Year-20 # Issue-17 # 09 June 2013

একযোগে বদলি পুলিশের ১৪ ‍ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা
একযোগে বদলি পুলিশের ১৪ ‍ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা
নিজস্ব প্রতিবেদক
পুলিশের ডিআইজি (উপ-মহাপরিদর্শক) থেকে এডিশনাল এসপি (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) পর্যায়ের ১৪ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপণ জারি করে। বদলিকৃত কর্মকর্তাদের মধ্যে ডিআইজি পদমর্যাদার ১ জন, অতিরিক্ত ডিআইজি ৪ জন, এসপি এবং এডিশনাল এসপি ৯ জন রয়েছেন। বদলি হওয়া পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন, প্রস্তাবিত সন্ত্রাস দমন ইউনিট গড়ার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি নাজিবুর রহমানকে রাজারবাগ টেলিকমে, ঢাকা পুলিশ স্টাফ কলেজের অতিরিক্ত ডিআইজি ফজলুর রহমানকে সারদা পুলিশ একাডেমিতে, ঢাকা এসবির (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) অতিরিক্ত ডিআইজি মাহবুব হাকিমকে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার পদে, ঢাকা টেলিকমের অতিরিক্ত ডিআইজি হাসিব আজিজকে নোয়াখালি পিটিসি কমান্ড্যান্ট, ঢাকা পুলিশ স্টাফ কলেজের অতিরিক্ত ডিআইজি (চলতি দায়িত্বে) মোজাম্মেল হোসেনকে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি (চলতি দায়িত্বে), ঢাকা পঞ্চম এপিবিএনের অধিনায়ক সারোয়ার মোর্শেদ শামিমকে দিনাজপুরের পুলিশ সুপার, নীলফামারির পুলিশ সুপার আলমগীর রহমানকে ঢাকা এসবির বিশেষ পুলিশ সুপার, ঢাকায় সংযুক্ত ডিএমপি পুলিশ সুপার মীজানুর রহমানকে ঢাকা আরআরএফের কমান্ড্যান্ট, মিশন হতে প্রত্যাগত পুলিশ সুপার আবু কালাম সিদ্দিককে ডিএমপি উপ-পুলিশ কমিশনার, লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামানকে ঢাকা এসবির বিশেষ পুলিশ সুপার, সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মনিরুজ্জামানকে লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার, ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বর্তমানে পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেনকে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার, ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জোবায়ের রহমানকে নীলফামারির পুলিশ সুপার (চলতি দায়িত্বে) এবং নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাজিদ হোসেনকে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার (চলতি দায়িত্বে) পদে বদলি করা হয়েছে। এছাড়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহাবুর রহমানকে খুলনা মেট্রোপলিটনে বদলি করা হয়েছে।


পোশাক খাতের মজুরি বোর্ড ঘোষণা
নিজস্ব প্রতিবেদক
সাবেক জেলা জজ অমূল্য কুমার রায়কে প্রধান করে পোশাক শ্রমিকদের মজুরি পুর্ননির্ধারণে ছয় সদস্যের বোর্ড ঘোষণা করেছে শ্রম কর্মসংস্থাণ মন্ত্রণালয়। শ্রমমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কামাল উদ্দিন আহমেদকে বোর্ডের নিরপেক্ষ সদস্য, এম সাইফুদ্দিনকে মালিক পক্ষের এবং কে ফজলুল হক মন্টুকে শ্রমিক পক্ষের সদস্য করা হয়েছে। এছাড়া বিজিএমইএর পরিচালক আরশাদ জামাল দিপুকে মালিক পক্ষ এবং সিরাজুল ইসলাম রনিকে শ্রমিক পক্ষের অস্থায়ী সদস্য করা হয়েছে বলে জানান তিনি। আইন অনুযায়ী গেজেট প্রকাশের পর ছয় মাসের মধ্যে নতুন মজুরি কাঠামো নির্ধারণের কথা থাকলেও শ্রমমন্ত্রী আশা করছেন, তার আগেই নতুন মজুরি কাঠামো নির্ধারণ করবে এই বোর্ড। বর্তমান সরকার শ্রমিকবান্ধব এমন দাবি করে মন্ত্রী বলেন, চা এবং পাটকল শ্রমিকদেরও বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। পোশাক শ্রমিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশ তোমার, আমার সবার। আমি হাতজোড় করে অনুরোধ করছি আপনারা খাতকে রক্ষা করুন। এটা রক্ষা না হলে দেশের প্রতি আঘাত আসবে। এই মুজরি বোর্ড পোশাক শ্রমিকদের সব সমস্যার সমাধান করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন রাজিউদ্দিন রাজু। আশুলিয়া, সাভার ঢাকার পোশাক কারখানাগুলোকে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার স্থানান্তর করা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এজন্য গজারিয়ায় ৫০০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া সাত বিভাগে সাতটি গার্মেন্ট পল্লী করার পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে শ্রমমন্ত্রী বলেন, গার্মেন্ট পল্লী এলাকায় স্কুল-কলেজ, হাসপাতালসহ যা যা সুযোগ সুবিধা প্রয়োজন তার সবই হবে। মন্ত্রী জানান, বর্তমানে ৪০ লাখ মানুষ পোশাক খাতে কাজ করছেন, যাদের ৮০ শতাংশই নারী। এর আগে সর্বশেষ ২০১০ সালের ২৭ জুলাই পোশাক শ্রমিকদের নূ্যনতম মজুরি তিন হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। গত তিন বছরে মূল্যস্ফীতির কারণে ওই কাঠামো পর্যালোচনা করার দাবি জানিয়ে আসছিল শ্রমিক সংগঠনগুলো। বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রফতানিকারক দেশ হলেও আগের মজুরি কাঠামোই সব কারখানায় ঠিকমতো অনুসরণ করা হয় না বলেও অভিযোগ রয়েছে। গত বছরের নভেম্বরে তাজরীন ফ্যাশনসে আগুন এবং গত ২৪ এপ্রিল সাভারে রানা প্লাজা ধসের প্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমে বাংলাদেশের পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশ শ্রমিকদের স্বল্প মজুরির বিষয়টি নতুন করে সামনে চলে আসে। যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশি পোশাক বর্জনেরও হুমকি দেয়া হয়। এরপর পোশাক কারখানাগুলোর কর্মপরিবেশ নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি করে সরকার যার প্রধান করা হয় বস্ত্রমন্ত্রীকে। গত ১২ মে বস্ত্রমন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী সাংবাদিকদের জানান, শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে অস্থিরতা নিরসন, কারখানা চালু রাখা এবং উত্পাদনের স্বার্থে নতুন মজুরি বোর্ড গঠন করা হচ্ছে।
সিনেমা ছেড়ে দিচ্ছেন পূর্ণিমা
বিনোদন রিপোর্ট ॥ সিনেমা ছেড়ে দিচ্ছেন পূর্ণিমা। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রায় নিয়েই ফেলেছেন। নতুন কোন ছবির অফার গ্রহণ করছেন না। সবাইকে খোলাসা করে না বললেও ঘনিষ্ঠ কয়েকজন পরিচালক, অতীতে যাদের ছবিতে কাজ করে সুনাম কুড়িয়েছেন, যাদেরকে শ্রদ্ধা করেন, সম্মান করেন, যাদের কথা শোনেন, প্রয়োজনে বুদ্ধি-পরামর্শ নেন, তাদেরকে স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন সিনেমায় অভিনয় আর করবেন না। তবে নাটক কিংবা বিজ্ঞাপনচিত্রের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত পূর্ণিমা জানাননি। পূর্ণিমাকে নিয়ে ৩টি ছবি নির্মাণ করেছেন এমন একজন সিনিয়র পরিচালক তার নতুন ছবির জন্য প্রস্তাব দিলে পূর্ণিমা সিনেমা জগত ছেড়ে দেয়ার কথা তাকে পরিষ্কার করেই জানিয়েছেন। শুটিং চলা একটি ছবি ‘টু বি কন্টিনিউড’-এর শুটিং শেষ হওয়ার পর এ বিষয়ে তিনি ঘোষণা দেবেন বলে জানিয়েছেন। ইমপ্রেস টেলিফিল্মের প্রযোজনায় ‘টু বি কন্টিনিউড’ পরিচালনা করছেন ইফতেখার আহমেদ ফাহমি। পূর্ণিমা অভিনীত দুটি ছবি এখন মুক্তির মিছিলে। ছবি দুটি হচ্ছে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘লোভে পাপ পাপে মৃত্যু’ এবং মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ পরিচালিত ‘ছায়া-ছবি’। তার অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি এফআই মানিক পরিচালিত ‘জজ ব্যারিস্টার পুলিশ কমিশনার’। এই ছবিতে তার নায়ক ছিলেন শাকিব খান। ছবিটি প্রত্যাশানুযায়ী সাফল্য পায়নি। পূর্ণিমার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তিনি এখন স্বামী সংসার নিয়েই ব্যস্ত থাকছেন। মাসখানেকেরও বেশি সময় পূর্ণিমা চট্টগ্রামে স্বামীর বাড়িতে কাটিয়ে এসেছেন। নিয়মিত ঢাকা-চট্টগ্রাম আসা-যাওয়া করতে হবে তার। তাছাড়া সিনেমার বিষয়ে শ্বশুর বাড়ির রয়েছে ঘোর আপত্তি। নাটকে অভিনয়ের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নিলেও ঈদের বেশ কয়েকটি নাটকের অফার পূর্ণিমা ফিরিয়ে দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে পূর্ণিমার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তিনি বর্তমানে ঢাকায় নিকুঞ্জে নিজের বাড়িতেই অবস্থান করছেন বলে ঘনিষ্ঠ সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। নব্বই দশকের শেষের দিকে ঝানু প্রযোজক পরিচালক মতিউর রহমান পানুর হাত ধরে জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘এ জীবন তোমার আমার’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পদার্পণ করেন কিশোরী দিলারা হানিফ রীতা। আবিষ্কারক মতিউর রহমান পানু তার নাম দেন পূর্ণিমা। প্রথম ছবি সাফল্য না পেলেও পূর্ণিমা এক সময় চলচ্চিত্রের অন্যতম সেরা নায়িকা হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেন। ‘মনের মাঝে তুমি’, ‘সুলতান’, ‘শাস্তি’, ‘সুভা’, ‘মেঘের পরে মেঘ’, ‘হৃদয়ের কথা’, ‘আকাশ ছোঁয়া ভালবাসা’, ‘স্বামী স্ত্রীর যুদ্ধ’, ‘পিতামাতার আমানত’ সহ অসংখ্য ভাল মানের ছবিতে অভিনয় করে পূর্ণিমা হয়ে ওঠেন নির্মাতাদের ভরসা। কাজী হায়াৎ-এর ‘ওরা আমাকে ভাল হতে দিল না’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন পূর্ণিমাকে অভিনেত্রী হিসেবেও স্বীকৃতি এনে দেয়। নির্মাতাদের ভরসা আর দর্শকদের ভালবাসা পাওয়ার পরও চলচ্চিত্রকে বিদায় জানাবার জন্য পূর্ণিমার সিদ্ধান্ত, শিল্পী সঙ্কটের দুর্যোগপূর্ণ সময়কে আরও দীর্ঘায়িত করবে বলে তাকে নিয়ে কাজ করা পরিচালকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

প্রথমবারের মতো কোনো মিউজিক ভিডিওতে কাজ করতে যাচ্ছেন মডেল অভিনেত্রী শখ
প্রথমবারের মতো কোনো মিউজিক ভিডিওতে কাজ করতে যাচ্ছেন মডেল অভিনেত্রী শখ। শহীদ ও শুভমিতার গাওয়া গানটির মিউজিক ভিডিও পরিচালনা করবেন তানজিম মিশু।
‘ওগো তোমায় ভালোবাসবো সারাটি জীবন’ গানটির  কথা ও সুর করেছেন দ‍ুরবিন ব্যান্ড প্রধান শহীদ ও সংগীতায়োজন করেছেন রাফি। এ প্রসঙ্গে শখ বাংলানিউজকে বলেন, “এটি আমার প্রথম মিউজিক ভিডিওতে কাজ। কাজটি নিয়ে আমি অনেক আশাবাদি। শহীদ ভাইয়ের এর আগের মিউজিক ভিডিওগুলো দেখেছি। আমার ভালো লেগেছে। ইচ্ছা আছে কাজটি ভালো করে করার।” এ বিষয়ে শহীদ  বাংলানিউজকে বলেন, “আমার এ গানটি আছে ‘সারাটি জীবন’ শিরোনামের অ্যালবামে। আগামী সপ্তাহে মিউজিক ভিডিওটির শ্যুটিং করা হবে। এরই মধ্যে গানটি বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। ইচ্ছে আছে ঈদে শ্রোতাদের হাতে গানটি তুলে দেব।” 

Year-20 # Issue-16 # 02 June 2013


‘আ.লীগ সরকার গণতন্ত্রের গলা চেপে ধরেছে’
‘আ.লীগ সরকার গণতন্ত্রের গলা চেপে ধরেছে’

