Year-19 # Issue-32 # 23 September 2012



সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল
আগামী নির্বাচন হবে তত্ত্বাবধায়ক নয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে
সিরাজউদদীন আহমেদ
বিএনপি সরকারের আমলে ১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগসহ ১৪ দল অংশগ্রহণ করেনি। ভোটারবিহীন নির্বাচনের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড গণআন্দোলন চলে। ঢাকার মেয়র মোহাম্মদ হানিফের নেতৃত্বে জনতার মঞ্চ তৈরি হয়। সচিবালয়ে সরকারি কর্মচারীরা পৃথক মঞ্চ গঠন করে ফেব্রুয়ারি নির্বাচন বাতিলের দাবি করে। তারা সরকারের পদত্যাগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য সংগ্রাম শুরু করে। রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের পাশাপাশি জেলায় জেলায় জনতার মঞ্চ তৈরি হয়। জেলা প্রশাসক, সরকারি আধাসরকারি কর্মচারীগণ নির্বাচন বাতিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করে। ১৯৯৬ সালের মার্চ মাসে আন্দোলনের ফলে সরকার অচল হয়ে পড়ে সকল মন্ত্রণালয়ের সচিবগণ রাষ্ট্রপতি আব্দুর রহমান বিশ্বাসের সঙ্গে সাক্ষাত্ করে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন যে, তারা খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গঠিত বিএনপি সরকারের অধীনে দায়িত্ব পালন করবে না। তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়। আন্দোলনে বাংলাদেশে ১০ লক্ষ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করে। সরকার বাধ্য হয়ে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী পাস করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রবর্তন করে। প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া চারদলীয় জোট সরকার ১৯৯৬ সালে ৩০ মার্চ পদত্যাগ করে। প্রধান বিচারপতি হাবিবুর রহমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে সরকার গঠন করে। ২০০১ সালে অক্টোবরে গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল বিতর্কিত। তারা বিএনপি-জামায়াতের পক্ষে কাজ করে। ক্ষমতায় এসে চারদল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, নির্যাতন হত্যা করে। সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন করে, চলে ধর্ষণ, নারী নির্যাতন। ২০০১ সালে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ১৪ দল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলে। ২০০১ সালে প্রধান উপদষ্টোসহ কয়েকজন উপদষ্টো বিএনপির পক্ষে কাজ করে। বিএনপি প্রচুর টাকা ব্যয় করে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার টাকার কাছে বিক্রি হয়ে যায়। ২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বিএনপি-জামায়াত সরকার জাতির সঙ্গে প্রতারণা করে। নিজ দলের সমর্থক নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নির্বাচন কমিশন গঠন করে। আওয়ামী লীগ ১৪ দল তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন শুরু করে। আন্দোলনে অনেকেই প্রাণ দিয়েছে। জাতীয় সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। পরিশেষে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসে। তারা বছর ক্ষমতায় ছিল। শেখ হাসিনা খালেদা জিয়াসহ অনেক নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়। তাদের ওপর নির্যাতন করা হয়। