জামশেদের
ব্যাটে ৬ উইকেটে
জিতল পাকিস্তান
ক্রীড়া ডেস্ক
চেন্নাইতে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে স্বাগতিক ভারতের ছুড়ে দেয়া ২২৮ রানের লক্ষ্যে শুরুতে ভুবনেশ্বর কুমারের বোলিং তোপে পড়েছিল পাকিস্তান। তবে ইউনিস খানকে নিয়ে শতরানের জুটির পর অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান নাসির জামশেদ। তার অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ১১ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটের সহজ জয় পায় সফরকারী দল। ব্যাটিং ক্রিজে ১৩২ বলে ১০১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে জয়ে মাঠ ছাড়েন জামশেদ। এর আগে দলীয় ৪৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি করেন তিনি, ৫টি চার ও ১টি ছয়ের মার রয়েছে তার ইনিংসে। অপর প্রানে্ত ৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন শোয়েব মালিক, ৪৯তম ওভারের প্রথম বলে জয়সূচক বাউন্ডারি হঁাকান তিনি। তবে পাকিস্তানের ব্যাটিং ইনিংসের শুরুটা হয়েছিল ভারতের অনুকূলে। টি-টোয়েন্টির মতো অভিষেক আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচেও উড়ন্ত সূচনা করলেন ডানহাতি পেসার ভুবনেশ্বর। ইনিংসের প্রথম বলেই ওপেনার মোহাম্মদ হাফিজকে বোল্ড করেন তিনি। ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলে আজহারকেও মিডউইকেটে রোহিত শর্মার ক্যাচ বানান উত্তর প্রদেশের এ পেসার। ৩৮ বলে ৯ রান করেন আজহার। ৭ ওভার বোলিং করে ৩ মেডেনসহ ১১ রান দিয়ে ২ উইকেট দখল করেছেন ভুবনেশ্বর। তার দুর্দান্ত বোলিংয়েই পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানের রানের গতিও অনেক ধীরে এগোতে শুরু করে। তবে জামশেদকে নিয়ে ইউনিসের অপরাজিত ১০৫ রানের জুটিতে ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে সফরকারীরা। নিজের ৫৩তম বলে একটি ছক্কা হঁাকিয়ে ৪৮তম ওয়ানডে হাফ সেঞ্চুরি করেন ইউনিস। তৃতীয় উইকেট জুটিতে তারা দলে ১১২ রান যোগ করে ম্যাচকে নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে ইউনিস (৫৮) অশোক দিন্দার বলে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের তালুবন্দি হলে এ জুটি ভাঙ্গে। ব্যক্তিগত ১৬ রানে ইশান্ত শর্মার শিকার হন পাকিস্তান অধিনায়ক মিসবাহ।
এর আগে টসে জিতে পাকিস্তান ফিল্ডিংয়ের সদ্ধিান্ত নেয়। মিসবাহ উল হকের সদ্ধিান্তকে যথোপযুক্ত বানিয়ে দেন পেসার জুনাইদ খান। পাকিস্তানি এ পেসারের বোলিং তোপে ধসে যায় ভারতীয় ব্যাটিং লাইন। শেষ পর্যন্ত মহেন্দ্র সিং ধোনির অধিনায়কোচিত ইনিংসে ভারতের সংগ্রহ দঁাড়ায় ৬ উইকেটে ২২৭ রান।
বৃষ্টির কারণে আউটফিল্ড ভেজা। মিসবাহ উল হক সেই সুযোগ লাগালেন পেসারদের নিয়ে। দলীয় ১৭ রানে বীরেন্দর শেবাগকে (৪) বোল্ড করেন জুনাইদ। এরপর মোহাম্মদ ইরফান সাজঘরে ফেরান গেৌতম গম্ভীরকে (৮)। দলীয় ষষ্ঠ ওভারের চতুর্থ ও শেষ বলে বিরাট কোহলি ও যুবরাজ সিংকেও মাঠছাড়া করেন জুনাইদ। দলে ২৯ রান তুলতে জুনাইদের শিকার পঞ্চম উইকেটে থাকা রোহিত শর্মা। ২৯ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর বিধ্বস্ত দলকে টেনে তোলেন ধোনি ও সুরেশ রায়না। এ জুটিতে ৭৩ রান সংগ্রহ করেন তারা। তবে রায়নাকে ব্যক্তিগত ৪৩ রানে সাজঘরে ফেরান মোহাম্মদ হাফিজ। এরপর রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে নিয়ে অনবদ্য এক সেঞ্চুরিতে ১২৫ রানের জুটি গড়ে দলকে সম্মানজন স্কোর এনে দেন ধোনি। ১২৫ বলে ৭ চার ও ৩ ছয়ে সর্বোচ্চ ১১৩ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। অপরপ্রানে্ত ৩১ রানে অপরাজিত অশ্বিন।