৭৪ সালের মতো আওয়ামী লীগ গণহত্যা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, “দেশ শাসনে ব্যর্থ হয়ে ৭৪ সালে গণতন্ত্র হত্যা করেছিল আওয়ামী লীগ। আবার ঠিক একই কায়দায় আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রের গলা চেপে ধরেছে এবং গণহত্যা শুরু করেছে।” মির্জা ফখরুল বলেন, “গভীর রাতে সরকার দিগন্ত ও ইসলামিক টিভির সম্প্রচার বন্ধ করেছে। মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করে নির্যাতন করেছে। আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ করেছে। সরকারের এহেন কর্মকাণ্ডে মনে হচ্ছে, একদলীয় বাকশালে ফিরে যাচ্ছে বর্তমান সরকার।”  তিনি বলেন, “এ অবস্থা থেকে দেশকে রক্ষা করতে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দুর্বার গণআন্দোলনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে মেনে নিতে বাধ্য করতে হবে।” শনিবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জিয়াউর রহমানের ৩২তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া উপস্থিত থাকলেও কোনো বক্তৃতা দেননি তিনি।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিঞা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাবেক ভিসি ড. মোস্তাহিদুর রহমান, ঢাবির শিক্ষক ড. মাহবুব উল্লাহ, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ড. এম ওসমান ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, যুবদলের সভাপতি আবদুস সালাম আজাদ, মহিলা দলের সভাপতি নুরী আরা সাফা, ছাত্রদলের সভাপতি আবদুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আহমেদ সিদ্দিকী প্রমুখ।
‘আবার এক-এগারো এলে বিরোধী দলীয় নেতাকে জেলে যেতে হবে’ প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, “আপনার কি মনে নেই, আপনি হাসতে হাসতে মঈন উদ্দিন, ফখরুদ্দীন সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে বঙ্গভবনে গিয়েছিলেন?”
তিনি বলেন, “আপনি বলেছিলেন, এই সরকার আপনাদের আন্দোলনের ফসল। আপনি বিমানবন্দরে বলেছিলেন, ফখরুদ্দীন, মঈন উদ্দিন সরকারের সব কাজে বৈধতা দেবেন। তাহলে, এখন আপনি যে বক্তব্য দিচ্ছেন, তা আপনার চিরাচরিত মিথ্যাচার।”
তিনি  বলেন, “নির্যাতন, নিপীড়ন, জেল, জুলুম, হত্যা, গুম এখন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান সরকার খালেদা জিয়া, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান থেকে শুরু করে হাজার হাজার নেতাকর্মীর নামে মামলা দিয়েছে। বিএনপির এমন কোনো নেতা নেই যার নামে ২৫টির কম মামলা আছে।”
নাম উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, “আমাদের দলের নেতা এমকে আনোয়ার, বরকত উল্লাহ বুলু, আমান উল্লাহ আমান, মো. শাহজাহান, রিজভী আহমেদসহ হাজার হাজার নেতাকর্মী এখন কারাগারে।”
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “বন্ধুগণ, আমাদের আত্মতৃপ্তির কোনো কারণ নেই। সামনে জোর লড়াই অপেক্ষা করছে।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “জিয়াউর রহমান ৭৫ থেকে ৮১ মাত্র পাঁচবছরে বাংলাদেশকে নতুন স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। তিনি বটমলেস বাস্কেট থেকে দেশকে উদীয়মান ব্যাঘ্রে পরিণত করেছিলেন।”
সভাপতির বক্তব্যে সাদেক হোসেন খোকা সরকারের মন্ত্রীদের ব্যাপক সমালোচনা করে বলেন, “তারেক রহমানকে সুবিধা মতো সময়ে লাখ মানুষ সম্মান জানিয়ে দেশে আনবে।” প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনার শুভাকাঙ্খী ও সুহৃদ হিসেবে বলতে চাই, এখনো সময় আছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার মেনে নিন।”
 তথ্যমন্ত্রী ইনুকে হুঁশিয়ারি করে দিয়ে তিনি বলেন, “জিয়াউর রহমান সম্পর্কে উল্টাপাল্টা কথা বন্ধ করেন। তা না হলে পরিণতি হবে ভয়াবহ!”
