ঈদের খুশিতে চাই নতুন টাকা
বশির হোসেন খান
ঈদের
খুশিতে চাই নতুন
টাকা। ঈদের দিন
ছোট-বড় সবাইকে নতুন টাকা দিতে
হয়। সদরঘাট দিয়ে বাড়ি
যাওয়ার উদ্দেশ্য হলো নতুন
টাকা কেনা। গুলিস্তানে নতুন টাকার দোকানের সামনে এ কথাগুলো বলছিলেন ব্যাংকার মোশাররফ। তার বাড়ি চঁাদপুর। ঈদে চকচকে নতুন
টাকা হাতে পেলে
খুশি হন না
এমন মানুষ খুঁজে
পাওয়া ভার। যত
জামা-জুতো বা
গরু-খাসি কেনা হোক ঈদের
বিশেষ আকর্ষণ নতুন টাকা।
বিশেষ করে ছোট ছেলেমেয়েরা নতুন টাকা
পেলে
ভীষণ খুশি হয়।
আর তাদের খুশি
বাড়িয়ে দিতেই নতুন
টাকা সংগ্রহ করেন বাড়ির
কর্তাব্যক্তিরা। নতুন টাকার
গন্ধও বড় চমত্কার। আর এ নতুন
টাকার ব্যবসাও বেশ
জমজমাট। গুলিস্তান সিনেমা হলের সামনে
নতুন টাকার পসরা
সাজিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। দুই, পাঁচ,
১০ থেকে
১০০০ টাকার নতুন
নোট
নিয়ে বসেছেন ইদ্রিস আলী। তিনি
জানান, প্রতি ঈদেই
পাবলিকের নতুন টাকা
কেনার
আগ্রহ থাকে। যে
যেমন
পান কিছু না
কিছু নতুন টাকা
কিনে নিয়ে যান।
বিশেষভাবে ১০ টাকার
নতুন নোট
দিয়ে দোকান সাজিয়েছেন মো.
আজাদ। তিনি বলেন,
এমন সাজের উদ্দেশ্য শুধু ঈদের গ্রাহক আকর্ষণের জন্য। তিনি
জানান, আমরা ব্যাংক থেকে নতুন
টাকা বের করে
আনতে অতিরিক্ত টাকা দিতে
হয়। আর ব্যাংকে লাইন ধরে দঁাড়িয়ে টাকা আনতে অনেক
সময় লাগে। সিরাজ
খান নতুন টাকা
কিনে নাকের কাছে
নিয়ে গন্ধ নেয়ার
চষ্টো করছেন। তিনি জানান,
পরিবারের সবার চাওয়া
ঈদের দিনে নতুন
টাকা। প্রতিবার নতুন টাকা
নিয়ে প্রথমে মায়ের হাতে
তুলে দিই। মা
ঈদের দিন সকালে
সবাইকে সালামি দেন।
মহাখালী থেকে
এসেছেন আবদুর রাজ্জাক। তিনি জানান, প্রতি
ঈদেই টাকা নিয়ে
যাই, তবে এবার
একটু বেশি
খরচ হচ্ছে। গুলিস্তানের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যবসায়ী মো. আসাদ
আলী বলেন, ব্যাংক থেকে টাকা
নিয়ে আসতে এবার
বেশি
খরচ হচ্ছে। তাই যে যেমন পাচ্ছে দাম রাখছে। এই কারণে
১০০ টাকার নোটের এক হাজার
বান্ডিল টাকার ৮০
টাকা, ৫০ টাকার নোটের বান্ডিল ৭০ টাকা,
হাজার টাকার নোটেও এ রকম বেশি
দিতে হচ্ছে।