Year-19 # Issue-42 # 2 December 2012



দেশে নতুন করে এইচআইভি আক্রান্ত ৩৩৮

বছরে এইডসে মারা গেছেন ৬৫ জন
নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশে গত এক বছরে নতুন করে এইচআইভি আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩৮ জন, আর এইডস রোগী বেড়েছে ১০৩ জন। এছাড়া এইডসে মারা গেছেন ৬৫ জন। বিশ্ব এইডস দিবসে গত শনিবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী রুহুল হক এই তথ্য জানিয়েছেন।
এইচআইভি আক্রানে্তর সংখ্যা, নতুন এইডস রোগী এবং মৃতু্যর সংখ্যা ২০১২ সালে তার আগের বছরের বৃদ্ধির তুলনায় কমেছে। ২০১১ সালে এইডসে মারা যান ৮৪ জন। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ১৯৮৯ সালে দেশে এইডস ধরা পড়ার পর এই পর্যন্ত হাজার ২০৪ জন  রোগী শনাক্ত হয়েছে। এই সময়কালে এইচআইভি আক্রানে্তর সংখ্যা হাজার ৮৭১ জন। এইডসে এই পর্যন্ত দেশে ৩৯০ জনের মৃতু্য হয়েছে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
প্রাণঘাতী এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা  তৈরিতে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দেশে পালিত হচ্ছে বিশ্ব এইডস দিবস। সকালে জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে  শোভাযাত্রা বের হয়। সরকারের পাশাপাশি এনজিওসহ বিভিন্ন সংগঠন এইডস সচেতনতা তৈরিতে দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। এবারের বিশ্ব এইডস দিবসে এইচআইভি সংক্রমণ কমানোর ওপর  জোর দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাবি্লওএইচও) সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গত ১০ বছরে এইডস রোগীর সংখ্যা ২৫ লাখ বেড়েছে। তবে এই সংখ্যা তার আগের ১০ বছরের তুলনায় ৭০ লাখ কম। ২০১১ সালে এইডস আক্রান্ত ১৭ লাখ মানুষ মারা যায় বলে ডাবি্লওএইচও জানায়।  গত বছর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে রাষ্ট্রনেতারা ২০১৫ সালের মধ্যে ১৫ লাখ এইডস রোগীর কাছে ওষুধ  পঁেৌছানোর লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে। ওই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কাছাকাছি পেৌঁছানো  গেছে বলে ডাবি্লওএইচও জানায়।

দোহায় আন্তর্জাতিক সেমিনারে আহ্বান
জলবায়ু বাস্তুচু্যতদের দায়িত্ব
ধনী দেশগুলোকে নিতে হবে
নিজস্ব প্রতিবেদক
গতকাল শনিবার কাতারের দোহাতে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে ইউরোপ, এশিয়া, আফ্রিকা এবং ল্যাটিন আমেরিকার ১২টি আন্তর্জাতিক সুশীল সমাজ সংগঠনের নেটওয়ার্ক এবং বাংলাদেশের ৭টি নেটওয়ার্ক জলবায়ু বাস্তুচু্যতদের দায়িত্ব ধনী দেশগুলোকেই নিতে হবে বলে দাবি জানিয়েছে। কপ ১৮ উপলক্ষে আয়োজিত Èজাতিসংঘের নতুন সনদ প্রয়োজন: জলবায়ু  বাস্তুচু্যত: প্রসঙ্গ অধিকার দায়িত্ব' শর্ীষক এই  সেমিনারে দাবি করা হয় যে, ধনী দেশগুলোই জলবায়ু পরিবর্তন এবং অতিরিক্ত কার্বন নির্গমণের জন্য ঐতিহাসিকভাবে দায়ী।
গতকাল বিকেলে ইকু্যইটিবিডি সূত্রে তথ্য জানা গেছে। সূত্রটি থেকে বলা হয়, সেমিনারে অংশগ্রহণকারী  আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কগুলো হলো ৩৫০.