স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “শেখ হাসিনা এমন সব কর্ম করেছেন এখন লেভেল প্লেইং ফিল্ডের মাধ্যমে নির্বাচনে যেতে ভয় পান। সারাদেশের মানুষ আজ এই সরকারের হাত থেকে মুক্তি চায়। তারা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে সমর্থন দেওয়ার জন্য।”
তিনি বলেন, “এই সরকার দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে ভয় পায়। তারা তারেক রহমানকে ভয় পায়। তারেক রহমানের একটি বক্তৃতার কারণে পুরো সরকার ভয়ে ভীত হয়ে পড়েছে।”
ড. মোশাররফ বলেন, “আওয়ামী লীগ ও তাদের নেতা যেখানে ব্যর্থ হয়েছে, জিয়াউর রহমান সেখানে সফল হয়েছেন। সে জন্যই জিয়াউর রহমানের প্রতি তাদের এত গাত্রদাহ।” তিনি বলেন, “জিয়াউর রহমান এমন একজন মানুষ ছিলেন, যিনি সেনাবাহিনী থেকে জনগণের নেতায় পরিণত হয়েছিলেন। তিনিই সংবিধানে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপন করেছিলেন। আর এই সরকার সংবিধান থেকে আল্লার ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস তুলে দিয়েছে।”
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, “৬টি কারণে জিয়াউর রহমানকে এদেশের মানুষ শত শত বছর স্মরণ রাখবে। এর প্রথমটি হলো- জিয়াউর রহমান এদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। পুরো জাতি যখন দিশেহারা ছিল, তখন জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে জাতিকে দিক-নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
 দ্বিতীয়ত, জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার স্বঃতস্ফূর্ত বিপ্লবের মাধ্যমে জাতীয় রাজনীতিতে আভির্ভূত হয়েছিলেন। পৃথিবীর কোনো দেশের ইতিহাসে এটা খুঁজে পাওয়া যায়নি যে, একজন সেনানায়ক জনগণের নেতায় পরিণত হয়েছেন।
 তৃতীয়ত, জিয়াউর রহমান গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সংবাদপত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছিলেন।
 চতুর্থত, জিয়াউর রহমান ইসলামী মূল্যবোধের ভিত্তিতে দেশ পরিচালনা করেছেন। সংবিধানে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম ও আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা সংযোজন করেছিলেন। পঞ্চমত, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা। তিনি বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তি স্থাপন করেন।
ষষ্ঠত, জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন আদর্শবান রাজনীতিবিদ, যা সব রাজনীতিবিদের জন্য অনুকরণীয়।”
মহাজোট যেন কাগুজে!
মহাজোট যেন কাগুজে
কাগজ-কলমে সীমিত হয়ে পড়েছে মহাজোটের কার্যক্রম। সরকারের শরিক হয়ে থাকলেও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ও  জোটগত সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে মহাজোটে জাতীয় পার্টিকে (জাপা) এখন অদৃশ্যই বলা চলে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বরং জাপা প্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সরকার বিরোধী দৌড়ঝাঁপ মহাজোটের কাগুজে অবস্থানকেই আরো দুর্বল করে তুলছে। এ মহাজোট সরকার গঠনের পর থেকেই চাওয়া-পাওয়ার হিসেব নিকেশ নিয়ে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্কের টানাপড়েন শুরু হয়। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সেই টানাপড়েন এতো বেড়েছে যে, এখন আর মহাজোট নয়, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোটই মূলত সরকার পক্ষের রাজনীতি চাঙা রাখছে। এ সরকারের প্রথম দিকে ১৪ দলের শরিকদের মধ্যে বৈঠক অনিয়মিত ছিল। ২০১২ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে ১৪ দলের মধ্যে অনেকটা নিয়মিত বৈঠক হচ্ছে। জামায়াতের যুদ্ধাপরাধ ইস্যু, হেফাজত ইস্যুকে ঘিরে ১৪ দলের মধ্যে সর্ম্পক জোরদার হয়েছে।