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে মহাজোটের মহাবিজয় হয়। ২০০৯ সালে জানুয়ারি শেখ হাসিনা মহাজোটের সিনিয়র নেতাদের বাদ দিয়ে সর্বকালের সবচেয়ে অদক্ষ মনি্ত্রসভা গঠন করে। কয়েকজন মন্ত্রী অবশ্য দায়িত্ব পালন করে সুনাম অর্জন করেছেন। বিএনপি-জামায়াত অব্যাহতভাবে সংসদ বর্জন করে চলছে। তারা সংসদে যায় না, তাদের একমাত্র দাবি আগামী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে। তা না হলে তারা নির্বাচন করতে দেবে না। তারা মহাজোটের দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করবে না। আওয়ামী লীগের যুক্তি হলো আগামী নির্বাচন হবে দলীয় সরকারের অধীনে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি সংবিধান বিরোধী সংবিধানে আছে একমাত্র নির্বাচিত সরকার দেশ শাসন করবে। তত্ত্বাবধায়ক নির্বাচিত সরকার নয়। কারণে সুপ্রিমকোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করেছে। সুপ্রিমকোর্ট দীর্ঘ শুনানির পর ২০১১ সালে ১০ মে প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে ঐতিহাসিক রায় দেন। রায়ে বলা হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি সংবিধান বিরোধী। একমাত্র জনপ্রতিনিধিরা সরকার পরিচালনা করবে। তবে প্রয়োজনে দশম একাদশ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতিতে হতে পারে। কিন্তু বিচারপতিরা সরকার প্রধান হতে পারবে না। ২০১২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর সুপ্রিমকোর্ট ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রদান করে। সাবেক বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক বেঞ্চের অপর তিনজন বিচারপতি মোট জন বিচারপতি তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি বাতিলের পক্ষে স্বাক্ষর করেন। দুই জন বিচারপতি তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি বহাল রাখার পক্ষে মত দেন। একজন বিচারপতি বিষয়টি সংসদের নিকট ছেড়ে দিতে বলেছে। সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের অধিকাংশ বিচারপতিদের রায় ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের পক্ষে। ২০১১ সালের সুপ্রিমকোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সম্বলিত ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করার পর জাতীয় সংসদ পঞ্চদশ সংশোধনী পাস করেছে। তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি বাতিল করেছে। অনির্বাচিত সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। বুদ্ধিজীবীরা টকশোতে বলছে, এক সময় আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করেছে। প্রাণ দিয়েছে, তারা এখন তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতির অধীনে নির্বাচন চায় না। কারণ আগামী নির্বাচনেও মহাজোটের পরাজয় হতে পারে। কারণে মহাজোট তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি চায় না। বিএনপি অতিশয় আশাবাদী তাদের দিবাস্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে না।
স্পিকার বার বার বিরোধী দলকে অনুরোধ করে সংসদে আনতে ব্যর্থ হয়েছে। সময় অনেক সরকার দলীয় তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতির পক্ষে ছিলেন। সংসদে বিরোধী দল না থাকায় সংসদ পঞ্চসংশোধনী পাস করেছে। সুতরাং বাংলাদেশের সংবিধান অনুসারে তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতির অধীনে জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে কোনো সুযোগ নেই। বিএনপি-জামায়াতসহ ১৮ দল তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির জন্য বিগত বছর একের পর