বেশি সমস্যা হবে না, যদি নিজেই সহজ কিছু খাবার তৈরিতে পরদর্শী হতে পারেন।
নির্মল আড্ডাস্থল
শতকষ্টের পর সারাদিনের কাজকর্ম শেষ করে বাসায় ফেরার পর ব্যাচেলরদের চলে নির্মল আড্ডা। যা ব্যাচেলর জীবনের প্রধান খোরাক। আবার এ আড্ডা থেকেই বেরিয়ে আসে সৃজনশীল কাজ। চলে বর্তমান রাজনীতি নিয়ে তুমুল বিতর্ক, প্রেম নিয়ে মিষ্টি মধুর কথাবার্তা, কখনো উদ্দেশ্যহীনভাবেই অপ্রাসঙ্গিক আড্ডা। যা থেকে আনন্দের সঙ্গে সময় কাটানোর পাশাপাশি অনেক নতুন বিষয়ও উঠে আসে। অনেকেই পেয়ে যান ব্যক্তিগত নানা সমস্যা সমাধানের উপায়। সব মিলিয়ে ব্যাচেলরদের আড্ডা যেন নির্মল আনন্দের মিলনমেলা।


দুঃখগুলোও আমার
শারমীনা ইসলাম
আজ খুব ভোরে ঘুম ভেঙ্গে গেল চৈতির। সে দেখে জয় তার আগেই উঠে বেসে আছে। চৈতি জয়ের পাশে গিয়ে দেখে সে কাঁদছে। চৈতির মনে পড়ে গেল আজ জয়ের মায়ের মৃত্যু বার্ষিকী। চৈতি জয়ের মাথায় সান্তনা এবং নির্ভরতার হাত রাখলো। আসলে সে বোঝাতে চায় আমি আছি তোমার পাশে...
জন্মদিন, বিবাহ বার্ষিকী আমরা প্রিয়জনের সঙ্গে ঘটা করে পালন করি, তার যেকোনো অর্জনে একসঙ্গে আনন্দ করি। তবে তার দুঃখ, কষ্ট দুঃসময় এগুলোর ভাগ নেওয়ার মানসিকতাও তৈরি করতে হবে।
  • প্রিয়জনেরমন খারাপে তার পাশে থেকে সাহস যোগাতে হবে
  • তাকে সময় দিতে হবে, সে যদি একা থাকতে পছন্দ করে তবে কিছু সময়ের জন্য তাকে ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে
  • প্রিয়জনের মন খারাপ থাকলে তার প্রিয় কোনো জায়গায় বেড়াতে নিয়ে যাওয়া যায়
  • পছন্দের কোনো খাবারের দোকানে খেতে পারেন
  • ফুল, বই, গানের সিডি, পারফিউম অথবা তার প্রিয় কোনো কিছু গিফট করতে পারেন
  • কাছের বন্ধুদের ডাকা যেতে পারে
  • বাড়িতে কোনো আয়োজন করলে তাকেও কিছু কাজের দায়িত্ব দিন, কাজে মনোযোগী হলে মনখারাপ ভাব কমে যাবে।
  • তাকে গুরুত্ব দিয়েই এতো সব করা হচ্ছে এটা তাকে বোঝাতে হবে\
  • তবে লক্ষ্য রাখতে হবে কোনো আয়োজনই যেন উৎসবের পর্যায়ে চলে না যায়। কেননা, এতে প্রিয়জনের মন ভালো হওয়ার পরিবর্তে আরও খারাপ হয়ে যেতে পারে।
মানুষের জীবনে দুঃসময় কখনো স্থায়ী হয় না, তবে একেবারে খারাপ সময় আসবেনা এটা ভাবাও ঠিক নয়। আর দুঃসময়ে বন্ধুর পাশে থাকাই তো  প্রকৃত বন্ধুত্বের পরিচয়।
জামদানীতেও ছাড়! 