অন্যদিকে ২০১১ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে মহাজোটের মধ্যে আনুষ্ঠানিক কোন বৈঠক হয় নি। মহাজোট সরকারের প্রায় সাড়ে চার বছর সময়ে শরিকদের সঙ্গে জাতীয় পার্টির বৈঠক হয়েছে ১টি কি ২টি।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল বিভিন্ন সময় ঐক্যবদ্ধভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি দিলেও এর সঙ্গে জাতীয় পার্টির কোন সম্পৃক্ততা নেই। জাতীয় পার্টিকে বাদ দিয়ে ১৪ দলীয় জোট প্রতিনিয়ত আলাদাভাবে বৈঠক করে বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটকে মোকাবেলা করতে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
বিগত নির্বাচনের চাওয়ার সঙ্গে পাওয়ার হিসেব না মিলাতে অনানুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পার্টি মহাজোট থেকে দূরে সরে গেছে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় পাটির্র চেয়ারম্যান হুসাইন মুহম্মদ এরশাদের রাজনৈতিক ও প্রেস সচিব সুনীল শুভ রায় বাংলানিউজকে বলেন, “বৈঠকে আমরা যাচ্ছি না। এ সরকার গঠনের পর থেকে কবে বৈঠক হয়েছে জানি না।”
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর ১ জন সদস্য বাংলানিউজকে বলেন, “সত্যি কথা বলতে কি, সরকারের বাইরে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও কর্মসূচি পালনের ক্ষেত্রে মহাজোটের অস্তিত্ব নেই।’
সরকারের সঙ্গে জাতীয় পার্টির দূরত্ব প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য বাংলানিউজকে বলেন, “সরকারের কাছে নিজেদের কদর বাড়াতে জাতীয় পার্টি সরকার বিরোধী অবস্থান নিয়েছে। তারা মহাজোট ছেড়ে যাবে কোথায়?”
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বাংলানিউজকে বলেন, “সত্যি কথা বলতে কি, জাতীয় পার্টি দূরেই আছে। তাদের সঙ্গে সে সর্ম্পক নেই। সে জন্য জাতীয় পার্টিকে সেভাবে পাওয়া যাচ্ছে না। তারা নিজস্ব চিন্তা বা সিদ্ধান্তে মহাজোট অথবা ১৪ দলের কোন বৈঠকে আসেন না।”
তিনি বলেন, “মহাজোটের শরিক জাকের পার্টির সঙ্গে অচিরেই বসবে ১৪ দল। পর্যায়ক্রমে জাতীয় পার্টিসহ অন্যদের সঙ্গেও বৈঠক হবে। সে প্রক্রিয়া আমরা শুরু করতে যাচ্ছি।” আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ-উল আলম লেনিন বাংলানিউজকে বলেন, “মহাজোট হচ্ছে নির্বাচনী জোট। এ জোটের সঙ্গে জাতীয় পার্টি সরকারের অন্তর্ভুক্ত। যেহেতু মহাজোট একটি নির্বাচনী জোট তাই সব ইস্যুতে একমত হতে হবে তা নয়।’
ওয়ার্কার্স পার্টি সভাপতি রাশেদ খান মেনন বাংলানিউজকে বলেন, “মহাজোট হচ্ছে কেবল নির্বাচনী ঐক্য। নির্বাচন এলে মহাজোট আবার ঐক্যবদ্ধ হবে।’
এরশাদের মহাজোট ছাড়ার হুমকি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটা তাদের ব্যাপার। তারা ছাড়ার কথা বলে, আবার থাকেও তো। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মনে হয়, তারা মহাজোট ছেড়ে যাবে না।” এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বাংলানিউজকে বলেন, “আনুষ্ঠানিকভাবে মহাজোটের মিটিং হয় নি। এমনিতে তো টেলিফোনে, দেখা হলে আলোচনা কখনো কখনো হয়ে থাকে। যেটা না হলেই চলে না সেটা হয়ে থাকে।”
তিনি বলেন, ‘মহাজোটের সঙ্গে আমাদের আন্ডারস্ট্যান্ডিং আছে। আমরা এখনো মহাজোটে আছি। কিন্তু আমাদের দলের একটি ভিন্নতা আছে। আমাদের আদর্শ ভিন্ন এবং পথ ও মতের পার্থক্য রয়েছে। আমাদের অবস্থানে থেকে জাতীয় পার্টিকে সংগঠিত করা এবং আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার কার্যক্রম আমাদের চলছে।” মহাজোট থেকে বের হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, “চাওয়া পাওয়ার মধ্যে ব্যাপক দূরুত্ব। সে জন্য দলের একটি অংশের চাপে আমরা থেকে এসেছি। কর্মীদের এবং মাঠ পর্যায়ের সমর্থকদের প্রত্যাশা পূরণে যথেষ্ট অবদান আমরা রাখতে পারি নি। সেই শুরু থেকে এটা আছে। তারপরেও আমাদের নেতা-কর্মীদের সিদ্ধান্ত পার্টির চেয়ারম্যান মহাজোট বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটা হবে আমাদের।”
আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসছে না কেন?