এক হরতাল, বাস পোড়া, ভাঙচুর চালায়। তারা দেশের সম্পদ ক্ষতি করেছে। সরকার বিরোধী দলকে সংসদে আলোচনায় বসতে বলেছে। কিন্তু তারা বলছে সরকার যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রস্তাব মেনে নেয় তাহলে তারা আলোচনায় বসবে। সরকার সংসদের বাইরে বিরোধী দলের সঙ্গে বসতে রাজি নয়। বিরোধী দলের একই কথা তত্ত্বাবধায়ক সরকার যদি মেনে নেয়া হয় তাহলে তারা আলোচনায় বসতে রাজি আছে। সরকারি দলের প্রস্তাব হলো তারা কোনো অবস্থায় বাতিলকৃত তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি গ্রহণ করতে রাজি হবে না। তারা প্রস্তাব দিয়েছে অন্তর্বতর্ীকালীন সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন হতে পারে। সরকারি দলের প্রস্তাব বিএনপি সরাসরি নাকচ করেছে। দেশের অধিকাংশ মানুষ মনে করে বিএনপি মেৌলবাদী ভিত্তিক জোট। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিরোধী। তারা যুদ্ধাপরাধীদের বঁাচাতে চায়। বিচার প্রক্রিয়া বিলম্ব করতে চায়। তারা আবার দেশে জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠা করবে, তারা চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে ভারতের পূর্বাঞ্চলে বিদ্রোহীদের অস্ত্র পাঠাবে। অস্ত্র পাচারকারীদের যে বিচার চলছে তা বন্ধ হয়ে যাবে। দেশে আবার মেৌলবাদ প্রতিষ্ঠিত হবে। তারা সংবিধানকে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে ১৯৭৫ সালে পঞ্চম সংশোধনী পুনপ্রতিষ্ঠা করবে। সংবিধানের চার মেৌলিক নীতি বিলুপ্ত হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী শক্তিকে ক্ষমতায় যেতে দেয়া হবে না। মহাজোট সরকারের সাথে বিএনপি-জামায়াতের সমঝোতা হবে না। তারা দুই মেরুতে অবস্থান করছে। বিরোধী দল বিশ্বাস করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হলে তারা বিভিন্ন কেৌশলে ২০০১ সালে ন্যায় নির্বাচনে জয়লাভ করবে। নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। কারণে আওয়ামী লীগ বিএনপি জামায়াতের ফঁাদে পা দিতে চায় না। তাই একমাত্র সমঝোতার পথ হলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন। সরকারে মহাজোটের এবং বিএনপির সংসদ সদস্যগণ থাকবেন। সরকার হবে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন নয়, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের জন্য জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের দেখতে হবে কোনো অবস্থায় যেন স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ক্ষমতায় না আসে। আমরা মনে করি তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রবর্তন করা মুহূর্তে সঠিক হবে না। যদি নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করা হয় এবং ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংসদ সদস্যদের নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয় তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত হবে। গণতনে্ত্রর জয় হবে।
মিডিয়ার জ্যোতি জ্যোতিকা