লাইফস্টাইল ডেস্ক
ফ্যাশন হাউস ওজি দিচ্ছে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড়। ২০ জুন থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত ছাড় চলবে । ওজির সকল পণ্যের ওপর এই ছাড় প্রযোজ্য।সেই সঙ্গে বর্ষায় পার্টিতে ফ্যাশন দুরস্থ থাকতে জামদানী শাড়ির আয়োজন করেছে ওজি। সম্পূর্ণ নিজস্ব ডিজাইনে তৈরি হয়েছে জামদানীগুলো। শাড়িগুলোতে ব্যাবহার করা হয়েছে উজ্জল হালকা রং, রয়েছে হালকা জরির কাজ। শাড়িগুলোর দাম ৩,৫০০ টাকা থেকে ১২,০০০ টাকা পর্যন্ত। জামদানীতেও থাকছে এই বিশেষ ছাড়। সোবহানবাগ, সীমান্ত স্কয়ার ও মালিবাগে ওজি’র নিজস্ব আউটলেটে পাওয়া যাবে পোশাকগুলো।
প্রথম পরিচয়ে
এজি মাহমুদ
আপনি কি প্রথম দর্শনে প্রেমে বিশ্বাস করেন, নাকি আরেকবার ঘুরে আসতে চান? প্রথম দর্শনে প্রেম কারও কাছে কল্পনা আবার কারও কাছে স্বপ্ন! কিš‘ প্রথম দর্শনের প্রকাশভঙ্গিই হয়ে উঠতে পারে আপনার পছন্দের মানুষকে কাছে টেনে নেওয়ার মোক্ষম মুহূর্ত! প্রথম পরিচয়েই চট করে কাউকে কাছে পাওয়া খুব সহজ কিছু নয়Ñ কিš‘ চোখের মায়ামাখা আকুলতা, বর্ণিল পোশাক আর নিখুঁত বাচনভঙ্গির উপস্থাপনা আপনাকে করে তুলতে পারে আকর্ষণীয়া-অপরূপা। প্রথম দর্শনে নারীর রূপ-রহস্যের কোন দিকগুলো পুরুষকে আকৃষ্ট করে আজ এ বিষয় নিয়েই লিখেছেন-এজি মাহমুদ
খোলা চুলের যাদু
সম্প্রতি এক অনলাইন ম্যাগাজিনের জরিপে দেখা গেছে, বিশ্বের তিন-চতুর্থাংশ পুর“ষ প্রথম পরিচয়ে নারীর দীঘল চুলের প্রেমে পড়ে। পুর“ষের চোখে দীঘলকেশী নারীরাই নাকি সবচাইতে আবেদনময়ী। দীর্ঘ চুলের প্রতি পুর“ষের এই প্রশংসীয় দৃষ্টিভঙ্গি আর দুর্বলতাই হয়ে উঠতে পারে আপনার অব্যর্থ অস্ত্র! কেশ নারীত্বের এমনই এক প্রতীক যা মৃদুস্পর্শেই সজীব হয়ে ওঠে। যা কি-না মসৃণ কিংবা অনেক ফ্যাশানেবল চুলের কাটিঙেও সম্ভব নয়। আপনার আকর্ষণীয় চুলÑ চট করে এটাই প্রমাণ করবে যে, আপনি নিজের সব ব্যাপারেই যথেষ্ট যতœশীল। যা আপনার আশেপাশে থাকা পুর“ষের মনোযোগ টেনে ধরবে আপনার দিকে। আকর্ষণীয় চুলের জন্য আপনাকে মাত্রাতিরিক্ত প্রসাধনীর সাহায্য নিতে হবে বা অনেক বেশি স্টাইলিশ হতে হবেÑ এমনটা নয়। বরং চুলের পরিষ্কার পরি”ছন্নতা এবং মুখায়াবের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ হেয়ার কাটিংয়েই চুলের আকর্ষণ বাড়িয়ে তুলবে অন্যদের কাছে। বয়স কমিয়ে রাখার জন্য উৎসাহ নিয়ে অন্যদের স্টাইলিশ হেয়ারকাট দেখে নিজের চুল কেটে ফেলার প্রয়োজন নেই। বরং চুলের স্বাভাবিক ভারসাম্যই পুর“ষের চোখে আপনাকে রূপবতী করে তুলবে বহুগুণে।
অফিস ক্লান্তি দূর করতে

শারমীনা ইসলাম