ওআরজি (যুক্তরাষ্ট্র),  ভারতের বিয়ন্ড কোপনেহেগেন কালেকটিভভারতীয় জন বিজ্ঞান যাত্রা এবং পারিভি, ফিলিপাইনের জুবিলি সাউথ এশিয়া প্যাসিফিক ডেভেলপমেন্ট মুভমেন্ট (জেএসএপিএমডিডি) এবং পিপলস মুভমেন্ট অন ক্লাইমেট চেঞ্জ, কেনিয়ার প্যান আফ্রিকান ক্লাইমেট জাস্টিস এলায়েন্স (পিএসিজেএ), বেলজিয়ামের  লিস্ট ডেভেলপমেন্ট কান্ট্রি ওয়াচ, নেপালের সাউথ এশিয়ান এলায়েন্স অন পোভার্টি ইরাডিকেশন (এসএএপিই), যুক্তরাজ্যের ওয়ার্ল্ড ডেভেলপমেন্ট মুভমেন্ট এবং জুবিলি ডেভট ক্যাম্পেইন। বাংলাদেশী নেটওয়ার্কগুলো হলো বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), বাংলাদেশ ইনডেজিনাস পিপল নেটওয়ার্ক ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ এন্ড বায়ো ডাইভার্সিটি (বিপনেট সিসিবিডি), ক্লাইমেট চেঞ্জ ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (সিসিডিএফ), ক্লাইমেট গভর্নেন্স নেটওয়ার্ক (সিএফজিএন), ক্যাম্পেইন ফর সাসটেইনেবল রুরাল লাইভলিহুড (সিএসআরএল), ইকু্যইটি এন্ড জাস্টিস ওয়ার্কিং গ্রুপ (ইকু্যইটিবিডি) এবং নেটওয়ার্ক অন ক্লাইমেট চেঞ্জ বাংলাদেশ (এনসিসিবি)
. আহসান উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে বক্তব্য রাখেন পিএমসিসি' . টনি ট্রোজান, পিএসিজেএ' স্যামুয়েল ওগালহা, জুবিলি সাউথ ল্যাটিন আমেরিকা এবং বলিভিয়া' জাতিসংঘ বিশ্ববিদ্যালয়ের  . কোকো ওয়ার্নার, এসএএপিই' . তিমসিনা নেত্রা, ভারতের সোমাইয়া দত্ত সঞ্চয় ভাহয়িস্ট, এ্যাকশন এইড বাংলাদেশ' ফারাহ কবির এবং বিসিএএস' . আতিক রহমান। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিসিডিএফ' গোলাম রাব্বানী। আয়োজকদের পক্ষ থেকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইকু্যইটিবিডি' রেজাউল করিম চেৌধুরী এবং সমাপনী বক্তব্য রাখেন সিএফজিএন' জাকির হোসেন খান।
মূল প্রবন্ধে জাকির হোসেন খান জলবায়ু বাস্তুচু্যতির উপর একটি বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরেন। তিনি জলবায়ু সম্মেলনে অংশগ্রহণরত প্রতিনিধিদের প্রতি কানকুন সমঝোতার ১৪ (এফ) প্যারা বাস্তবায়নে উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান, যেখানে জলবায়ু বাস্তুচু্যতদের কথা বলা হয়েছে।
. টনি ট্রোজান বলেন, হয় ইউএনএফসিসিসি অথবা জাতিসংঘের অধীনে নতুন একটি সনদ প্রয়োজন, যার মাধ্যমে সীমান্তবর্তী জলবায়ু বাস্তুচু্যতরা তাদের অধিকার পায়, কারণ জলবায়ু বাস্তুচু্যতরা তাদের মানবাধিকার রক্ষায় একটি নতুন নিরাপদ আইনি কাঠামোর অধিকার রাখে। স্যামুয়েল ওগালহা বলেন, একটি মহাদেশ হিসেবে আফ্রিকা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচাইতে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন, অথচ এই অঞ্চলটি মাত্র % কার্বন নির্গমণের জন্য দায়ী।  যেহেতু ধনী দেশগুলো কার্বন নির্গমণ এবং জলবায়ুর সব ধরনের নেতিবাচক পরিবর্তনের জন্য দায়ী এবং যেহেতু আরেকটি পৃথিবী তৈরি করা সম্ভব নয়, তাই জলবায়ু বাস্তুচু্যতদের দায়িত্ব তাদেরকেই নিতে হবে।
মার্টিন ভিলে্ললা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ইতোমধ্যে ল্যাটিন আমেরিকায় বাস্তুচু্যতিসহ নানা বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে। জলবায়ু আলোচনার ক্ষেত্রে মানবাধিকারের মূল নীতিগুলো বিবেচনা করতে হবে। আর  কারণেই এই পৃথিবীতে বঁেচে থাকার নতুন উপায় প্রয়োজন। তিমসিনা নেত্রা বলেন, বর্তমান পঁুজিবাদী বিশ্ব নানাভাবে এই পৃথিবী এবং এর সম্পদের সর্বনাশ করছে, এবং এর সুফল ভোগ করছে ধনী দেশগুলো। কারণেই এই ব্যবস্থার পরিবর্তন দরকারচিন্তার নতুন মাত্রা প্রণয়ন অতি আবশ্যক।
ফারাহ কবির বলেন, ধনী দেশগুলোকে হয় ব্যাপকভাবে কার্বন নির্গমণ কমাতে হবে, অথবা যারা বাস্তুচু্যত হতে বাধ্য হচ্ছে সেই সব মানুষের জন্য নতুন বিকল্প নীতি বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি জলবায়ু বাস্তুচু্যতির ক্ষেত্রে জেন্ডারের সংবেদনশীলতার বিষয়টি আলোকপাত করেন।  . কোকো তার গবেষণার আলোকে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রেক্ষিতে জলবায়ু বাস্তুচু্যতির বিষয়টি তুলে ধরেন। সোমাইয়া দত্ত জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ভারতে কিভাবে জলবায়ু বাস্তুচু্যতি ঘটছে তা তুলে ধরেন। . আতিক রহমান বলেন, সম্মেলনে আগত সকল প্রতিনিধিকেই মানুষের যে স্থানত্যাগ বা অন্যত্র স্থানান্তরের অধিকার রয়েছে তা তুলে ধরতে হবে।

 

  