কামরুজ্জামান মিলুসারাহ বেগম কবরীর `আয়না` ছবির মাধ্যমে ২০০৬ সালে জ্যোতিকা জ্যোতির মিডিয়ায় পথচলা শুরু। অভিনয় জীবনের প্রথম কাজটি কবরীর মতো গুণী অভিনেত্রীর সঙ্গে করতে পেরে তিনি দারুণ আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত। ২০০৪ সালে লাক্সতারকা নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমে জ্যোতি তার জীবনে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। জ্যোতি অভিনীত প্রথম নাটক `মোহনা`। জ্যোতি বর্তমানে কাহিনীচিত্র জীবনঢুলীতে অভিনয় করছেন। শ্যুটিং শুরু হচ্ছে অক্টোবরে। joyছবিটির কাহিনী ও চিত্রনাট্য রচনা করেছেন পরিচালক তানভীর মোকাম্মেল। জীবনঢুলী ছবিকে এবছর অনুদান দিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়। জ্যোতি আয়নার পর বেলাল আহমেদের নন্দিত নরকে, সর্বশেষ তানভীর মোকাম্মেলের রাবেয়াতে অভিনয় করেছেন। কয়েক বছর পর জীবনঢুলীতে অভিনয় করছেন জ্যোতি। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গল্পের এ ছবির শ্যুটিং শুরু হচ্ছে আগামী ১০ অক্টোবর। ছবিতে জ্যোতি অভিনয় করবেন শতাব্দী ওয়াদুদের বিপরীতে।
joyজ্যোতি বংলানিউজকে বললেন, “রাবেয়ার পর আবার তানভীর মোকাম্মেলের ছবিতে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি, এটা আমার জন্য অনেক বড় ব্যাপার। অনেক আনন্দের।” ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় নিম্নবর্ণের এক গরিব ঢাকি জীবনকৃষ্ণ দাসের অভিজ্ঞতার গল্প নিয়ে ছবিটি। জীবনকৃষ্ণ দাসের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করবেন জ্যোতি। এখন অভিনয়শিল্পী হয়ে সবকিছু হওয়ারই সুযোগ তৈরি হয়েছে কন্যা রাশির এ কন্যার। তবে অভিনয়ে এলেন কীভাবে, তা জানা দরকার; জ্যোতি বলেন, “২০০০ সালের দিকে আমি ময়মনসিংহ শহরে আসি। এখানে আনন্দমোহন কলেজে ইংরেজি সাহিত্যে মাস্টার্স করার জন্য ভর্তি হই। তখন জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে আমার নিয়মিত যাতায়াত শুরু হয়। শিল্পকলা একাডেমীর চার বছর মেয়াদি আবৃত্তি ও নাট্যকলার ওপর একটি কোর্স করি। একই সময়ে ময়মনসিংহের বহুরূপী থিয়েটারের সদস্য হই। কিন্তু কি কপাল আমার! মঞ্চ নাটকে পরে আর কাজ করা হয়নি।” সুদীর্ঘ সাধনা ও ত্যাগ-তিতীক্ষার পরে জ্যোতি এ অবস্থানে আসতে পেরেছেন। আজীবন তিনি জ্যোতির আলোয় আলোকিত থাকতে চান। একে একে বেশকিছু দর্শকপ্রিয় নাটকে তিনি অভিনয় করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটগল্প অবলম্বনে `সম্পত্তি সমর্পণ` ও `দৃষ্টিদান`, কাজী নজরুল ইসলামের গল্প অবলম্বনে `অগ্নিগিরি`, `এক কুঠুরী দুই দরজা`, ধারাবাহিক নাটক `চতুর্ভূজ`, `রাতের গল্প`, `শেষ অধ্যায়`, `পিছুটান`, `দহন` ইত্যাদি।
জ্যোতি অভিনীত সাম্প্রতিক ধারাবাহিকগুলোর মধ্যে রয়েছে- `অগ্নিপথ`, `রাঙা মা`, `বিজয়`, `ঘুড়ি ওড়ে`, `যাদুর শহর`, `অহঙ্কার`, `আশা টকিজ`, `কলেজ রোড`, `পালাবার পথ নেই`, `আপন আপন খেলা` ইত্যাদি। এছাড়াও তিনি সম্প্রতি ঈদের জন্য প্রায় ১২টির মতো নাটকের কাজ সম্পন্ন করেছেন। এর মধ্যে- সৈয়দ শামসুল হকের লেখা ‘স্বপ্ন দেখা সাহস’, আশিকুর রহমানের ‘বিয়ে ভীতি’, শতাব্দী জাহিদের ‘স্বপ্নবুনন’, রনির ‘জাগরণের রংটা ধূসর ছিল’, নজরুল কোরেশীর ‘ভালোবাসার লাল পিঁপড়া’ উল্লেখযোগ্য। জ্যোতিকা জ্যোতির চার ভাইবোনের মধ্যে বড়। বাবা নিতাই পাল স্কুল শিক্ষক। ছেলেবেলা থেকেই জ্যোতি ছিলেন খুবই শান্ত ও স্পষ্টবাদী। সততা, বিশ্বস্ততা ও অধ্যবসায়- এ তিনটি তার জীবনের মূলমন্ত্র। জ্যোতির বিশ্বাস, একমাত্র আত্মবিশ্বাস দ্বারাই সব অর্জন সম্ভব। সঙ্গে পরিপূরক পরিশ্রম ও সৎচিন্তা থাকলে কোনো বাধাই লক্ষ্যনিবিষ্ট পথের অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে না। আর এ আদর্শে উজ্জীবিত হয়েই তিনি এগিয়ে চলছেন দুর্বার গতিতে। জ্যোতি সবশেষে বলেন, “আমি তো প্রতিনিয়ত নিজেকে অভিনয়ের জন্য পরিবর্তনের চেষ্টা করি। আগের কাজ দেখে ভুলগুলো শুধরে নিই। আমি মনে করি, এটা করা দরকার। দর্শকদের ভালোবাসা নিয়ে আমি সামনে এগিয়ে যেতে চাই।”