আমরা যারা সকাল-সন্ধা অফিস করি আর সারাক্ষণ কাজের চাপে খাওয়ার কথাও ভুলে যাই, তাদের যদি বলা হয় কাজের ফাঁকে আধা ঘণ্টা হেঁটে আসুন, তবে তা সফল করার সম্বাবনা দিবাস্বপ্নের মতোই হবে। কিন্তু একটানা চেয়ারে বসে থেকে   কম্পিউটারে কাজ করলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন পিঠে, ঘারে ব্যাথা, অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়া, দৃষ্টি শক্তির ক্ষতি ছাড়াও হাতের কব্জি অবস হয়ে আসতে পারে।
দীর্ঘ সময় কাজ করার পরে শরীরে ক্লান্তিভাব দেখা দেয়। যা আমাদের কাজের মনযোগ নষ্ট করে। আর সারাদিন অফিসের পর বাড়ি ফিরে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়ার সময়ও পাওয়া যায় না। ফলে শরীরে নানা ধরনের রোগ বাসা বাঁধার সুযোগ তৈরি হয়। অফিসের কাজের চাপে যখন ক্লান্ত হয়ে পড়ি তখন জেনে রাখা প্রয়োজন জটজলদি কিছু পদ্ধতি যা আমাদের খুব সহজেই অবসন্ন ভাব কাটিয়ে চাঙ্গা করে তুলবে। তেমনই কিছু টিপস্:
  • দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে কাজ না করে কিছুক্ষণ পরপর হেঁটে পাশের সহকর্মীদের খোঁজ খবর নিন
  • ছোট ছোট কাজে সাহায্যকারী না ডেকে নিজেই উঠে যান। যেমন কোনো কিছু প্রিন্ট বা ফটোকপি করতে হলে ডেস্ক থেকে গিয়ে নিজেই নিয়ে আসুন
  • কাজের ফাঁকে মাঝে মাঝে ব্রেক নিন। চা খান, সহকর্মীদের সঙ্গে গল্প করুন। নতুন করে কাজের উৎসাহ পাবেন
  • অফিসের চেয়ারে সব সময় শিরদাঁড়া সোজা রেখে বসুন
  • কম্পিউটার স্ক্রিনে একটানা ১০-১৫ মিনিটের বেশি তাকিয়ে থাকবেন না। কম্পিউটারে কাজ করার সময় নিয়মিত চোখের পাতা ফেলুন।
  • কম্পিউটার শরীর থেকে এক হাত দূরে, আই লেভেলের একটু নিচে সেট করুন।
সুস্থ্ থাকতে অফিসেই আমরা হালকা কিছু ব্যায়াম করতে পারি:   
  • হাত দুটো সামনের দিকে সোজা বাড়িয়ে দিন, এক হাত দিয়ে অন্য হাতের আঙ্গুলগুলো ধরুন। এবার হাত দুটো আস্তে আস্তে ওপর নীচ করুন।
  • অফিসের চেয়ারে মেরুদণ্ড সোজা করে বসুন। এবার ঘাড় আস্তে আস্তে ডানে বামে ঘোরান। এভাবে ৫ থেকে ১০ বার করুন
  • পায়ের আঙুলের ওপর ভর করে সোজা হয়ে দাঁড়ান। আস্তে আস্তে এই অবস্থায় পিঠ সোজা রেখে বসার ভঙ্গি করুন। এভাবে ৫ বার করুন
  • চেয়ারটা ডেস্ক থেকে খানিকটা দূরে সরিয়ে নিন। হাত দুটো সোজা করে ডেস্ক স্পর্শ করুন। ১০ বার।
নিয়মিত এই অল্প সময়ের অর্য়াক আউট আমাদের একঘেয়েমি দূর করে কাজে আরও মনযোগী করে তোলে এবং সুস্থ্ থাকতে সাহায্য করে।
 
বর্ষায় ত্বকের যত্ন
আমাদের মন যেমন বদলায়, তেমনি ঋতুরও পালাবদল হয়। ইলিশ খিচুরি খাওয়ার জন্য বৃষ্টির অপেক্ষায় থাকি আমরা। বর্ষাকাল আমাদের দারুণ প্রিয়। তবে আবহাওয়ার এ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ত্বকের যে পরিবর্তন হচ্ছে সেই খেয়াল কি রাখছি? বর্ষায় ত্বকের যত্ন নিতে আসুন জেনে নিই ছোট্ট সহজ কিছু টিপস। এগুলো মেনে চললে এই বর্ষায় আমরা নিজেকে সিগ্ধ, সতেজ ও আরও সুন্দর রাখতে পারি। * এই ঋতুতে আমাদের ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায়। এ সময় প্রয়োজন বাড়তি যত্ন।
* নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার রাখতে হবে। ভালো কোম্পানির কিনজার এবং স্ক্রাব ব্যবহারে ত্বকের মৃত কোষ সরে গিয়ে ত্বক মসৃণ হবে।
* দিনে বাইরে বের হলে অবশ্যই সানস্ক্রিন (এক ধরনের লোশন) ব্যবহার করতে হবে। এমনকি মেঘলা দিনেও।
* সপ্তাহে অন্তত দুই বার যবের গুড়া ও পাকা পেঁপে ত্বকে দিলে ত্বক পরিষ্কার ও উজ্জ্বল হবে ঠিক যেমনটি আপনি চান
* ভারি মেকাপ বর্ষাকালে যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা উচিত
* রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ত্বকে গোলাপ জলের সঙ্গে গ্লিসারিন মিশিয়ে লাগাতে পারেন। ত্বক নরম হবে
* বৃষ্টিতে ভিজে পায়ে সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। পা শুকনো রাখুন আর নিয়মিত পায়ের যত্ন নিন
সবসময় প্রচুর পানি আর তাজা ফলের রস এবং সবজি খাওয়া উচিৎ। আর হ্যাঁ, বাইরে বের হওয়ার সময় ছাতা নিতে ভুলবেন না।
শব-ই-বরাত উপলক্ষে ৫০ শতাংশ মূল্যছাড়
লাইফস্টাইল ডেস্ক
আগামী ৫ জুলাই শব-ই-বরাত। এই ভাগ্যরজনীতে বিশ্বের সকল মুসলমানগন এটি পালন করে থাকেন বিশেষ ধর্মীয় ভাবগাম্ভির্যের সাথে। শব-ই-বরাত উপলক্ষে ফ্যাশন হাউজ ‘রঙ’ পাঞ্জাবিতে ৫০% পর্যন্ত ‘শুভে”ছা মূল্যছাড়’ এর আয়োজন করেছে লালমাটিয়ায় সানরাইজ প্লাজা বিক্রয়কেন্দ্রটিতে। এই সময় ক্রেতারা পাঞ্জাবিসহ অন্যান্য পোশাক এ ৫০% পর্যন্ত ছাড় পাবেন। এসুযোগ সকলের জন্যে উন্মুক্ত, সুতরাং ক্রেতাসাধারণ হ্রাসকৃত মূল্যে চমৎকার সব ডিজাইনের এক্সক্লুসিভ ও ফ্যাশনেবল পাঞ্জাবিসহ অন্যান্য পোশাক কিনতে পারবেন এসময়ে। রঙ এর ‘শুভে”ছা মূল্যছাড়’ বিক্রয়কেন্দ্রের ঠিকানা:- সানরাইজ প্লাজা, ৩য় তলা, ব্লক-এ, লালমাটিয়া, ঢাকা, ফোন- +৮৮ ০২-৮১৫৬২৪২।
বাংলার শোভা
লাইফস্টাইল ডেস্ক
ফ্যাশন হাউজ বাংলার শোভা এবার মেগাশপ খুলেছে। সাভার বাসস্ট্যান্ড বাজারে এই মেগাশপের যাত্রা শুরু হয় করে ১৫ জুন বিকেলে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সুধিজন ও বাংলার শোভার কর্মকর্তারা। এই মেগাশপে মাছ, মাংস, সবজি থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় সব ধরণের খাবার ও পণ্য পাওয়া যাবে। পাশাপাশি, পোশাক, প্রসাধনী, বাচ্চাদের পণ্যও রয়েছে এখানে। উদ্বোধন উপলক্ষে বিভিন্ন পণ্যে দেওয়া হচ্ছে বিশেষ ছাড়। এছাড়া রাজশাহীর বিষমুক্ত আমও এখানে পাওয়া যাচ্ছে। ঠিকানা : বি-১/৩, সাভার বাসস্ট্যান্ড, ঢাকা। ফোন : ৭৭৪৭৮১২
ইন্টারভিউ টিপস 
শারমীনা ইসলাম
শিক্ষা জীবন শেষ করে সবার স্বপ্ন থাকে পছন্দ মতো ক্যারিয়ার গড়ার। নিজের নামের সঙ্গে প্রিয় পদবীটি পাওয়ার জন্য আমাদের বসতে হয় হট সিটে, মানে চাকরির সাক্ষাৎকার। আমরা সফল হতে চাই, ইন্টারভিউ বোর্ডের সবাইকে সস্তুষ্ট করে। কিন্তু তার পূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে তো?