দুদকের উদ্ধার করা অর্থ কোকোর নয়: ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
দুদকের উদ্ধার করা অর্থ আরাফাত রহমান কোকোর নয় বলে দাবি করেছে বিএনপি। একই সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিষয়ক বক্তব্যেরও বিরোধিতা করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল শনিবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন।
ফখরুল বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর পাচার করা অর্থের মধ্যে ২০ লাখ ৪১ হাজার ৫৩৪ দশমিক ৮৮ সিঙ্গাপুরি ডলার (প্রায় সাড়ে ১৩  কোটি টাকা) সরকার ফিরিয়ে এনেছে বলে বক্তব্য দিয়েছেন দুদক  চেয়ারম্যান। বস্তুত জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যনে্ত্রর প্যাকেজে দুদক  চেয়ারম্যান রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এমন ভিত্তিহীন বক্তব্য দিয়েছেন।
কোকোর মামলার ক্ষেত্রে সিআরপিসি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ  বেঞ্চের নির্দেশনা অনুসরণ করা হয়নি অভিযোগ করে তিনি বলেন, আরাফাত রহমান  কোকো দেশে ফিরে এলে সিআরপিসির ১৮৮ সেকশন কেন অনুসরণ করা হয়নি তা জানতে চেয়ে রীট আবেদন করা হবে। মির্জা ফখরুল বলেন, দুদক যে টাকা উদ্ধারের কথা বলছে সে টাকা বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে ব্যাংক টু ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের জাজ কোম্পানির একাউন্টে জমা হয়েছে। পিআর জাজ  ট্রেনিং কোম্পানি গঠন কোম্পানির একাউন্ট ওপেনের সঙ্গে আরাফাত রহমান কোকোর  কোনো প্রকার সংশি্লষ্টতা কখনও ছিল না। ২০০৪ সালে এপ্রিলের ১০ তারিখে জজ ট্রেনিং কোম্পানি সিঙ্গাপুরে নিবন্ধিত হয়। আমেরিকা এইচএসবিসি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের একাউন্ট  থেকে ওয়ার ট্রান্সফারের মাধ্যমে জাজ  ট্রেনিং কোম্পানির ব্যাংক একাউন্টে ২০ লাখ মার্কিন ডলার স্থানান্তর করা হয়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, এজাহারে বলা হয়েছে, এই ২০ লক্ষ মার্কিন ডলার ইউনাইটেড ওভারসীজ ব্যাংক সিঙ্গাপুরে ২০০৭ সালের ১৬ নভেম্বর জমা হয়েছে এবং ফিক্সড ডিপোজিট করা হয়েছে। সিঙ্গাপুরিয়ান জাজ  ট্রেনিং কোম্পানির সঙ্গে আরাফাত রহমান কোকোর কোনো প্রকার সংশি্লষ্টতা নেই। কোকো এই  কোম্পানির কোনো পরিচালক, অংশীদার,  শেয়ার হোল্ডার বা কোনো কর্মকর্তা নন। তার নিজের নামে এই একাউন্ট নয়। মির্জা ফখরুল বলেন, ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়া আরাফাত রহমান কোকোকে তত্কালীন সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আটক করা হয়। ২০০৭ সালে ১৬ নভেম্বর সিঙ্গাপুরে ইউনাইটেড ওভারসীজ ব্যাংকে টাকা জমা দেয়া হয়। জেলখানা থেকে  কোকোর পক্ষে ব্যাংক লেনদেন করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, ওয়ান-ইলেভেনের সময় দায়ের হওয়া মামলাগুলো মিথ্যা এই বক্তব্য দেয়ার দিন পর দুদক  চেয়ারম্যান দাবি করেন- সিঙ্গাপুর ইউনাইটেড ওভারসীজ ব্যাংক থেকে  কোকোর ২০ লক্ষ মার্কিন ডলার পাচারকৃত টাকা উদ্ধার করে বাংলাদেশ  সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট খুলে রাখা হয়েছে। প্রসঙ্গে আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, সোনালী ব্যাংকের এমডি সাহেব সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন- Í বিষয়ে তিনি  বেশি কিছু জানেন না, কোথা থেকে কত টাকা এসেছে  সে বিষয়ে সুনির্দষ্টি কিছু বলতে পারেন নি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, আমেরিকার এইচএসবিসি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক থেকে এই টাকা ট্রান্সফার করা হয়। জেলে থাকা অবস্থায় কোকোর পক্ষে এই টাকা ট্রান্সফার করা বা ফিক্সডিপোজিট করা সম্ভবপর নয়। ২০০৮ সালের ১৮ জুলাই প্যারোলে মুক্তি পেয়ে চিকিত্সার জন্য আরাফাত রহমান কোকো বিদেশে যান।আরাফাত রহমান কোকোর কোন একাউন্ট থকে টাকা উদ্ধার করা হয়েছে দুদক চেয়ারম্যানের প্রতি এমন প্রশ্ন রেখে মির্জা ফখরুল বলেন, দুদক মিডিয়ার সামনে অসত্য তথ্য পরিবেশন করেছে। তিনি বলেন, ২০০৯ সালের ১৭ মার্চ কোকোর বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় দায়েরকৃত মামলা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে হয়নি, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হয়েছে।
মামলার ভয়ে কোকো বিদেশে আত্মগোপন করে আছেন, তিনি বিচারের সম্মুখীন হবেন না অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য একেবারেই অসত্য। ২০০৮ সালের ১৮ জুলাই কোকো বিদেশ যান। তিনি বিদেশ থাকাকালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর এই মামলা দায়ের করা হয়। মির্জা ফখরুল বলেন, এই মামলার রায়ে আরাফাত রহমান কোকোকে বছরের জেল দেয়া হয়েছে। কোকোর এই মামলা এবং দণ্ড সম্পূর্ণভাবে আইনের পরিপন্থি। সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ  বেঞ্চ তারেক রহমানের মানি লন্ডারিং মামলায় যে নির্দেশনা দিয়েছেন তাতে সুস্পষ্টভাবে উলে্লখ করা আছে, পূর্বের ঘটনার বিচার পরের আইনে হবে না। তারেক রহমানের মামলার বিচার ২০০২ সালের আইনে হবে।
তিনি বলেন, আপিল বিভাগে উলে্লখ আছে মানি লন্ডারিং নতুন আইন ২০০৯ সালে তৈরি হয়। কোকোর মামলার আইন পাসের পূর্বের ঘটনাকে পূর্বের আইনে অর্থাত্ ২০০২ সালে বিচার না করে ২০০৯ সালে বিচার করেছে, যা আপিল বিভাগের রায়ের পরিপন্থি।  কোকোর মামলার রায়ে সিআরপিসি অনুসরণ করা হয়নি। সেকশন ১৮৮তে বলা হয়েছে, Èবাংলাদেশের কোনো নাগরিকের দ্বারা বিদেশে  কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে, বিদেশের আইনে অপরাধ হিসেবে বিবেচিত না হলে, উক্ত ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশে কোনো মামলা হতে পারে না।' যেমন আমেরিকার যে  কোনো ব্যাংক থেকে সিঙ্গাপুরের কোনো ব্যাংকে টাকা ট্রান্সফার সে দেশের আইনে অপরাধ নয়। কিন্তু আরাফাত রহমান কোকোর মামলা দায়েরের পর  থেকে রায় হওয়া পর্যন্ত সিআরপিসি  সেকশন ১৮৮ অনুসরণ করা হয়নি।
তিনি বলেন, যে শর্তে প্যারোলে মুক্তি  দেয়া হয়েছিল সে শর্ত মেনে চলার পরও অ্যাটর্নি  জেনারেল মাহবুবে আলম মান সম্মানের তোয়াক্কা না করে কোকোর মুক্তির প্যারোল বাতিল করার জন্য নম্নি আদালতে নিজেই উপস্থিত হয়ে  কোকোর জামিন বাতিল করিয়েছেন, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল এবং সম্ভবত একমাত্র ঘটনা। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নবনির্বাচিতদের শুভেচ্ছা অভিনন্দন জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, যুগ্ম-মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, রুহুল কবির রিজভী, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ছানাউল্লাহ মিয়া, সহ-দফতর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।