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বার বার মহাজোট ছাড়ার কথা বললেও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেন নি। এরশাদের বিরুদ্ধে থাকা মামলার বিষয়টি বিবেচনা করে তিনি মহাজোট ছাড়ার ঘোষণা দেন নি বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।
এছাড়া জাতীয় পার্টি মহাজোটের মধ্যে থেকে সরকার বিরোধী অবস্থান নিয়ে এন্টি আওয়ামী লীগ ভোট নিজেদের কোর্টে নিয়ে দলের অবস্থান শক্তিশালী করতে চাইছে।
সার্বিক পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে সামনে এগুচ্ছে জাতীয় পার্টি। পরিস্থিতির বিবেচনায় আগামীতে বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে তবে জাতীয় পার্টি নিজেদের প্রধান বিরোধী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে একক নির্বাচনে যাবে। অথবা বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের যার পাল্লা ভারি থাকবে তার সঙ্গে জোট করবে বলে জাতীয় পার্টি সূত্রে জানা যায়।
আগামীতে জাতীয় পার্টি একক নির্বাচন করবে কি না জানতে চাইলে দলটির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন,  “আমাদের এককভাবে নির্বাচন করারই কথা বার্তা চলছে। একক ভাবে নির্বাচন করার জন্য আমরা পার্টিকে শক্তিশালী করে চলছি।”
 ‘জাতির ক্রান্তিকালে জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দেন’

বগুড়া : বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম বলেছেন, ‘১৯৭১ সালে দেশের মানুষ যখন আওয়ামী লীগের দিক নির্দেশনার জন্য তাকিয়েছিলো, তখন শীর্ষ নেতাসহ অনেকেই এদেশের আপামর জনসাধারণকে বিপদে ফেলে রাতের অন্ধকারে ভারতে পালিয়ে গেছেন।
জাতির এমন ক্রান্তিকালে জিয়াউর রহমানই প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।  উপহার দিয়েছিলেন বাংলাদেশ নামক একটি ভূ-খন্ডের, উপহার দিয়েছিলেন লাল-সবুজ পতাকার।’
শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৩২তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বগুড়া জেলা বিএনপি ঘোষিত ৯ দিনব্যাপী কর্মসূচির শেষ দিনে শোক ৠালি বের হওয়ার আগে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “জনগণের প্রতি আস্থা হারিয়ে সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে একদলীয় নির্বাচন করে আবারও ক্ষমতায় আসতে চায় আওয়ামী লীগ। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপির নেতৃত্বে ১৮ দলীয় জোট যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনরায় প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করছে, তখন সরকার মামলা, হামলা, হত্যা, গুম করে আন্দোলন স্তব্ধ করতে নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছে। কিন্তু সে স্বপ্ন কোনোদিন পূরণ করতে দেবে না বিএনপি ও সচেতন দেশবাসী।” কর্মসূচি চলাকালে বগুড়া জেলা বিএনপি`র সভাপতি ছাড়াও সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল, সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চান, সংসদ সদস্য মোস্তফা আলী মুকুল, জেলা বিএনপি নেতা ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলী আজগর হেনা, বগুড়া শহর কমিটির সভাপতি মাহবুবুর রহমান বকুল, সাবেক সংসদ সদস্য  নূর আফরোজ বেগম জ্যোতি, সদর উপজেলা সভাপতি মাফতুন আহম্মেদ খান রুবেল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শাহ্ মেহেদী হাসান হিমু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আরাফাতুর রহমান আপেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে শহরের নবাববাড়ীস্থ দলীয় কার্যালয় থেকে একটি শোক ৠালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।