যারা কয়েক দিনের মধ্যেই সেই হট সিটে বসতে যাচ্ছেন, তাদের জন্য কয়েকটি ইন্টারভিউ টিপস:
  • প্রথমে প্রয়োজন আত্মবিশ্বাস। আত্মবিশ্বাসই আপনাকে সফলতা অর্জনে অনেক এগিয়ে দেবে
  • নির্ধারিত দিনে অফিসে ঠিক সময় মত যাবেন। রাস্তায় জ্যাম থাকবেই, তাই হাতে সময় নিয়ে একটু আগেই পৌঁছে যান
  • সাক্ষাৎকারে যাওয়ার আগে যে প্রতিষ্ঠানে চাকরির আবেদন করেছেন, সে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা নিন। কী ধরনের কাজ হয় জানতে তাদের ওয়েবসাইট দেখুন
  • পোশাকের ক্ষেত্রে ফরমাল হতে হবে। মেয়েরা দেশীয় পোশাক পরতে পারেন। তবে ছেলেরা অবশ্যই ফরমাল পোশাক, টাই এবং জুতা পরবেন
  • জীবনবৃত্তান্ত, একটি কলম ও নোটপ্যাড সঙ্গে রাখুন
  • আপনার মুঠোফোনটি সাক্ষাৎকার কক্ষে ঢোকার আগে সাইলেন্ট করে নিন
  • প্রশ্নের উত্তর যথাসম্ভব সহজ, সরল ও সংক্ষিপ্তভাবে দিন।
  • কোনো প্রশ্নের উত্তর জানা না থাকলে সরাসরি বলুন, জানি জানি ভাব করে সময় নষ্ট করবেন না
  • ইন্টারভিউ এর সময় যেমন নার্ভাস হওয়া যাবেনা, তেমনি ওভার স্মার্টনেস দেখানোও ঠিক নয়
  • আপনাকে বাংলায় প্রশ্ন করা হলে, ইংরেজীতে উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন নেই
  • যদি সুযোগ পান, তবে চাকরি দাতাদের বুঝিয়ে বলুন, আপনিই এই পদের যোগ্য এবং চাকরিটিও আপনার প্রয়োজন।
মনে রাখবেন, যারা ইন্টারভিউ বোর্ডে চাকরি দিতে বসেছেন, তারা চাকরি প্রার্থীর থেকে কম জানেন না। আর তাদের চাওয়া পূরন করতে পারলেই চাকরি নামের সোনার হরিণটি হবে আপনার। রইল সফল হওয়ার শুভকামনা।

1 টি মন্তব্য:

  1. আমার কিডনি বিক্রি করার এত বছর চেষ্টার পর আমি খুশি, ভারত থেকে NA HEALTH CARE কে ধন্যবাদ যারা ($600,000USD) হারে আমার কিডনি কিনেছে তাদের সাথে যোগাযোগ করুন
    NAHEALTHCARE.IN@GMAIL.COM
    হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর: +19099134258

    উত্তরমুছুন